নিউইয়র্ক, ০৩ মে - মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মানবিকতায় সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন নিউইয়র্ক প্রবাসী এক বাংলাদেশি চিকিৎসক। করোনায় মৃত্যুর ভয়ে বিশ্বের অনেক বড় বড় ডাক্তার যেখানে চেম্বার বন্ধ করে দিয়েছেন, সেখানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ডা. ফেরদৌস খন্দকার নামের ওই চিকিৎসক। চিকিৎসাবঞ্চিত করোনা আক্রান্ত রোগীরা এই সম্মুখ যোদ্ধার নাম দিয়েছেন ডক্টর অব হিউম্যানিটি। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি করোনায় মৃতদের দাফনের খরচ, খাদ্য সহায়তা ও সুরক্ষা সামগ্রী দিচ্ছেন ডা. ফেরদৌস খন্দকার। এমন মহৎপ্রাণ ডাক্তারকে পেয়ে নিউইয়র্কে বাংলাদেশিদের গর্বের শেষ নেই। তিনি হাসপাতালে দায়িত্ব শেষে করোনা রোগীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে ডা. ফেরদৌস খন্দকার জানান, তিনি যদি করোনা রোগীদের বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা দেন, তাতে হাসপাতালের ওপর চাপ কমবে। যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশেই পিপিই ও মাস্ক সংকটে ভুগছেন ডাক্তার ও নার্সরা। অনেক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও করোনা আক্রান্তদের সেবা করে চলেছেন বলেও জানান বাংলাদেশি এই চিকিৎসক। তিনি বলেন, নিউইয়র্কের ডাক্তারদের পাশে স্বেচ্ছায় এসে দাঁড়াচ্ছেন অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের ডাক্তাররা। কোনো অজুহাত না দেখিয়ে নিজ খরচে তারা করোনার বিরুদ্ধে লড়ছেন। কাজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে ডা. ফেরদৌস খন্দকার বলেন, গত চার সপ্তাহ প্রতিদিন ১৮ ঘণ্টা কাজ করছি। নিজের চাকরির পাশাপাশি ঘরে ঘরে গিয়ে রোগী দেখছি। আমার কাজ হলো, যদি ৫০ জনকেও সেবা দিয়ে হাসপাতাল বিমুখ করে সুস্থ রাখতে পারি, তাহলে হাসপাতালের ওপর চাপ পড়বে না। এতে অনেক ইতিবাচক ফল দেখা যাবে। বাংলাদেশের চেয়েও যুক্তরাষ্ট্রে পিপিই সংকট বেশি জানিয়ে তিনি বলেন, এখানে আমাকে একটা পিপিই দেওয়া হয়েছে একদিনের জন্য। আমি পাঁচদিন পর গিয়ে আরেকটা পিপিই চেয়েছি। যখন বললাম পিপিই থেকে মরা মানুষের গন্ধ আসছে, তখন আমাকে আরেকটা দেওয়া হয়। এ পরিস্থিতিতে কাজ করছি। উপায় না দেখে নিজের পিপিই নিজেই বানিয়েছি। নিউইয়র্ক মৃত্যুপুরী হলেও যুক্তরাষ্ট্রের অনেক শহর ও অঙ্গরাজ্য থেকে প্লেনভর্তি হয়ে চিকিৎসকরা নিজ খরচে সেবা দিতে আসছেন বলে জানান ডা. ফেরদৌস। তিনি আরও বলেন, ওই চিকিৎসকরা এখানে না এলেও পারতেন, তারা ঘুমাতে পারতেন অন্যদের মতো। কিন্তু তারা আসছেন নিজের খরচে, তারা আমাদের পেছনে দাঁড়িয়েছেন। এমন সংকটকালে মানবিকতাকে যদি নিজের স্কিলের সঙ্গে যোগ করতে না পারা যায়, তাহলে জীবনের শেষান্তে দেখা যাবে কিছু নেই। উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত বিশ্ব। দেশে দেশে চলছে লকডাউন। এখনো এর প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। এই মহামারি সবচেয়ে ভয়ংকর রূপ নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এরই মধ্যে দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা ৬৭ হাজার ছাড়িয়েছে আর আক্রান্ত হয়েছেন ১১ লাখ ৫৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহর হচ্ছে দেশটির করোনাভাইরাসের মূলকেন্দ্র এবং সেখানে এ পর্যন্ত ২৪ হাজার মানুষ মারা গেছে। সূত্র : আমাদের সময় এন এইচ, ০৩ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2xyp2kM
May 03, 2020 at 06:53AM
এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ...
ফিলাডেলফিয়ার রাজনীতিতে বাংলাদেশি অভিবাসীদের জয়জয়কার
07 Oct 20200টিপেনসিলভানিয়া, ৭ অক্টোবর- যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার সনদ যে নগরীতে গৃহীত হয়েছিল, সেই ফিলাডেলফিয়ার রাজন...আরও পড়ুন »
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসী হামলার গোলাপগঞ্জের যুবক নিহত
05 Oct 20200টিকেপটাউন, ০৫ অক্টোবর- দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় সিলেটের গোলাপগঞ্জের যুবক জাকির হোসেন (৩৫) ন...আরও পড়ুন »
নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগের সমাবেশে হট্টগোল
03 Oct 20200টিনিউইয়র্ক, ০৩ অক্টোবর- যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগের সমাবেশে আবারও হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। বাংল...আরও পড়ুন »
নিউইয়র্কে গাড়ির ধাক্কায় বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু
03 Oct 20200টিনিউইয়র্ক, ০৩ অক্টোবর-যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জেরিকোর লং আইল্যান্ড এক্সপ্রেসওয়েতে হেঁটে যাওয়ার সম...আরও পড়ুন »
জার্মানিতে বাংলাদেশি প্রবাসীর শতাধিক বাড়ি
02 Oct 20200টিবার্লিন, ০২ অক্টোবর- নিজের জমানো টাকায় কিশোর বয়স থেকে ব্যবসা শুরু করে জার্মানিতে এখন শতাধিক বাড়ির ম...আরও পড়ুন »
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.