ঢাকা, ০৫ মে - প্রায় ১৩ বছরের ক্যারিয়ারে এখনও পর্যন্ত ২৩তি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবাল। যার প্রথমটি এসেছিল ২০০৮ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আর শেষটি গত মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। মাঝের ২১ সেঞ্চুরিতে অনেকবারই লম্বা সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে এই ম্যাজিক্যাল ফিগার ছোঁয়ার জন্য। যেমন ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরির পর আবার তিন অঙ্ক ছুঁতে পেরেছিলেন ২০১৩ সালের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। অর্থাৎ প্রায় তিন বছরের সেঞ্চুরিখরা ছিল দেশসেরা এ ব্যাটসম্যানের। তবে এই সেঞ্চুরিখরার চেয়েও তামিমের মনে দাগ কেঁটে আছে ছয় মাসের অন্য একটা সেঞ্চুরিবিহীন সময়। কেননা সেটার কারণ ছিলেন খোদ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা! আর এ গল্পটাও বেশ মজার। যা শুনিয়েছেন খোদ তামিম, সঙ্গে ছিলেন মাশরাফিও। একবার তামিমের সঙ্গে মতপার্থক্যের জেরে ড্রেসিংরুমের ভেতরেই মাশরাফি মার্কার দিয়ে লিখে দিয়েছিলেন, পরের ছয় মাস কোন সেঞ্চুরি করতে পারবেন না তামিম! কাকতালীয়ভাবে পরের ছয় মাস সত্যিই কোন সেঞ্চুরি করতে পারেননি। তাকে সেঞ্চুরির জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল ৬ মাস ৫ দিন! সোমবার রাতে মাশরাফিকে নিয়ে করা ফেসবুক লাইভে এ ঘটনা উল্লেখ করে তামিম বলেন, আমরা ড্রেসিংরুমে খেলোয়াড়রা মাশরাফি ভাইকে বাবা হিসেবেও চিনি। বাবা মানে হইলো, আলহামদুলিল্লাহ্! উনি যা বলে, যেটা বলে, কেমনে না কেমনে যেন হুবহু মিলে যায়। বিশেষ করে আমার ক্ষেত্রে একদম একশতে একশ। আল্লাহই জানে, আমি আপনার সঙ্গে বেয়াদবি করছিলাম না কী করছিলাম... আমার এখনও মনে আছে, আপনে মার্কার দিয়ে লিখে দিছিলেন, তুই পরবর্তী সেঞ্চুরি করবি ছয় মাস পর। মাশরাফি থামিয়ে মনে করিয়ে দেন, ঠিক ছয় মাস তিনদিন (আসলে পাঁচদিন) পরই করছিলি! তামিম তখন আবার বলতে থাকেন, আল্লাহ সহায়! ছয় মাস আমাদের খেলাও একটু কম ছিল। তবে আমি ঐ ছয় মাস তিনদিন পরই সেঞ্চুরিটা করছি। কিন্তু কথা হইলো, ভাই আমার সাথেই কেন এরকম করতে হবে? কেন আমার সাথে করেন এটা? তখন হাসতে হাসতে মাশরাফি উত্তর দেন, দেখ তামিম! জীবনে তোর সাথেই মনে হয় আমার সবচেয়ে বেশি মতপার্থক্য হয়েছে। পৃথিবীর আর কারও সাথে মনে হয় এতটা হয় নাই। প্রত্যেকটা বিষয়ে তোর সাথে আমার এটা হয়। তিনি আরও যোগ করেন, তবে তুই আমার ভালো বন্ধু। আমি যেটাই তোরে বলি, মন থেকে বলি। বাট আমি সবসময় দলের কথা ভেবেই বলেছি। আমি দলের জন্য হলেও চেয়েছি যে সবসময় তুই রান কর। কারণ তুই দলের সবচেয়ে প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান। ওপেনারদের মধ্যে তুই সবচেয়ে সিনিয়র। আর বাকিগুলো তো ধর ফাজলামি করি, তোর সাথে (সত্য) হয়ে যায় (হাসি)। উল্লেখ্য, তামিমের সেই ছয় মাসের সেঞ্চুরিখরার সময়কাল ছিল ১২ নভেম্বর ২০১৪ থেকে ১৭ এপ্রিল ২০১৫ পর্যন্ত। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে সেঞ্চুরির পর আবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে শতকের দেখা পান তামিম। মাঝে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ৯৫ রানের ইনিংস খেললেও সেঞ্চুরি করতে পারেননি তামিম। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০৫ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2SAEqo0
May 05, 2020 at 06:03AM
এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ...
তিন দলের ওয়ানডে টুর্নামেন্টের সূচি প্রকাশ
07 Oct 20200টিঢাকা, ০৭ অক্টোবর- শ্রীলংকা সফর না হওয়ায় ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। দেশের মূল ক্...আরও পড়ুন »
বার্তামেউয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট!
07 Oct 20200টিবার্সেলোনার বোর্ড নির্বাচন আগামী মার্চে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ওই সময়ই ঠিক হওয়ার কথা জোসেপ মারিও বার্তা...আরও পড়ুন »
বেতন কাটা নিয়ে বার্সার আলোচনা শুরু
07 Oct 20200টিকরোনার কারণে গত মার্চ থেকে কমাস ফুটবল বন্ধ ছিল। এ সময় বড় ক্লাবসহ বিশ্বের অধিকাংশ ক্লাবই ফুটবলারদের ব...আরও পড়ুন »
অস্ট্রেলিয়া-ভারত গোলাপি বলের টেস্ট চূড়ান্ত
07 Oct 20200টিক্যানবেরা, ০৭ অক্টোবর- এ বছরের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের চার টেস্টের সিরিজ দিবারাত্রির ম্যাচ দিয়...আরও পড়ুন »
নারীর প্রতি মনোভাব বদলের ডাক মাশরাফীর
07 Oct 20200টিঢাকা, ৭ অক্টোবর- উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে নারীর প্রতি সহিংসতার হার। সিলেটে এমসি কলেজসহ নোয়াখালীর বেগমগঞ্...আরও পড়ুন »
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.