ঢাকা, ১৭ মে - করোনাভাইরাসের কারণে গৃহবন্দী অবস্থায় ফিটনেস নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছেন ক্রীড়াবিদরা। প্রায় দুই মাস ধরে ঘরে বন্দী। বাইরে গিয়ে জিম করারও সুযোগ নেই। যাদের বাসায় জিমের সরঞ্জামাদি রয়েছে, তারা নিজ উদ্যোগেই চালিয়ে নিচ্ছেন ফিটনেস ট্রেনিং। তেমনই একজন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তার ঢাকার বাসায় রয়েছে দৌড়ানোর স্বয়ংক্রিয় মেশিন ট্রেডমিল। এটিতে গত দুই মাসে এত দৌড়েছেন যে, তার নিজের কাছে মনে হচ্ছে দৌড়ে দৌড়ে তিনি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে চলে গেছেন। বাস্তবে তা ঘটেনি। তামিম রয়েছেন নিজের ঢাকার বাসায়ই। গত ২ মে (শনিবার) থেকে নিয়মিত করছেন ফেসবুক লাইভের আয়োজন। সেখানে অন্যান্য ক্রিকেটারদের আমন্ত্রণ জানিয়ে দিচ্ছেন মজাদার সব আড্ডা। তেমনই এক আড্ডায় শনিবার (১৬ মে) মজা করেই ঢাকা থেকে দৌড়ে চট্টগ্রাম যাওয়ার কথা বলেছেন তামিম। তামিমের এ ফেসবুক লাইভের সবশেষ পর্বের অতিথি ছিলেন জাতীয় দলের তিন ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক, সৌম্য সরকার এবং লিটন দাস। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের আড্ডা এ পর্বেই দিয়েছেন তামিম। প্রায় দেড় ঘণ্টার এ আড্ডায় এসেছিল ফিটনেস প্রসঙ্গ। তখন মুমিনুলকে তামিম জিজ্ঞেস করেন, ফিটনেসের কী অবস্থা? কাজটাজ কী করতেছিস? মুমিনুলের সংক্ষিপ্ত জবাব, ফিটনেস আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। জিমের কিছু সরঞ্জাম কিনে রাখছিলাম। ট্রেডমিল আছে। এভাবেই টুকটাক চালায় নিচ্ছি। সৌম্যকে আর ফিটনেস নিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করেননি তামিম। কেননা তিনি সৌম্যর প্রোফাইলেই দেখেছেন ফিটনেস ট্রেনিংয়ের নানান ভিডিও। তবে মুমিনুলের মতো ট্রেডমিল নেই সৌম্যর বাসায়। তাই তিনি ডাম্বেল জাতীয় কিছু জিনিস কিনে নিয়েছেন। সম্প্রতি ঢাকা থেকে চলে গিয়েছেন সাতক্ষীরায়। সেখানেই করছেন ফিটনেস ঠিক রাখার কাজ। লিটনের ফিটনেস বিষয়ক কাজের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে ডানহাতি এ স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান বলেন, আমার চলতেছে ভাই। বাসায় ট্রেডমিল আছে। দৌড়াদৌড়ির ওপরই আছি তাই। তার কথার মাঝেই তামিম বলেন, আমি তো চট্টগ্রাম চলে গেছি। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম চলে গেছি দৌড়াইতে দৌড়াইতে। তামিমের এ মজার সুযোগটা নেন মুমিনুলও। তিনি বলেন, প্রতিদিন ৫-৭ কিমি. করে দৌড়াচ্ছেন। এমনে কয়দিন পর ভারত চলে যাবেন নিশ্চিত। পরক্ষণেই চলে আসে ট্রেডমিল বিষয়ক বিরক্তির কথা। লিটন বলেন, প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠলে একটা জিনিস খুব বিরক্ত লাগে। রানিং তো আমরা করিই প্র্যাকটিসে। এছাড়া ফুটবল খেলি, একটা মজার ভেতরে থাকি, ওখানেও ফিটনেসটা হয়। কিন্তু ট্রেডমিল একটা বোরিং জায়গা। সামনে কিছু দেখতেছি না, খালি দৌড়াও...ভাগো, ভাগো। একমত পোষণ করেন তামিমও, আমার খুব বিরক্ত লাগে। এখন খুবই কষ্ট হচ্ছে ট্রেডমিলে দৌড়াইতে। রাস্তায় দৌড়াইলে যেমন নতুন নতুন জিনিস দেখা যায়। ভালো লাগে। কিন্তু এখন একদমই বোরিং। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১৭ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3fTfbqR
May 17, 2020 at 05:32AM
এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ...
তিন দলের ওয়ানডে টুর্নামেন্টের সূচি প্রকাশ
07 Oct 20200টিঢাকা, ০৭ অক্টোবর- শ্রীলংকা সফর না হওয়ায় ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। দেশের মূল ক্...আরও পড়ুন »
বার্তামেউয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট!
07 Oct 20200টিবার্সেলোনার বোর্ড নির্বাচন আগামী মার্চে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ওই সময়ই ঠিক হওয়ার কথা জোসেপ মারিও বার্তা...আরও পড়ুন »
বেতন কাটা নিয়ে বার্সার আলোচনা শুরু
07 Oct 20200টিকরোনার কারণে গত মার্চ থেকে কমাস ফুটবল বন্ধ ছিল। এ সময় বড় ক্লাবসহ বিশ্বের অধিকাংশ ক্লাবই ফুটবলারদের ব...আরও পড়ুন »
অস্ট্রেলিয়া-ভারত গোলাপি বলের টেস্ট চূড়ান্ত
07 Oct 20200টিক্যানবেরা, ০৭ অক্টোবর- এ বছরের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের চার টেস্টের সিরিজ দিবারাত্রির ম্যাচ দিয়...আরও পড়ুন »
নারীর প্রতি মনোভাব বদলের ডাক মাশরাফীর
07 Oct 20200টিঢাকা, ৭ অক্টোবর- উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে নারীর প্রতি সহিংসতার হার। সিলেটে এমসি কলেজসহ নোয়াখালীর বেগমগঞ্...আরও পড়ুন »
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.