ঢাকা, ০৩ মে - এই তো কয়েকদিন আগে জাতীয় লিগের একটি ম্যাচে তিন ওভার অফস্পিন বোলিং করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই যাকে উইকেটরক্ষক এবং ব্যাটসম্যান হিসেবেই দেখে এসেছে সবাই, তাকে হুট করে স্পিন বোলিং করতে দেখে চমকে গেছিলেন অনেকেই। অথচ এই মুশফিকই একসময় ছিলেন রীতিমতো ফাস্ট বোলার, হাত ঘোরাতেন ইংল্যান্ডের দীর্ঘকায় পেসার স্টিভ হার্মিসনের মতো। বিকেএসপিতে পরীক্ষা দিতে আসার সময়ও নিজের ছোটখাটো গড়ন নিয়ে করতে চেয়েছিলেন পেস বোলিং। যদিও শেষপর্যন্ত আর পেসার হয়ে ওঠা হয়নি মুশফিকের। তার বদলে তিনি এখন দেশের সফলতম উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। নিজের ক্যারিয়ারের এই অজানা গল্পটা মুশফিক জানিয়েছেন নিজেই। শনিবার রাতে লকডাউনের অফুরান অবসর কাঁটাতে তামিম ইকবালের সঙ্গে এক ইন্সটাগ্রাম লাইভে যোগ দিয়েছিলেন মুশফিক। সেখানেই তার কাছ থেকে পেস বোলিংয়ের গল্পটা বের করে আনেন তামিম। কথাপ্রসঙ্গে একপর্যায়ে তামিম বলেন, অনেকে এটা জানে না যে তুই (মুশফিক) পেস বোলিং করতি। তাও আবার তোর বোলিং স্টাইল ছিল স্টিভ হার্মিসনের মত। ওর চেয়েও বড় রানআপ ছিল। আমার মনে আছে, খুব সম্ভবত অনূর্ধ্ব-১৫ এর এক প্র্যাকটিস ম্যাচে তুই পেস বোলিংও করেছিলি খুব সম্ভবত, বিকেএসপির ২ নম্বর মাঠে। তামিম এ প্রসঙ্গ আনতেই স্মৃতির ঝাপি খুলে দেন মুশফিক। জানান শুধু পেস বোলিংই করতেন না, তার ইচ্ছা ছিল মূলত ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হওয়ার। কিন্তু বিকেএসপিতে তখন ব্যাডমিন্টনের তেমন সুযোগ-সুবিধা না থাকায় পরীক্ষা দেন ক্রিকেট-ফুটবলে; টিকে যান দুটিতেই। সেখান থেকেই বেছে নেন ক্রিকেটকে। মুশফিক বলেন, আমার আসলে ক্রিকেটের চেয়েও বেশি প্রিয় ছিল ব্যাডমিন্টন। অনেক ভালো লাগত। কিন্তু তখন বিকেএসপিতে ব্যাডমিন্টন ছিল না। আমি ক্রিকেট-ফুটবল; দুটিতেই চান্স পেয়েছিলাম। পরে ক্রিকেটেই গেলাম। লারা আমার প্রিয় ছিল খুব, তার মতো ব্যাটিং করতে ইচ্ছে হতো। আমার ভাইরাও সব ক্রিকেট খেলত। সবমিলিয়ে ক্রিকেটেই গেলাম। পেস বোলিংয়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, বোলিং করতাম কারণ তখন (ছোটবেলায় এলাকার ক্রিকেটে) চেষ্টা করতাম যতদিক থেকে অবদান রাখা যায়। কিপিং সেভাবে করতাম না। বিকেএসপির কোচরাও তখন আমাকে বলতেন, এই উচ্চতা নিয়ে পেস বোলার হতে চাও, পাগল নাকি? পরে একটা ম্যাচে আমাদের মূল কিপার ছিল না ইনজুরির কারণে। আমি কিপিং করলাম, ভালোবেসে ফেললাম। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০৩ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3f6T7bU
May 03, 2020 at 06:38AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন