ঢাকা, ১১ মে - ৯ মে শনিবার ছিল তার জন্মদিন। এই বিশেষ দিনে ব্যাটসম্যান, উইকেটরক্ষক তথা ক্রিকেটার মুশফিককে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মোহাম্মদ আশরাফুল বলেছিলেন, জানেন মুশফিক কিন্তু এই সময়েও রাত ৯ থেকে ১০টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ে। আশরাফুলের কথা পাঠকরাও নিশ্চয়ই পড়েছেন। তবে কেউ কেই হয়ত ভেবেছেন, তা কি করে সম্ভব? এখন টিভি, ইন্টারনেটসহ বিনোদনের নানা খোরাক ও মাধ্যম হাতের মুঠোয়। শিশু ছাড়া পরিণত বয়সের খুব মানুষই রাত ১০টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েন। বাকিরা সারাদিনে কর্মক্লান্তির পর ঘুমাতে যাওয়ার আগে হয় একটু টিভি দেখেন। খবর দেখেন। গান শোনেন। ম্যুভি দেখেন। কেউবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রিয়জন ও কাছের মানুষের সাথে কথা বলেন। একেকজন একেকভাবে সময় কাটান; কিন্তু এত জলদি ঘুমাতে যাওয়ার রেকর্ড আজকাল খুব কম। অথচ অবাক করা সত্য হলো দেশ সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম ওসবের পাশ দিয়েও যান না। ঠিক ঘড়ি ধরে ১০টার আগেই বিছানায় চলে যান এবং ঘুমিয়ে পড়েন। ঘটনা কি সত্যি? আপনি কি বাস্তবেও রাত ৯টা থেকে ১০ টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েন? মুশফিক নিজেই দিলেন এর উত্তর। তার ডাবল সেঞ্চুরির ব্যাট নিলামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফেসবুক লাইভে সঞ্চালক তাকে প্রশ্ন করেন, আচ্ছা মুশফিক ভাই আপনি নাকি রাত ৯ টা থেকে ১০টার মধ্যে ঘুমাতে যান? মুশফিক হেসে জবাব দেন। এটা সত্যি। হ্যাঁ, এটা সত্যি। আমি রাত ৯ টা থেকে ১০ টার মধ্যে ঘুমাতে যাই। জানিয়ে দেন, এত আগে ঘুমাতে যাবার অভ্যাসটা আজকের নয়। সেই বিকেএসপির ছাত্র থাকা অবস্থায় এ অভ্যাস তৈরি হয়েছে। সেটা কিভাবে? মুশফিকের জবাব, আমরা যারা বিকেএসপির ছাত্র, তাদের দিন শুরু হয় ভোরে। তখন থেকেই পিটি, প্র্যাকটিস ও অন্য কার্যক্রম শুরু। এত সকালে ওঠার পর দুবেলা প্র্যাকটিস করে আসলে ক্লান্ত-অবসন্ন লাগতো। কাজেই পরদিন যাতে ভোরে ঘুম থেকে উঠতে সমস্যা না হয়, সে কথা ভেবে আমি জলদি ঘুমিয়ে পড়তাম। এখনো সে অভ্যাস আছে। আমি ৯ টা থেকে ১০টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ি। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১১ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3fwO6K5
May 11, 2020 at 05:56AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন