ঢাকা, ১৯ মে - প্রায় ছয় মাস বাকি থাকতেই ঘরোয়া মৌসুম পরিত্যক্ত ঘোষণা হওয়ায় নিজেদের ক্যারিয়ার নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন জাতীয় ফুটবলাররা। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সহসা স্বাভাবিক না হলে এবং খুব দ্রুত খেলা মাঠে না ফিরলে, সামনে কী হবে তা বুঝে উঠতে পারছেন না তারা। বাফুফের মৌসুম পরিত্যক্ত ঘোষণার সিদ্ধান্তের পর বেশ কয়েকজন ফুটবলারের সঙ্গে আলাপ করে বোঝা গেছে, অনিশ্চিত এক ভবিষ্যতই দেখছেন তারা। অন্ধকার ছাড়া এখন আর কিছুই নেই তাদের সামনে। দু-একটি ক্লাব ছাড়া বাকিগুলো নামকাওয়াস্তে পারিশ্রমিক দিয়ে খেলোয়াড়দের মাঠে নামিয়েছিল। ঐসব ক্লাবই লিগ বাতিলের দাবিতে বেশি সোচ্চার ছিল। কিছু ক্লাব আছে টোকেন মানি দিয়েছিল ফুটবলারদের। কয়েকটি ক্লাব দিয়েছিল চুক্তির মাত্র ২০ ভাগ। অনেকে বলেন ফুটবলারই ৮০-৯০ ভাগ পারিশ্রমিক অগ্রিম নিয়েছে। তবে বাস্তবতা হলো, তা নিলেও হাতে গোনা অল্প কয়েকজন। বিশেষ করে যাদের গায়ে তারকার লেবাস লেগেছে, যারা জাতীয় দলে খেলেন- এমন কিছু ফুটবলার ক্লাব থেকে ভালো টাকা অগ্রিম পেয়েছেন। কিন্তু প্রিমিয়ার লিগে খেলা ৯০ ভাগ ফুটবলারের অবস্থাই ভালো নয়। মৌসুম পরিত্যক্ত হলো। এখন ক্লাবগুলো তাদের পাওনা নিয়ে কী করবে, সেটা ফুটবলাররা জানেন না। আবার যদি মহামারী করোনার জন্য আরও মাসের পর মাস খেলা বন্ধ থাকে, তাহলে তারা হয়ে পড়বেন বেকার। এ অবস্থায় অনেক ফুটবলারই পড়বেন অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে। কেবল টাকা-পয়সা নয়, নিজেদের ফিটনেস ও ক্যারিয়ার নিয়েও শংকিত হয়ে পড়ছেন ফুটবলাররা। ফুটবল এমন একটি খেলা, যেখানে ঘরে ব্যয়াম করে ফিটনেস ধরে রাখা সম্ভব না। আগামীতে জাতীয় দলের ফুটবলারদের জন্যও এক কঠিন পরীক্ষা হবে নিজেদের ফিটনেসের প্রমাণ দেয়া। জাতীয় দলের পারফরম্যান্সের জন্য ফিটনেস ধরে রাখা জরুরি। কিন্তু আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে যে ফিটনেস প্রয়োজন তার ৬০ ভাগের বেশি ঘরে বসে ধরে রাখা সম্ভব না। ওজন ঠিক রাখা আর কিছু ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজই করা যায় বাসায়। জিম সুবিধা থাকলে হয়তো ফিটনেস ৮০ ভাগ পর্যন্ত রাখা সম্ভব হতো। সত্যি কথা কি মাঠের মতো ঘরে বসে সম্ভব নয় - বলছিলেন সিনিয়র খেলোয়াড় এবং জাতীয় দলের গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১৯ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3cLwI2b
May 19, 2020 at 06:24AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন