ঢাকা, ১৭ মে - আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি রান ও সেঞ্চুরির মালিক বাঁহাতি ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। তিন ফরম্যাট মিলে তিনি একাই করেছেন ২৩টি সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪টি করে রয়েছে মুশফিকুর রহীম ও সাকিব আল হাসানের। তামিম যেমন সেঞ্চুরি করেছেন বেশি, তেমনি সেঞ্চুরি হাতছাড়াও করেছেন অনেক। এখনও পর্যন্ত সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে অর্থাৎ ৮০র বেশি রান করেও সেঞ্চুরির আগে থেমেছেন ১৮টি ইনিংসে, এর দশটিই আবার ওয়ানডেতে। এই ১৮ ইনিংসের মধ্যে তামিমের নার্ভাস নাইন্টিতে আউট হওয়ার ঘটনা চারটি। কাকতালীয় ব্যাপার হলো, চারটি ইনিংসেই তিনি করেছিলেন ৯৫ রান। এ চার ৯৫ রানের মধ্যে দুইটিতে সেঞ্চুরি মিস করায় বেশ কষ্ট পেয়েছিলেন তামিম। যা জানিয়েছেন তিনি নিজেই। শনিবার রাতে ফেসবুক লাইভ আড্ডায় তামিমের সঙ্গী হয়েছিলেন সৌম্য সরকার, মুমিনুল হক ও লিটন দাস। আড্ডার একপর্যায়ে তামিমকে সৌম্য জিজ্ঞেস করেন, আপনি তো অনেক ৮০-৯০ রানের ইনিংস খেলছেন। এর মধ্যে কোন সেঞ্চুরিটা মিস করায় সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছেন? তামিমের চটপট উত্তর, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ৯৫ রান। তবে সত্যি কথা বলতে আমি সবচেয়ে বেশি কষ্ট যদি কোন ইনিংসে সেঞ্চুরি মিস করে পাইছি, ঐটা হলো চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অনেক আগে ৯৫ করে আউট হয়ে গেছিলাম। ঐ ইনিংসে সেঞ্চুরি না করায় সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাইছি। তখন সৌম্য বলেন, আপনার কাছে এটা মনে হইছে। তবে আমার কাছে মনে হইছে, আমি ননস্ট্রাইকে থাকলে যখন আপনি আউট হয়ে যান, তখন দেখি আপনার ভাবভঙ্গি কেমন থাকে। তো আমার কাছে মনে হইছে যে, আমি যেদিন একশ করি পাকিস্তানের সঙ্গে, আপনি সেদিন একশ করলে হ্যাটট্রিক হইতো। আমার চোখে দেখা, আপনার সবচেয়ে কষ্টের সেঞ্চুরি মিস ঐটাই ছিল। উল্লেখ্য, সৌম্যর বলা ইনিংসটি ছিল ২০১৫ সালের পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচের। প্রথম দুই ম্যাচে ১৩২ ও ১১৬ রানের দুই ইনিংস খেলে ফর্মের চূড়ায় ছিলেন তামিম। শেষ ম্যাচেও আশা জেগেছিল সেঞ্চুরির। কিন্তু আউট হয়ে যান ৬৪ রান করে। তবে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে ১২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন সৌম্য। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১৭ মে



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2ZcHhaK
May 17, 2020 at 06:34AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top