ঢাকা, ১৬ মে - তার টেস্ট ক্যারিয়ার শুরুই হয়েছে সর্বকালের সেরা ও সফলতম অফস্পিনার মুত্তিয়াহ মুরালিধরনকে স্বচ্ছন্দ্যে খেলে। ঐ সময়ে বিশ্বের সেরা পেসারদের তালিকায় থাকা বাঁহাতি চামিন্দা ভাসকেও প্রথম টেস্টেই সামলাতে হয়েছে মোহাম্মদ আশরাফুলকে। নতুন করে বলার দরকার নেই, ঐ দুই লঙ্কান বোলার বর্তমান শতাব্দীর প্রথম ভাগেও ছিলেন বিশ্ব ক্রিকেটের ত্রাস। যাদের খেলতে অনেক বড় বড় ব্যাটসম্যানেরও বুক কাঁপতো। আশরাফুল ১৭ বছর বয়সে সেই মুরালিধরন আর চামিন্দা ভাসকে বেশ সাফল্যের সঙ্গে খেলে জীবনের প্রথম টেস্টে শতরান করেছিলেন। শুধু মুরালিধরন আর চামিন্দা ভাস কেন? টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে বর্তমান শতাব্দির প্রায় সব বাঘা বাঘা বোলারের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। সে তালিকা ছোট নয়, বিশাল। ওয়াকার ইউনুস, শোয়েব আখতার, কোর্টনি ওয়ালশ, ব্রেট লি, মারভিন ডিলন, রেয়ন কিং, জেসন গিলেস্পি, মাখায়া এনটিনি, এন্ড্রু ফ্লিনটপ, স্টিভ হার্মিসন, জাভাগাল শ্রীনাথ, জহির খানসহ নামজাদা অনেক পেসারকেই ক্যারিয়ারে খেলেছেন আশরাফুল। তার বিপক্ষে সব ফরম্যাটে বোলিং করা স্পিনারদের তালিকাও কিন্তু ছোট নয়। মুরালিধরন, শেন ওয়ার্ন, অনিল কুম্বলে, সাকলাইন মুশতাক, শহীদ আফ্রিদির মতো কিংবদন্তিদের সামলাতে হয়েছে। আচ্ছা, এদের মধ্যে এমন কেউ কি আছেন, যাকে খেলতে খুব সমস্যা হতো আশরাফুলের? এমন কোন পেসার কিংবা স্পিনার কি নেই, যারা আশরাফুলকে বাড়তি চাপ দিয়েছেন। যাদের খেলতে তার ঘাম ঝরতো? বৃহস্পতিবার রাতে ক্রীড়া সাংবাদিক নোমান মোহাম্মদের ইউটিউব লাইভে এমন প্রশ্নর মুখোমুখি হয়েছিলেন আশরাফুল। জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ, ছিল। দুজন বোলারকে খেলতে আমার কষ্ট হতো। বলতে পারেন আমি স্বস্তিতে খেলতে পারিনি। অস্বস্তিবোধ করেছি। তার একজন হলেন ইংল্যান্ডের ফাস্টবোলার অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ, অন্যজন অস্ট্রেলিয়ান লেগস্পিনার শেন ওয়ার্ন। সত্যি বলতে কি, এ দুজনার বিপক্ষে খেলতে আমার সমস্যাই হয়েছে। আমি ঠিক নিজের স্বাভাবিক ব্যাটিং করতে পারিনি। কি কারণে তাদের খেলতে ঝামেলা হতো, সেই কারণও ব্যাখ্যা করেছেন আশরাফুল। ফ্লিনটফের ব্যাপারে সাবেক এই ব্যাটসম্যানের কথা, আমি তার চেয়েও কোয়ালিটি ফাস্টবোলারদের খেলেছি। তবে ফ্লিনটফকে খেলতে সমস্যা হতো অন্য কারণে। প্রথম কারণ, সে অনেক লম্বা, ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি হবে। এছাড়া বল করতেন হাই আর্ম অ্যাকশনে। তার বলে যে অন্যদের চেয়ে বাড়তি গতি আর বিষাক্ত সুইং ছিল, তাও নয়। আসলে ফ্লিনটফ লম্বা বেশি হওয়ায় বাড়তি উচ্চতায় লাফিয়ে উঠতো। সেখানে আমার উচ্চতা মাত্র ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। কাজেই তার বেশিরভাগ ডেলিভারি আমার বুকের ওপরে প্রায় মুখ সমান উচ্চতায় চলে আসতো। যে কারণে আমার খেলতে সমস্যা হতো। মুরালির মতো স্পিনারকে সামলে ওত কম বয়সে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন। তার কাছে মুরালিকে বরং বরাবর অসহায় মনে হতো। তবে ওয়ার্নকে ভয় পেতেন আশরাফুল। তিনি বলেন, সন্দেহ নেই মুরালিধরন অনেক বড় বোলার। তাকে খেলাও সহজ ছিল না । কিন্তু আমি মুরালিকে মোটামুটি খেলে ফেলেছি। বলতে পারেন ভালোই হ্যান্ডেল করেছি। আমার মোট সেঞ্চুরির বেশিরভাগই শ্রীলঙ্কা তথা মুরালিধরনের বিপক্ষে। তাই এতটুকু খাটো না করেই বলা, মুরালি আমাকে ততটা ভোগাতে পারেননি। তবে ওয়ার্নের বৈচিত্র্য আর বাড়তি টার্ন সবসময়ই ছিল বাড়তি চিন্তার কারণ। এই অস্ট্রেলিয়ান লেগিকে খুব দেখে খেলতে হয়েছে। খেলতে কষ্টও হয়েছে। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১৬ মে



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2yTl0UR
May 16, 2020 at 08:06AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top