নয়াদিল্লি, ২১ মে- নির্বাচনের সময়ই জানা হয়ে গিয়েছিল, পূর্ণ মেয়াদে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি এবং সচিব জয় শাহ। কারণ, সুপ্রিম কোর্ট গঠিত লোধা কমিশনের সুপারিশ অনুসারে সংগঠক হিসেবে ৬ বছর দায়িত্ব পালন করার পর আবার তিন বছরের জন্য বাধ্যতামূলক কুলিং অফে যেতে হবে। সৌরভ গাঙ্গুলি এবং জয় শাহ আগেই নিজ নিজ রাজ্য এসোসিয়েশনে দায়িত্ব পালন করে ফেলায় তাদের সামনে বাকি ছিল মাত্র ৯ মাস সময়। সেটা মেনেই গত বছর বিসিসিআইর দায়িত্ব গ্রহণ করেন তারা। যেখানে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন সৌরভ গাঙ্গুলি এবং সেক্রেটারি নির্বাচিত হন বিজেপি সভাপতি ও ভারতের বর্তমান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর ছেলে জয় শাহ। এরই মধ্যে ৭ মে জয় শাহর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তাকে বাধ্যতামূলক কুলিং অফে যেতে হবে। সৌরভ গাঙ্গুলির মেয়াদ রয়েছে আগামী জুলাই পর্যন্ত। কিন্তু লোধা কমিশনের সুপারিশ মানতে হলে তো এই দুজনকে সরে যেতেই হবে। কিন্তু দায়িত্ব পাওয়ার পর তো তারা কাজই করতে পারেনি। তারওপর করোনার কারণে বড় ধরনের একটি ধাক্কা খেয়েছেন তারা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে লোধা কমিশনের সুপারিশ পূনর্বিবেচনা করে পূর্ণ মেয়াদে সভাপতি এবং সেক্রেটারিকে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেছেন সচিব জয় শাহ। মূলতঃ তিনি নিজের জন্যই আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টে। কারণ, এরই মধ্যে জয় শাহর মেয়াদ শেষ হয়ে ঘেছে। এ কারণে সচিব হিসেবে নিজের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলেন তিনি। মেয়াদ বাড়ানোর অনুমতি একমাত্র সুপ্রিম কোর্ট দিতে পারে। তাই লোধা কমিশনের সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়েই আবেদন করলেন শাহ। আবেদন জানাতে গিয়ে শাহ লিখেছেন, দেশের (ভারতের) ক্রিকেটে যে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা সামাল দেওয়ার জন্য সচিব পদে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করছি। ৭ মের পর বিসিসিআইর পক্ষ থেকে যে সব বিবৃতি দেয়া হয়েছে, সেখানে স্বাক্ষর ছিল কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমালের। মেয়াদ শেষ হওয়ার জন্যই শাহ নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন। বোর্ড সচিব হওয়ার আগে ২০১৩ সাল থেকে তিনি গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্মসচিব ছিলেন। তাকে এবার কুলিং অফ পিরিয়ডে যেতে হবে। অথচ বোর্ডকর্তারা চান, সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি ও সচিব জয় শাহ টানা ৬ বছর পদে থাকুন। সৌরভের মেয়াদ শেষ হবে জুলাইয়ে। তার এখনও কোর্টে আবেদন জানানোর সময় হয়নি। জয় শাহর ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত জানার পরই ছবিটা পরিষ্কার হয়ে যাবে সৌরভের ক্ষেত্রেও। বোর্ড সভাপতি হিসেবে মাত্র ৯ মাস সৌরভের পক্ষে যথেষ্ট নয়, এটা উল্লেখ করে ইতিমধ্যেই আদালতে গেছেন বিহার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা আদিত্য বর্মা। এখনও সেই আবেদনের শুনানি হয়নি। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/২১ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3bRueyj
May 21, 2020 at 02:46PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন