মুম্বাই, ২৬ মে - ভারতবর্ষে ক্রিকেটকে শুধু খেলা হিসাবে নয় বরং একটাকে ধর্ম হিসাবে দেখা হয়।আর সেই ধর্মে শচীন রমেশ টেন্ডুলকারকে ভগবান হিসাবে মানা হয়ে থাকে। শচীন হচ্ছেন এমন একজন খেলোয়াড় যিনি ভারতীয় ক্রিকেটকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।ভারত তথা বিশ্ব ক্রিকেটে তার অবদান সত্যিই কোনোদিন ভোলার নয়।তবে শুধু ক্রিকেট নয় তার বিয়ে এবং প্রেম কাহিনী নিয়ে রয়েছে চমকপ্রদ কাহিনী।যা সিনেমার চেয়ে কম নয়। ১৯৯৪ সালে আংটি বদল পর্ব শেষ হয় নিউজিল্যান্ডে, তার এক বছর বাদে ১৯৯৫ সালের ২৫ মে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা, বিয়ের আসর বসেছিল মুম্বইতে।২৫ টা বছর কাটিয়ে দিলেন একে অপরের হাত ধরে।২৫ মে ছিল শচিন ও অঞ্জলির বিবাহবার্ষিকী। তবে এ বিবাহের নেপথ্যে যে ঘটনা আছে তা একটু ভিন্নরকম। ৯০-এর দশকে ভারতীয় ক্রিকেটে পা রাখেন শচিন টেন্ডুলকার, এরপর মাস্টার ব্লাস্টার হতে খুব বেশি সময় নেননি তিনি। সেই সময়তেই শচিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় অঞ্জলির।১৯৯০ সালে এক বিমানবন্দরে প্রথম দেখেন অঞ্জলিকে, আর প্রথম দেখাতেই প্রেম। এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছিলেন অঞ্জলি। তিনি জানান, মাকে রিসিভ করতে বিমানবন্দরে যান অঞ্জলি। বিমানবন্দরে অপেক্ষা করার সময়ে তার চোখ পড়ে শচিনের ওপর, শচিন তখন ইংল্যান্ড সফর সেরে দেশে ফিরছিলেন। সেই সময় অঞ্জলির সঙ্গে ছিলেন তার এক বন্ধু, তিনিই তাকে বলেছিলেন, এই খেলোয়াড়ই ইংল্যান্ডে মাঠে একশ রান করেছেন। কথাটা শোনা মাত্রই শচিনের অটোগ্রাফ নেয়ার জন্য পেছনে ছোটেন অঞ্জলি। শচিনের সঙ্গে দেখা হওয়ার আনন্দে অঞ্জলি সেদিন তার মাকে রিসিভ করতেই ভুলে গেছিলেন। এরপর সেই বন্ধুর সাহায্যে শচিনের ফোন নম্বর যোগাড় করেন।এরপর শুরু হয় কথা বলা, আর সেখান থেকে সম্পর্কের সূচনা। সাংবাদিক সেজে প্রথমবার শচিনের সঙ্গে দেখা করেন অঞ্জলি শচিনের সঙ্গে দেখা করার জন্য সাংবাদিক সেজে প্রথম তার বাড়িতে গেছিলেন অঞ্জলি।বাড়িতে গিয়ে যখন শচিনকে তিনি চকলেট দেন, তখন তা দেখে ফেলেন শচিনের মা।তখন তিনি সরাসরি অঞ্জলিকে প্রশ্ন করেছিলেন, তুমি কি সত্যিই সাংবাদিক? প্রেম চলাকালীন তারা দুজনে মিলে একটা সিনেমা দেখেছিলেন, যার নাম রোজা। আসলে সেই সময় শচিনের জনপ্রিয়তা এতটাই ছিল যে, তার বাড়ি থেকে বের হওয়াটা অসম্ভব ছিল। তবে অঞ্জলির ইচ্ছাপূরণ করতে আত্মগোপন করে সিনেমা দেখতে যান শচিন। কিন্তু সিনেমার বিরতির সময় আশপাশের দর্শকরা শচিনকে চিনে ফেলেন, যার ফলে মাঝপথেই প্রেক্ষাগৃহ থেকে বের হয়ে আসতে হয় তাকে। ৫ বছর প্রেমের পর বিয়ে পাঁচ বছর ধরে চলে শচিন-অঞ্জলির প্রেম। আসলে শচিন ছিলেন খুবই লাজুক প্রকৃতির, যার ফলে কিছুতেই বাড়িতে বিয়ের কথা বলতে পাচ্ছিলেন না।তখন তিনি অঞ্জলিকে সেই দায়িত্ব দেন, আগে অঞ্জলিকেই তার পরিবারের সামনে বিয়ের কথা বলতে হয়েছিল। ১৯৯৪ সালে আংটি বদল পর্ব শেষ হয় নিউজিল্যান্ডে, তার এক বছর বাদে ১৯৯৫ সালের ২৫ মে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা, বিয়ের আসর বসেছিল মুম্বইতে। সেই সময় তাদের বিয়ে যাতে সরাসরি সম্প্রসারণ করা হয় সে জন্য একটি স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম শচিনের পরিবারকে ৪০ লাখ টাকা দিতে চেয়েছিল।কিন্তু বিয়ের মতো এমন পবিত্র বন্ধনের ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক চুক্তি মেনে নিতে পারেননি টেন্ডুলকার পরিবার। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২৬ মে



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2M0iD5u
May 26, 2020 at 05:52AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top