টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের কপালে কি আছে আসলে? এখনও পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি আইসিসি। ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি বোর্ড মিটিং কিংবা এক্সিকিউটিভ কমিটির মিটিং, এমকি সদস্য দেশগুলোর সিইওদের নিয়ে যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, কোনোটিতেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি এ নিয়ে। প্রতিবারই বলা হয়েছে, দেখি না কি হয়! অর্থ্যাৎ, বাতিল, স্থগিত কিংবা সূচি অনুযায়ী সময়মত আয়োজনের সিদ্ধান্ত- কোনোটাই তারা নেই। বিষয়টা ছেড়ে দিয়েছিল পুরোপুরি সময়ের ওপর। কিন্তু ধীরে ধীরে সময় পার হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং, সিদ্ধান্তটা নিয়েই নিতে হবে। আগামী ২৮ মে রয়েছে আইসিসির বোর্ড সভা। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিতব্য এই বোর্ড সভায় কি সিদ্ধান্ত নেবে আইসিসি? বিশ্বকাপ হবে তো? না হলে, পরিবর্তিত কি সিদ্ধান্ত? তবে এখনই গুঞ্জন তৈরি হয়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আগামী ১৮ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভাগ্যাকাশে কালো মেঘ জমে গেছে। যার কারণে অন্তত দুই বছর পিছিয়ে যেতে পারে এই টুর্নামেন্টটি। ২৮ মের আইসিসির বোর্ড সভায় এমন সিদ্ধান্তই আসতে পারে বলে সূত্রের খবর। ২৮ মের আইসিসির গুরুত্বপূর্ণ সভায় এজেন্ডা হিসেবে উত্থাপিত হওয়ার সম্ভাবনা একাধিক বিষয়ের। করোনা পরবর্তী সময় ক্রিকেট বলে লালা কিংবা থুতুর ব্যবহারের বিষয়টিও আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে মনে করা হচ্ছে, আইসিসি ইভেন্ট কমিটির প্রধান ক্রিস টেটলের তত্ত্বাবধানে ২৮মের সভার মূল আলোচ্য বিষয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং এর ভবিষ্যত। আইসিসির এক প্রভাবশালী বোর্ড সদস্য জানিয়েছে, ওই সভায় আলোচনার বিষয় হিসেবে আইসিসি ইভেন্ট কমিটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের তিনটি দিক তুলে ধরবে। প্রথমটা অবশ্যই মাঠে দর্শক প্রবেশে অনুমতি বজায় রেখে নির্ধারিত সূচি মেনে বিশ্বকাপ আয়োজন করা। সে ক্ষেত্রে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ক্রিকেটারদের ১৪দিনের কোয়ারেন্টাইন আবশ্যক। বিকল্প হিসেবে দর্শকহীন স্টেডিয়ামে খেলার বিষয়টিও ভাবা হয়েছে। আর সর্বশেষ বিকল্প হিসেবে টুর্নামেন্ট ২০২২ পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ার পথও খোলা রাখা হয়েছে। বোর্ড মিটিংয়ে চেয়ারম্যান হিসেবে শশাঙ্ক মনোহরের মেয়াদকাল দুমাস বর্ধিত করার বিষয়টিও আলোচনায় রাখা হবে বলে জানিয়েছেন আইসিসির সেই সদস্য। আইসিসির ওই কর্মকর্তার বক্তব্য, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে গেলে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া খুব একটা খুশি হবে না; কিন্তু দিনের শেষে আইসিসিকে বাকি সদস্য দেশগুলোর কথাও মাথায় রাখতে হবে। যদি সদস্য দেশগুলো মনে করে বিশ্বকাপের পরিবর্তে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ তাহলে সেটাকে অস্বীকার করা যাবে না। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১৭ মে



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3dTcqUS
May 17, 2020 at 06:25AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top