কুয়ালালামপুর, ২৭ মে - বিশেষ ব্যবস্থায় সীমিত আকারে পাসপোর্ট বিতরণ শুরু করেছে মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। তবে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে মালয়েশিয়া সরকার কর্তৃক মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (এমসিও) কার্যকর থাকায় মালয়েশিয়া সরকার প্রদত্ত সকল নিয়ম-কানুন মেনে বুধবার (২৭ মে) সকাল থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পাসপোর্ট বিতরণের কাজ শুরু হয়েছে। কেবলমাত্র জরুরি ভিত্তিতে যাদের পাসপোর্ট প্রয়োজন তাদের ১৬৬ জালান বেসার, পেকান আম্পাংয়ে অবস্থিত হাইকমিশন অফিস থেকে এ সেবা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার প্রধান কাউন্সিলর মো. মশিউর রহমান তালুকদার। এর আগে গত ১৯ মে হাইকমিশনের ফেসবুক পেজে পাসপোর্ট বিতরণ সংক্রান্ত শর্তাবলী জুড়ে ডেপুটি হাইকমিশনার ও দূতালয় প্রধান ওয়াহিদা আহমেদ স্বাক্ষরিত বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞতিতে বলা হয়েছে, হাইকমিশনে আসার সময় অবশ্যই মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস পরে আসতে হবে। অসুস্থ অবস্থায় থাকলে হাইকমিশনে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সর্বক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য ০১৬২৭৪৭৯১৭, ০১৭৬০১৪৪৮৪, ০১১৬১৯৯৪১৩২ ও ০১১৬৪৩৮৬৭৪৮ নম্বরে ফোন করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। এই সময়ে আবেদনকারীকে পাসপোর্ট নেয়ার তারিখ ও সময় জানিয়ে দেয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট পূর্বে অফিসে আসতে হবে। পাসপোর্ট সংগ্রহের নির্দিষ্ট তারিখ ও সময় ব্যতীত অর্থাৎ অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়া কাউকে অফিসে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। এছাড়া উল্লেখিত নম্বরগুলোতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত (ছুটির দিন ব্যতীত) ফোন করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। মিশন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে মালয়েশিযা সরকার ব্যাপক জনসমাগমের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে। এ নিয়ম ভঙ্গ করা হলে এদেশের সরকার তথা পুলিশ কর্তৃক আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে। পাসপোর্ট নবায়নের ক্ষেত্রে কী কী করণীয়-এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার প্রধান কাউন্সিলর মো. মশিউর রহমান তালুকদার জানান, রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে কোনো তথ্য পরিবর্তন না থাকলে সশরীরে হাইকমিশনে আসার প্রয়োজন নেই। ১৯ মে এ-সংক্রান্ত একটি নোটিশে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, আর যদি পরিবর্তন এবং প্রথমবারের মতো বাচ্চার পাসপোর্ট করতে হয় তবে হাইকমিশনের ০১৬২৭৪৭৯১৭, ০১৭৬০১৪৪৮৮৪ এই নম্বরে যোগাযোগ করে আসতে হবে। এমসিও চলাকালীন মালয়েশিয়ার ডাকযোগের (POS LAJU) মাধ্যমে এই সেবা গ্রহণ করা যাবে। তবে সঠিকভাবে পূরণকৃত রি-ইস্যু ফরম এবং হাইকমিশনের নির্ধারিত ব্যাংকের ৫৬৪৪২৭১০২২৬৮ অ্যাকাউন্ট নম্বরে ফি প্রদানের পর মূল রশিদ (হলুদ রংয়ের পেমেন্ট স্লিপ), পুরনো পাসপোর্ট ও ভিসার স্পষ্ট ফটোকপি এবং রি-ইস্যু আবেদন ফর্মে আবেদনকারীর স্বাক্ষর ও মোবাইল নম্বর (হোয়াটসঅ্যাপ আছে এমন নম্বর) ইত্যাদির পূর্ণাঙ্গ ফাইল বাংলাদেশ হাইকমিশনের ঠিকানায় [Bangladesh High Commission, Lot.5B 5C (Lot No. 9 10), Jalan Sultan Yahya Petra, 54100 Kuala Lumpur, Malaysia] রেজিস্টার্ড ডাকযোগে পাঠাতে হবে। পূরণকৃত পূর্ণাঙ্গ ফাইলের এক সেট ফটোকপি কাছে রেখে দিতে হবে। তবে চাহিদাকৃত কাগজপত্র বা ডকুমেন্ট অস্পষ্ট বা অসম্পূর্ণ হলে আবদেনপত্র বাতিল করা হবে। সকল চাহিদাকৃত কাগজপত্র বা ডকুমেন্ট সঠিক থাকলে আবেদনের সঙ্গে প্রেরিত মোবাইল নম্বরে হোয়াইসঅ্যাপ বা মেসেজের মাধ্যমে ডেলিভারি স্লিপ পাঠিয়ে দেয়া হবে। এন এইচ, ২৭ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3c509LB
May 27, 2020 at 11:46AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন