ঘড়ির কাঁটায় ঠিক এগারোটা। বায়ার্ন মিউনিখ ক্লাবের মূল গেটের সামনে দাঁড়িয়ে দুটি বাস। মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস পরে একে একে ক্লাবের লাউঞ্জ থেকে সেই বাসে উঠে পড়লেন থমাস মুলার, ম্যানুয়েল নুয়্যার, রবার্ট লেওয়াডস্কিরা। গন্তব্য মিউনিখের একটি হোটেল, যেখানে শুধুমাত্র বায়ার্ন মিউনিখের ফুটবলারেরাই থাকবেন। পুরো দলকে সেই বিশেষ হোটেলে থাকতে হবে সাত দিনের নিভৃতবাসে। এটা কয়েকদিন আগের ঘটনা। আর দুদিন পর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে জার্মান বুন্দেসলিগা। করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর এই প্রথম ইউরোপে শীর্ষস্থানীয় কোনো একটি লিগ শুরু হতে যাচ্ছে। পূনরাং শুরু হতে যাওয়া লিগের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। শুধুমাত্র টিভিতে সম্প্রচার হবে খেলাগুলো। বায়ার্ন মিউনিখের ফুটবলারদের নিয়ে প্রকাশিত সেই সংবাদে, জার্মানির একটি সংবাদপত্র লিখেছে, ফুটবলারেরা বাসে ওঠার আগেই বিশেষ সুরক্ষা বাহিনী রাস্তায় অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের নির্দেশ দেন, কমপক্ষে একশো গজ দূরে সরে গিয়ে ফুটবলারদের ছবি তোলা যেতে পারে। কোনো অবস্থাতেই কথা বলা যাবে না ফুটবলারদের সঙ্গে। জার্মান সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, শুধু ফাঁকা মাঠে খেলা আয়োজন করলেই হবে না, পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে সব কিছু করতে হবে। বাসে ওঠার আগে ফুটবলার এবং কোচেদের সবাইকে গ্লাভস খুলে হাতে স্যানিটাইজার লাগাতে হয়েছে। পূনরায় শুরু হওয়ার উদ্বোধনী দিনেই বায়ার্নের ম্যাচ রয়েছে অবনমনের শঙ্কায় থাকা এফসি ইউনিয়ন বার্লিনের বিরুদ্ধে। বায়ার্নের মতো বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, আরবি লিইপজিগ, বরুশিয়া মনচেনগ্ল্যাডবাখের মতো দলগুলোর ফুটবলারেরাও ক্লাবের ঠিক করা বিশেষ হোটেলে নিভৃতবাসে থাকবেন এখন। সেখানে কঠোর অনুশাসনে থাকতে হবে ফুটবলারদের। ক্লাবের ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে বায়ার্নের এক্সিকিউটিভ বোর্ডের চেয়ারম্যান কার্ল হেইনজ রুমেনিগে বলেছেন, কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছি আমরা। সরকারের পক্ষ থেকে যা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করাই আমাদের কর্তব্য। সব ফুটবলারকে সেই ছাপানো সরকারি নির্দেশাবলি দেওয়া হয়েছে। কী রয়েছে সেই নির্দেশাবলিতে? বলা হয়েছে, হোটেলে নিজের ঘর থেকে বাইরে বেরোলেই মাস্ক পরতে হবে। দ্বিতীয়ত, ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ এবং ডিনারের টেবিলে একসঙ্গে দুজনের বেশি বসতে পারবে না। নির্দিষ্ট দূরত্বে রাখতে হবে টেবিলগুলোকেও। তৃতীয়ত, এক ঘরে একজন ফুটবলারই থাকতে পারবেন এবং তাকে নিজের বিছানা নিজেকেই পরিষ্কার করতে হবে। কোনো রুম সার্ভিস থাকবে না। চতুর্থত, ফুটবলারদের পরিবারের কোনো সদস্যকে হোটেল চত্বরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। ফোন করতে হলে ঘরে বসেই করতে হবে। ঘরের বাইরে পা রাখা যাবে না। বুন্দেশলিগার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রিশ্চিয়ান সাইফার্ট বলেছেন, আমরা মনে করি, প্রত্যেক ফুটবলার এই নিয়মগুলি পালন করার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল হবেন। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১৫ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3bAk6K6
May 15, 2020 at 04:17AM
এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ...
তিন দলের ওয়ানডে টুর্নামেন্টের সূচি প্রকাশ
07 Oct 20200টিঢাকা, ০৭ অক্টোবর- শ্রীলংকা সফর না হওয়ায় ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। দেশের মূল ক্...আরও পড়ুন »
বার্তামেউয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট!
07 Oct 20200টিবার্সেলোনার বোর্ড নির্বাচন আগামী মার্চে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ওই সময়ই ঠিক হওয়ার কথা জোসেপ মারিও বার্তা...আরও পড়ুন »
বেতন কাটা নিয়ে বার্সার আলোচনা শুরু
07 Oct 20200টিকরোনার কারণে গত মার্চ থেকে কমাস ফুটবল বন্ধ ছিল। এ সময় বড় ক্লাবসহ বিশ্বের অধিকাংশ ক্লাবই ফুটবলারদের ব...আরও পড়ুন »
অস্ট্রেলিয়া-ভারত গোলাপি বলের টেস্ট চূড়ান্ত
07 Oct 20200টিক্যানবেরা, ০৭ অক্টোবর- এ বছরের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের চার টেস্টের সিরিজ দিবারাত্রির ম্যাচ দিয়...আরও পড়ুন »
নারীর প্রতি মনোভাব বদলের ডাক মাশরাফীর
07 Oct 20200টিঢাকা, ৭ অক্টোবর- উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে নারীর প্রতি সহিংসতার হার। সিলেটে এমসি কলেজসহ নোয়াখালীর বেগমগঞ্...আরও পড়ুন »
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.