ঢাকা, ২২ মে- ২০১০ সালের নিউজিল্যান্ড সফরে আট নম্বরে নেমে টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তখন তার ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনিল গাভাস্কার। জানিয়েছিলেন এত নিচে খেলা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মাহমুদউল্লাহই বিশ্বসেরা। কিংবদন্তি ক্রিকেটারের কাছ থেকে মাহমুদউল্লাহর ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার সেটিই প্রথম ঘটনা নয়। নিজের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় বছরেই তার জন্য সুপারিশ করেছিলেন খোদ ভারতীয় ক্রিকেট ঈশ্বর শচিন টেন্ডুলকার। শচিনের সুপারিশেই জীবনের প্রথম স্পন্সরও পান বর্তমান বাংলাদেশ দলের অন্যতম সিনিয়র ক্রিকেটার। ঘটনা ২০০৮ সালের। ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে ভারত ও পাকিস্তান তখন বাংলাদেশে। কাঁধের চোটের কারণে একদম শেষমুহূর্তে ছিটকে যান শচিন। তবে যাওয়ার আগে মাহমুদউল্লাহর ব্যাপারে নিজের মুগ্ধতার কথা জানিয়ে যান ক্রীড়াসামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এডিডাসকে। তখন শচিনের স্পন্সর ছিল এডিডাস। তার কথায় মাহমুদউল্লাহকেও স্পন্সরশিপের প্রস্তাব দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। বৃহস্পতিবার রাতে ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে এক ফেসবুক লাইভে এ কথা জানিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ নিজেই। তবে প্রসঙ্গটা এনেছিলেন জনপ্রিয় সঞ্চালক কাজী সাবির। শচিনের সেই সফরের কথা মনে করিয়ে দিতেই নিজ থেকে বাকিটা বলেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি বলেন, উনার (শচিন) সঙ্গে খেলেছি ২০০৮ সালে। হোম সিরিজ ছিল আমাদের। আমার অভিষেক হয়েছিল ২০০৭ সালের জুলাইয়ে। ঐ সিরিজটাতে আমি মোটামুটি ভালোই করেছিলাম। একদিন আমি অনুশীলন থেকে বাসায় ফিরছিলাম। তখন গাড়িতে একজন আমাকে ফোন দেয়। তখন শচিন স্যারের স্পন্সর অ্যাডিডাস। যেহেতু আমি তরুণ ক্রিকেটার, তখন আমার কোন স্পন্সর ছিলো না। উনি আমাকে বললেন যে, শচিন স্যার সুপারিশ করেছে আপনাকে স্পন্সর করার জন্য। শচিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মাহমুদউল্লাহ আরও বলেন, আমি বুঝতে পারছিলাম না কী বলব। তখন আমি তাকে ধন্যবাদ দেই। হয়তো সামনাসামনি কখনও বলা হয়নি। উনার খেলা দেখে বড় হয়েছি, উনার সঙ্গে খেলতে পারা সৌভাগ্য বলতে হয়। উনার কাছ থেকে এতো বড় কমপ্লিমেন্ট এবং সাজেশন পাওয়া অনেক বড় অর্জন। উনাকে সত্যি অনেক ধন্যবাদ। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/২২ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3gcX7s8
May 22, 2020 at 10:29AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন