রাজশাহী, ০১ জুন - রাজশাহীতে নিজ বাড়ির সামনে এক পরিচ্ছন্নতা কর্মীর গায়ে হাত তুলেছেন জাতীয় ক্রিকেটার সাব্বির রহমান রুম্মন। রোববার (৩১ মে) সন্ধ্যার পর রাজশাহীর এক অনলাইনে এমন খবর প্রকাশের পর তা বিদ্যুৎ গতিতে ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইনে। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। ক্রিকেটার সাব্বির রহমান আবারও হতে থাকেন নিন্দিত। কিন্তু যাকে নিয়ে এত কথা, যার বিপক্ষে পরিচ্ছন্নতা কর্মীর গায়ে হাত তোলার অভিযোগ, সেই সাব্বির রহমান সরাসরি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। রোববার রাতে সাব্বির জানান, তিনি ওই পরিচ্ছন্নতা কর্মীর গায়ে হাত তোলেননি। বিষয়টি অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। বরং ওই পরিচ্ছন্নতা কর্মীই তার সঙ্গে অসৎ আচরণ করেছেন। তবে স্বীকার করেছেন, তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়েছে। কিন্তু কোনোরকম মারধরের ঘটনা ঘটেনি। করোনায় লকডাউনে নিজ শহর রাজশাহীতে অবস্থানরত সাব্বির রহমান জানান, আমি আজ (রোববার) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে পারিবারিক কিছু প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে বাইরে থেকে গাড়িতে করে বাসায় ঢুকছিলাম। আমার বাসার সামনে একটি বড় গেট আছে। দেখি ঠিক রাস্তা মাঝখানে সেখানে একটি ময়লা নিষ্কাষণের গাড়ি দাঁড় করানো। তবে ড্রাইভার নেই। আমি তাই হর্ন বাজিয়ে তাকে ডাকার চেষ্টা করি। লোকটি পাশে গল্প করছিল। সে আমাকে বিড়বিড় করে কি যেন বলছিল। এবং চোখের ভাষা ও মুখায়বে নেতিবাচক অঙ্গভঙ্গি করছিল। আমি তাকে ভাই বলে ডাকি। আমি তাকে, বললাম এখানে গাড়ি রেখেন না। কোন সাইডে রাখেন না। সে আমাকে বলে হর্ন বাজান কেন? সে আমাকে উল্টো উত্তপ্ত করতে শুরু করে। আমি ন্যাশনাল ক্রিকেটারতো কী হয়েছে-এই বলে হাড়া গলায় তির্যক কথাবার্তা বলতে শুরু করে। আমি খানিক বিব্রতবোধ করি। কারণ সেই মানুষটি আমার বাসার পাশেই থাকে। আমার ভেতরে খারাপ লাগার আরও একটি কারণ হলো, আমার আব্বা তাকে নিয়মিত সাহায্য-সহযোগিতা করেন। আমিও করোনাকালীন সময়ে যা পেরেছি সাহায্য করেছি। সেই মানুষটি আমার সাথে এমন ব্যবহার করতে পারে দেখে ও শুনে মনটা খারাপ হয়ে যায়। সাব্বির রহমান বলেন, একপর্যায়ে হয়তো আমি দুটি কথা বেশি বলে ফেলেছি। আমি তাই করেছি। কিন্তু মারিনি। তার গায়ে হাত তোলার প্রশ্নই আসে না। মারার প্রয়োজনও নেই। আর সবচেয়ে বড় কথা, এমন ঘটনা ঘটালে কী শাস্তি হয়, তা আমি কয়েক বছর আগেই জেনেছি। সেটা আমার জীবনের একটা শিক্ষা হয়ে আছে। ওর সাথে আমার তর্কাতর্কি হয়েছে। মারধরের ঘটনা ঘটেনি। আমি ওসি সাহেব আর মেয়র সাহেবের সাথে কথা বলেছি। কিছুই হয়নি। তারাও আমাকে জানিয়েছেন, এটা ছোট্ট একটি ঘটনা। এটা অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। আমি ওই পরিচ্ছন্নতা কর্মীর গায়ে হাত তুলেছি-এই খবর রটে গেলেও যার সাথে আমার তর্কাতর্কি হয়েছে, সেই পরিচ্ছন্নতা কর্মী যে প্রায় শ খানেক লোকজন নিয়ে যে আমাকে শাসিয়েছে, সে খবরটি কিন্তু আসেনি। একজন জাতীয় ক্রিকেটারের সাথে বচসাকে কেন্দ্র করে আমার বাসায় এসে শাসানোর ঘটনা ঘটিয়ে গেল। আমি তখন বাসায় একা ছিলাম। কই আমিতো তখন কোনো রিঅ্যাকশন দেখাইনি। সে খবরটি তো প্রকাশ করলেন না। আফসোসের সুরে কথাগুলো বলেন সাব্বির। আসলে ব্যক্তি ইমেজে একবার খারাপ তকমা লাগলে সাধারণ মানুষের ধারণা যে, নেতিবাচক হয়ে যায় এবার তা হাড়ে হাড়ে টের পেলেন এই জাতীয় ক্রিকেটার। দোষ না করেও দোষী হয়ে গেলেন। অপরাধ না করে অপরাধীর খাতায় নাম উঠে গেল। সাব্বিরের চিন্তা, বিসিবি বিষয়টিকে কীভাবে নেবে। এমনিতেই তার ওপর পরপর দুইবার শাস্তির খড়গ নেমে এসেছে। এবার কড়া হুঁশিয়ারিও দেয়া আছে। এর পরে মাঠ ও মাঠের বাইরে কোনো শৃঙ্খলাবিরোধী ও অপকর্ম করলে কঠিন শাস্তির মুখে পড়তে হবে। তাই সাব্বিরের মনে শঙ্কা-সংশয় এবার পরিচ্ছন্নতা কর্মীর সাথে তর্কাতর্কির কারণে না আবার না জানি নতুন করে শাস্তির মুখে পড়তে হয়! সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০১ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2AmgnCV
June 01, 2020 at 03:27AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন