মুম্বাই, ০৮ জুন- যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ফ্লয়েড হত্যার পর পুরো বিশ্ব একজন এক যোগে শুরু করেছে বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভ। বর্ণবৈষম্যের শিকার খেলোয়াড়রাও এক এক করে মুখ খুলছেন, শেয়ার করছেন নিজেদের অভিজ্ঞতা। বর্ণবাদবিরোধী এ আন্দোলনে শুরু থেকেই সরব ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুইবারের বিশ্ব টি-টোয়েন্টি শিরোপাজয়ী অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। বিশদ এক বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, তাদের অনেক জায়গায়ই বর্ণবাদী আচরণের শিকার হতে হয়। কিন্তু স্যামি এটি জানতেন না, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মতো বড় টুর্নামেন্টেও নিয়মিত তাকে বর্ণবাদী মন্তব্য শুনতে হয়েছে। আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলার সময় স্যামি ও শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরার ডাকনামই দেয়া হয়েছিল কালু। এতদিন পর ওই শব্দের অর্থ বুঝতে পেরে রেগে আগুন সাবেক ক্যারিবীয় অধিনায়ক। তার ভাবতেই খারাপ লাগছে কৃষ্ণাঙ্গ বলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ সতীর্থরা তাকে এমনভাবে খাটো করতেন। ২০১৩-১৪ মৌসুমে হায়দরাবাদের হয়ে ২৬টি ম্যাচ খেলেছেন স্যামি। তার সঙ্গে একই দলে ছিলেন ভারতের ইরফান পাঠান, পার্থিব প্যাটেল, ভেনুগোপাল রাওরা। তবে তারা কেউই স্যামির এমন অভিযোগ মানতে চাইলেন না। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান পার্থিব প্যাটেল দ্য টেলিগ্রাফ-এর সঙ্গে আলাপে বলেন, কাউকে এমন কোনো শব্দ (অপমানজনক) ব্যবহার করতে শুনেছি বলে আমার মনে পড়ে না। বর্তমানে অন্ধ্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক হয়ে যাওয়া ভেনুগোপালও একইরকম কথা বলেন। তার ভাষায়, আমি নিশ্চিত নই (এই ব্যাপারে)। আমি এমন কিছু শুনিনি। সানরাইজার্সে খেলা ভারতের সাবেক বাঁহাতি পেসার ইরফান পাঠান মনে করেন, যদি এমন কিছু ঘটতো, তবে নিশ্চয়ই আলোচনা হতো। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে টুকটাক বর্ণবাদী কথাবার্তা হয়, অস্বীকার করেননি তিনি। ইরফান বলেন, আমি তার (স্যামি) সঙ্গে ২০১৪ সালে একই দলে ছিলাম। আমার মনে হয় যদি এমন ঘটনা ঘটতো, তবে অবশ্যই আলোচনা হতো। যেহেতু বড় পরিসরে এই ধরনের আলোচনা শোনা যায়নি, তাই আমি এই বিষয়ে অবগত নই। তবে এটাও ঠিক আমাদের এই শিক্ষাটা প্রয়োজন আছে, কেননা আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে এসব দেখেছি। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/৮ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2UkzJj5
June 08, 2020 at 01:21PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন