কলকাতা, ২৯ জুন- করোনা লকডাউনে চলে গেছে শেষ সম্বল চাকরিটাও৷একমাত্র বাচ্চা ছেলেটার মর্মান্তিক মৃত্যুর শোক এখনো কাটানো সম্ভব হয়নি৷মন খারাপের অতলে তলিয়ে যেতে যেতে শেষ পর্যন্ত স্ত্রীও হাতটা ছেড়ে গেল! অন্য পুরুষের ভালবাসায় মজেছে স্ত্রীর মন৷আর কতো সহ্য করা যায়? শেষ পর্যন্ত চাপ আর নিতে না পেরে আত্মহত্যার পথই বেছে নিতে হল যুবকের। এমন মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী পশ্চিমবঙ্গের হরিদেবপুর। কাজল দাস নামের হতভাগ্য ওই যুবক ফাঁসির দড়িতে ঝুলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট। সেখানে স্ত্রীর পরকীয়ার কথা উল্লেখ করেছেন কাজল দাস। একটি বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন কাজল। লকডাউনে কাজ হারান। কোনো উপায় না দেখে রোজগারের জন্য সেই সময় কাজলের স্ত্রী আত্মীয়ের বাড়িতে রান্নার কাজ নেন। কাজল পরে জানতে পারেন, আত্মীয় নয়, ওই ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছেন স্ত্রী। কাজলের আপত্তি সত্ত্বেও স্ত্রী কাজ ছেড়ে দিতে রাজি হননি। এরপর কাজলকে ছেড়ে তার স্ত্রী ওই ব্যক্তির বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। রবিবার সকালে কাজলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কাজল আত্মহত্যাই করেছেন। সোমবার ময়নাতদন্ত করা হবে। গত কালীপুজোর সময় পটকা ফাটাতে গিয়ে তার একমাত্র ছেলের মৃত্যু হয়। তারপর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কাজল। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, অবসাদের কারণেই এমন ঘটনা ৷ সূত্র: নিউজ ১৮ আর/০৮:১৪/২৯ জুন



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2ZiVJw9
June 28, 2020 at 09:45PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top