করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে শুরু হয়েছে ক্লাব ফুটবল। এসময় যেকোন খেলোয়াড় হাসপাতালে যাওয়া মানেই সবার মনে এক আতঙ্ক, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি তো? একসঙ্গে এত জন এক মাঠে খেলতে নামায় সমস্যা হয়নি তো? পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকার দুই ফুটবলারের ক্ষেত্রেও হয়তো এমন ভাবা হতো, যদি তাদের হাসপাতালে যাওয়ার পেছনের নির্দিষ্ট কারণ না জানানো হতো। ক্লাবটির দুই ফুটবলার জার্মান মিডফিল্ডার জুলিয়ান উইগল এবং সার্বিয়ান উইঙ্গার আন্দ্রিজা জিভকোভিচকে হাসপাতালে যেতে হয়েছে সমর্থকদের ছোড়া ইটের আঘাতে। বৃহস্পতিবার রাতে করোনা পরবর্তী সময়ে লিগ চালু হওয়ার পর নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল বেনফিকা। নিজেদের ঘরের মাঠে তুলনামূলক তন্দেলার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছেন পর্তুগিজ লিগের টেবিল টপাররা। এই ম্যাচের পর বেনফিকার মূল মাঠ থেকে ট্রেনিং গ্রাউন্ডে যাওয়ার পথে লিসবনের কোন এক জায়গায় টিম বাসে ঢিল ছোড়েন কতিপয় সমর্থক। তাদের এসব ইটের আঘাতে ভেঙে যায় বাসের জানালা এবং কাচের টুকরো লেগে আহত হন উইগল ও আন্দ্রিজা। প্রাথমিকভাবে তাদেরকে ট্রেনিং কমপ্লেক্সের মেডিকেল স্টাফরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন। তবে ঝুঁকি এড়াতে দুজনকেই নিকটস্থ হাসপাতালে নেয় ক্লাব কর্তৃপক্ষ। সেখানে গুরুতর কোন সমস্যা ধরা পড়েনি উইগল বা আন্দ্রিজার। এমন ঘৃণ্য কাজের প্রতিবাদ জানিয়েছে বেনফিকা। ক্লাবের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বেনফিকা এমন সন্ত্রাসমূলক কাজে প্রতিবাদ জানায়। আমাদের টিম বাস এর শিকার হয়েছে। আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করছি, দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হোক। এদিকে লিগ কর্তৃপক্ষ এটিকে কাপুরোষোচিত আখ্যা দিয়ে এক বিবৃতিতে বলেছে, বর্তমান সমাজে এখনও এমন ঘটনা ঘটে, এটা সত্যিই মেনে নেয়ার মতো নয়। এটা সবার জেনে রাখা উচিৎ, এমন কাজ যারা করে, তারা মোটেও ফুটবল সমর্থক নয়। দোষীদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। জার্মানির ২৪ বছর বয়সী উইগলের জন্য এমন ঘটনা প্রথম নয়। ২০১৭ সালে তিনি যখন বরুশিয়া ডর্টমুন্ডে ছিলেন, তখন উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের আগে তাদের টিম বাসকে লক্ষ্য করে ভারী বিষ্ফোরক ছোড়া হয়েছিল। সে যাত্রায় বেঁচে গিয়েছিলেন বরুশিয়ার সকল খেলোয়াড়। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০৭ জুন



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3eVNDQs
June 07, 2020 at 04:07AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top