নয়াদিল্লি, ২২ জুন- বাবা প্রেম কোহলি খুব করেই চাইতেন, ছেলে বড় ক্রিকেটার হবে। বাবার সে স্বপ্ন পূরণ করেছেন বিরাট কোহলি। এবং সেটা সবার থেকে এগিয়ে থেকেই। ভারতীয় অধিনায়ক এখন বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যান। কিন্তু যিনি তাকে মাঠে দেখে আনন্দে হাততালি দেবেন, সেই বাবাই তো নেই! ২০০৬ সালের ঘটনা। কোহলি তখন সবে ১৮ বছরে পা দিয়েছেন। দিল্লির হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে কর্ণাটকের বিরুদ্ধে খেলছিলেন। ৪০ রানে অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শেষ করেন কোহলি। সেই রাতেই চোখের সামনে বাবাকে চলে যেতে দেখেছিলেন। কিন্তু বাবার স্বপ্নপূরণে পিছপা হননি কোহলি। বাবাকে হারানোর পরদিনও অপরাজিত ইনিংসটা শেষ করতে মাঠে নেমেছিলেন। দারুণ ব্যাটিং করে দলকে ফলোঅন থেকেও বাঁচিয়েছিলেন কোহলি। স্বপ্নকে তাড়া করা সেই তরুণই হাঁটি হাঁটি পা করে আজ এত বড় তারকা। বাবার মৃত্যুর পর ১৩ বছর কেটে গিয়েছে। বর্তমান সময়ে নিজেকে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবেই নয় দেশের অধিনায়ক হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করেছেন কোহলি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭০টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে কিংবদন্তি শচিন টেন্ডুলকারের একশো সেঞ্চুরির দিকে ছুটছেন। হয়তো এক সময় ব্যাটিংয়ের বড় বড় সব রেকর্ড ভেঙে ফেলবেন। কিন্তু একটা আক্ষেপ তো থেকেই যাবে। বাবা যে তার সাফল্য দেখে যেতে পারলেন না! আজ (রোববার) বাবা দিবসে সেই বাবার কথা মনে করে বেশ আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লেন কোহলি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে জন্মদাতার সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে এক আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। যেখানে ভারতীয় দলপতি লিখেছেন, এই বাবা দিবসে সবার কাছে অনুরোধ, তারা যেন বাবার ভালোবাসার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকে। তবে সবসময় সামনে এগিয়ে যেতে নিজের পথটা ঠিক রাখবে। তোমার কখনই পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। কারণ তারা তোমার সঙ্গে থাকুন বা না থাকুন, সবসময়ই দেখছেন। হ্যাপি ফাদার্স ডে। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/২২ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2YYKMzV
June 21, 2020 at 09:39PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন