করোনাভাইরাসের কারণে মাঠে দর্শক প্রবেশ নিষিদ্ধ। পুরোপুরি ক্লোজডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইউরোপের ফুটবল লিগগুলো। ৯০ দিনের বেশি বন্ধ থাকার পর ১১ জুন মাঠে ফিরেছে স্প্যানিশ লা লিগা। শনিবার রাতে ছিল লিওনেল মেসিদের ক্লাব বার্সেলোনার ম্যাচ। রিয়াল মায়োরকার মাঠে গিয়ে খেলে এসেছে মেসিরা। ওই ম্যাচে মেসি ম্যাজিকে ৪-০ গোলে জয়ও পেয়েছে বার্সা। কিন্তু দর্শক প্রবেশের অনুমতি না থাকলে কি হবে, এক মেসির সেলফি শিকারী ঠিকই সবার অলক্ষ্যে প্রবেশ করে ফেলেছিল রিয়াল মায়োরকার স্টেডিয়াম সন মোয়িক্সের ভেতর। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার খানিক পরই ঘটে এ ঘটনা। হঠাৎ দেখা গেলো সেই সমর্থককে দিব্যি হেঁটে বেড়াচ্ছে মাঠের পাশে। তার লক্ষ্য ছিল মেসি। তবে তার আগে তিনি জর্দি আলবার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। এরপর মোবাইলটা এগিয়ে ধরে মেসির কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তার মধ্যে সামাজিক দুরত্ব মানার কোনোই চেষ্টা দেখা যায়নি। এর মধ্যেই হাজির হয়ে যান বেরসিক পুলিশ। দুজন পুলিশ এসে তাকে ঝাপটে ধরেন এবং টেনে-হিঁচড়ে মাঠ থেকে বের করে নিয়ে যান। কে এই মেসি ভক্ত? কিভাবেই বা তিনি বন্ধ স্টেডিয়ামের ভেতরে ঢুকে পড়লেন? খেলা শেষে স্প্যানিশ রেডিও ক্যাডেনা কোপকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই সেলফি শিকারি জানান, তিনি একজন ফরাসি নাগরিক। থাকেন মায়োরকাতেই। তবে নাম প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। সেই ফরাসি নাগরিক জানান, মায়োরকার সন মোয়িক্স স্টেডিয়ামের ২ মিটার উঁচু দেয়াল টপকেই তিনি দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে মাঠে প্রবেশ করেন। মাঠে দর্শক না থাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল কিছুটা ঢিলেঢালা। এ সুযোগটাকেই কাজে লাগান তিনি এবং সোজা ঢুকে পড়েন স্টেডিয়ামের ভেতরে। তিনি বলেন, আমি পরিকল্পনাই করেছিলাম যে, ম্যাচ চলাকালীন কেউ খুব একটা খেয়াল করবে না, কেউ দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকেছে কি না। আমি এ সুযোগটাই নিয়েছি। আমি চেয়েছি মেসির সঙ্গে একটা ছবি তুলতে। কারণ, সে হচ্ছে আমার আইডল। আমি একটা ছবি তুলেছিলামও। কিন্তু সেটি ভালো হয়নি। যদিও নিরাপত্তারক্ষীরা আমার সেই ছবি ডিলিট করে দিতে বাধ্য করেছিল। জর্দি আলবার কাছে গিয়েছিলাম মেসি সম্পর্কে একটু কথা বলতে। ওটা ছিল আমার জন্য সত্যিই এক দুর্দান্ত মুহূর্ত। স্প্যানিশ লা লিগা ম্যাচের পর এক বিবৃতি প্রকাশ করে সেই সমর্থকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে মামলা করবে বলে জানিয়েছে। কারণ, তাদের চোখে এটা স্পষ্ট অপরাধ। একে তো নিরাপত্তা ঝুঁকি। তারওপর, করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা ঝুঁকিও তৈরি করেছিল সেই সমর্থক। স্বাগতিক মায়োরকা যদিও এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি। কিভাবে তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে ফেলতে পারলো একজন সমর্থক, তা নিয়েও তাদের কাছ থেকে এখনও কোনো বক্তব্য আসেনি। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির ভয়ে দর্শকছাড়াই অনুষ্ঠিত হচ্ছে লা লিগার ম্যাচগুলো। ম্যাচে অংশ নেয়া খেলোয়াড়, কর্মকর্তা, আয়োজক ও সম্প্রচারকারী সংস্থার কর্মচারী, কর্মকর্তাসহ প্রতি ম্যাচে মোট ২২৯জন মানুষ মাঠে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১৫ জুন



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Y2pqSN
June 15, 2020 at 05:09AM
15 Jun 2020

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

 
Top