ঢাকা, ০৫ জুন - করেনাভাইরাসের ভয়াবহতা আর প্রাননাশী রুপ সবাইকে তটস্ত করতে পারলেও, ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ মুশফিকুর রহীম সতর্ক-সাবধানী হয়ে চলার পাশাপাশি মুখিয়ে আছেন মাঠে ফিরতে। ক্রিকেট যার ধ্যান-জ্ঞান, খেলার বাইরেও অন্য কিছু, সেই মুশফিক বারবার ব্যক্তিগত পর্যায়ে অনুশীলন করার অনুমতি চাচ্ছেন বোর্ডে। খেলার পাশাপাশি অনুশীলনটাও তিনি দারুণ উপভোগ করেন। সবচেয়ে বেশি সময় ধরে প্র্যাকটিস করেন। নেটেও যার প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা কাটে- সেই মুশফিক ঘরে বসে থাকতে থাকতে একদম হতোদ্যম হয়ে গেছেন। দিন গুনছেন অন্ততপক্ষে অনুশীলনে ফেরার। মুশফিকের সে ইচ্ছা পূরণ হতে যাচ্ছে। অবশেষে বিসিবি ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত পর্যায়ে অনুশীলন করার সুযোগ দিতে চাচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি সপ্তাহের শেষেই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত পর্যায়ে অনুশীলন শুরুর সুযোগ দেয়া হবে। আজ (শুক্রবার) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান। তিনি জানিয়েছেন, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ কয়েকটি মাঠে জাতীয় ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত পর্যায়ের অনুশীলনের সুযোগ করে দিতে চাই। এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার ৪-৫ দিন পর সে সুযোগ পাবে ক্রিকেটাররা। তখন ওরা নিজ ইচ্ছায় মাঠে গিয়ে অনুশীলন করতে পারবে। মাঝে শোনা গেল সংস্পর্শহীন প্র্যাকটিসের কথা। করোনা সংক্রমনের কথা মাথায় রেখে একসঙ্গে সবাই দল বেধে নয়, কারও সঙ্গে কারও যেন শারীরিক স্পর্শ না ঘটে, সেভাবে অনুশীলন ব্যবস্থার কথা জানিয়েছিলেন বিসিবি প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী। করোনার ভয়াবহতার মধ্যেও ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনুশীলন করতে দেয়া কেন? এত তাড়া কিসের? নিকট ভবিষ্যতে বা সামনে তো জাতীয় দলের কোন কার্যক্রমও নেই। তবে কি শ্রীলঙ্কা সফরের কথা মাথায় রেখেই ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত পর্যায়ের প্র্যাকটিস সুবিধা প্রদানের চিন্তা? আকরাম খানের ব্যাখ্যা, না না। আমরা পরিবেশ-পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেবো। শ্রীলঙ্কা সফর এখনও নিশ্চিত নয়। এ সম্পর্কে এখনই চূড়ান্ত মন্তব্য করা ঠিক হবে না। হয়তো ১০-১২ দিন পর ঐ সিরিজ সম্পর্কে পাকা কথা বলতে পারব। পরিস্থিতি ভাল হলেই কেবল শ্রীলঙ্কায় টেস্ট খেলতে যাওয়া হবে। বিসিবি ক্রিকেট অপারেশনস কমিটি প্রধান যোগ করেন, টেস্ট মানে হচ্ছে ৫ দিনের খেলা। তিনটি টেস্ট মিলে অনেক দিনের ব্যাপার স্যাপার। সারা দিন মাঠে থাকা। কাজেই ঝুঁকির সম্ভাবনাও আছে বেশি। সব খুঁটিয়ে দেখে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেব। শ্রীলঙ্কা সফর নিয়ে যদি এখনও তড়িঘড়ি নাই থাকে, তাহলে করোনার এমন ভয়াল রুপের ভেতরে ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত পর্যায়ে অনুশীলন করার অনুমতি কেন? আকরাম খানের জবাব, আমরা বারবার বলছি, কোন রিস্ক নেবো না। দল বেধে অনুশীলন না করার চিন্তাও চূড়ান্ত। তাহলে একা একা প্র্যাকটিস করতে দেয়ার কারণ কী? আকরামের ব্যাখ্যা, এটা আসলে পরিষ্কার করা দরকার। বিসিবি যেচে কিন্তু এ ব্যক্তিগত অনুশীলনের উদ্যোগ নেয়নি। এটা বিসিবির প্ল্যান না। ক্রিকেটারদের ইচ্ছা পূরণ। কেউ যদি চায়, তারা যাতে অনুশীলন করতে পারে । সেটা ঢাকায় হলে ঢাকায়, চিটাগাং হলে চিটাগাংয়ে। আমরা শুধু তাদের অনুশীলন করার ব্যবস্থা করে দেবো। সেজন্য যা যা দরকার, তাও ব্যবস্থা করে দেয়া হবে। অন্যকিছু নয়। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০৫ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Y60xEC
June 05, 2020 at 12:29PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন