ঢাকা, ২৫ জুন- জনপ্রিয় চিত্রনায়ক রিয়াজ। করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবার শুটিং শুরু হলেও এখনো ঘরেই আছেন তিনি। কীভাবে সময় কাটছে, কবে থেকে শুটিং শুরু করবেন-এসব ছাড়াও সমসাময়িক অনেক বিষয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন-ফয়সাল আহমেদ কেমন আছেন? আলহামদুলিল্লাহ। সবার দোয়ায় এখন পর্যন্ত সুস্থ আছি। করোনার কারণে দীর্ঘদিন বাসায় আছেন। সময় কাটে কীভাবে? নতুন আশা নিয়ে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠি, হয়তো উঠেই শুনব করোনা ভাইরাস আমাদের দেশ থেকে চলে গেছে। এর পর নিত্যনৈমিত্তিক কাজ, প্রার্থনা সবকিছু নিয়ে দিন চলে। আবার রাতে ঘুমানোর সময় ভাবি, কাল যদি নতুন একটা সকাল আসে! কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই সকালের দিশা আমরা পাইনি। কবে নাগাদ আসবে, তাও জানি না। কোনো ধরনের মানসিক অবসাদ কাজ করে কি? দিনের পুরোটা সময় কাটে পরিবারের সঙ্গে। তাই মানসিকভাবে খারাপ থাকার কোনো কারণ নেই। জমে থাকা কাজগুলো সম্পর্কে বলুন। করোনার কারণে অপারেশন সুন্দরবন ছবির কাজ বন্ধ আছে। এ ছাড়া উল্লেখ করার মতো কাজ এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না। শুটিংয়ে ফিরবেন কবে থেকে? শুটিংয়ের প্রচুর অফার পাচ্ছি। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে এই মুহূর্তেই শুটিংয়ে যেতে চাচ্ছি না। কারণ শুটিং করার মতো পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়েছে বলে আমার মনে হয় না। যারা শুটিং করছেন, তাদের জন্য দোয়া ও ভালোবাসা। আশা করি, সবাই যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিং করবেন এবং সুস্থ থাকবেন। মহামারীর এই দুঃসময়ে চলচ্চিত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে অনেক তারকাই পারিশ্রমিক কমানোর কথা বলছেন। এ বিষয়টি কতটা ফলপ্রসূ হবে বলে মনে করেন? চলচ্চিত্র কি এখনো বেঁচে আছে কিনা, সেটা আগে জানতে হবে। যদি বেঁচে থাকে, তা হলে বাঁচিয়ে রাখার প্রশ্ন আসবে। আর যদি চলচ্চিত্রই বেঁচে না থাকে, তা হলে পারিশ্রমিক কমিয়ে কি লাভ হবে? চলচ্চিত্র শুধু তৈরি করলেই হবে না, প্রদর্শনও করতে হবে। সিনেমা হল বন্ধ থাকায় অনেকে ভিন্ন উপায়ে ছবি মুক্তির কথা বলছেন। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী? আমার কাছে প্ল্যাটফর্ম কখনই গুরুত্বপূর্ণ না। গুরুত্বপূর্ণ হলো-ছবির গল্প, নির্মাণশৈলী, অভিনয়শিল্পী-সবকিছু মিলিয়ে ভালো একটা টিমওয়ার্ক। কোনো একক নায়কের গলাবাজিতে চলচ্চিত্র চলে, এটা আমি কখনই বিশ্বাস করি না। সেটা আমার ক্ষেত্রেও না। আমি জীবনে যেটাই করেছি, সেটা হলো টিমওয়ার্কের ফল। পরিচালকের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে চলাটাই টিমওয়ার্ক এবং পরিচালকের নির্দেশমতো সব সময় কাজ করার চেষ্টা করে গেছি। ভিন্ন প্ল্যাটফর্ম তো অনেক পরের কথা। আপনি আগে চলচ্চিত্রটা ঠিকভাবে বানান না। সেটাই তো পারছেন না ঠিকভাবে। আপনি চলচ্চিত্র বানাচ্ছেন বাইরের ছবি নকল করে। নকল ছাড়া আপনাদের মাথায় কিছুই নেই। আপনার মেধাকে কাজে লাগাচ্ছেন না। দিন শেষে আবার গলা বাড়িয়ে বলছেন, অসাধারণ ছবি বানিয়েছেন। এখন ইন্টারনেটের যুগ। আপনি কোনটা নকল করছেন, মানুষ এখন সব বোঝে। আমার কথা হচ্ছে, আপনাকে এমন ছবি বানাতে হবে-যেটা মানুষ দেখবে। এর পর চিন্তা করুন-অনলাইন, অফলাইন, সিনেমা হল, টেলিভিশন, নেটফ্লিক্স, আমাজন, ইউটিউব নাকি অন্য কোথাও রিলিজ করবেন। বলিউড তারকা সুশান্ত সিং রাজপুত মারা যাওয়ার পর আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতেও অনেকে নোংরা রাজনীতির কথা বলছেন। আপনি কি কখনো এ রকম রাজনীতির সম্মুখীন হয়েছেন? চলচ্চিত্রে রাজনীতি, এটা কোনো নতুন কথা না। অনেক পুরনো জিনিস। যুগ যুগ ধরেই এটা সব ইন্ডাস্ট্রিতেই হয়ে আসছে। একটা মানুষ যখন তার শিল্পগুণ দিয়ে কাউকে হারাতে না পারে, তখন সে অন্য উপায়ে প্রতিপক্ষকে হারানোর চেষ্টা করে। এক ধরনের রাজনৈতিক কুকৌশলের আশ্রয় নেয়। এ ক্ষেত্রে হয়তো কেউ কেউ সফল হয়, আবার কেউ বা কুকৌশল দেখে দূরে সরে আসে। আমি এমন কিছুর শিকার হয়েছি কিনা, সেটা এখন না বলি। তবে এটা বলি, আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতেও রাজনীতি হয়। এখানে অনেক ধরনের নোংরামী অনেকে চালু করেছেন। আজকে তারাই সেই নোংরামীর শিকার হয়েছেন। কারণ আপনি যদি খাল কেটে কুমির নিয়ে আসেন এবং সেই কুমির দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারানোর বা খাওয়ানোর চেষ্টা করেন দেখবেন সেই কুমির একদিন আপনাকেই কামড়াবে। এম এন / ২৫ জুন



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/31iZ1lN
June 25, 2020 at 08:23AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top