ঢাকা, ২৯ জুন- দেখলে মনে হবে শ্রেণীকক্ষে ছাত্রদের পড়াচ্ছেন কাজী মো. সালাউদ্দিন। বাফুফে সভাপতি মার্কার দিয়ে হোয়াইট বোর্ডে কিছু একটা বোঝাচ্ছেন। জাতীয় দলের গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানাসহ ২৫ জনের মতো ফুটবলারের মনসংযোগ তখন বোর্ডে। সবাই মনযোগ দিয়ে শুনছিলেন তাদের প্রধান অভিভাবকের কথা। ফুটবলারদের কি বুঝাচ্ছিলেন কাজী মো. সালাউদ্দিন? জাতীয় দলের সিনিয়র গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা বলেছেন, তিনি আমাদের ট্রেনিংয়ের কিছু কথা বলেছেন। সেটা বোর্ডে লিখে বুঝিয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে বাইরে ট্রেনিং করা মুশকিল। সভাপতি বলেছেন, ফিটনেস ধরে রাখা নিজের দায়িত্ব। বাসার পাশে খোলা জায়গা থাকলে ফজরের পর বের হয়ে দৌড়াতে হবে। তখন মানুষ কম থাকে। কিভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে সেটাও সভাপতি আমাদের বুঝিয়েছেন। এর আগে মামুনুল ইসলাম, তপু বর্মনসহ বেশ কয়েকজন ফুটবলার এসে পরামর্শ নিয়েছিলেন কাজী সালাউদ্দিনের কাছ থেকে। সোমবার দুপুরের আশরাফুল রানা, মামুনুল, তপু বর্মন, সোহেল রানাসহ ২৫ জনের মতো ফুটবলার এসেছিলেন বাফুফে ভবনে। ফুটবল মৌসুম পরিত্যক্ত। অনুশীলন বন্ধ। এ অবস্থায় ফুটবলাররা কিভাবে তাদের ফিটনেস ধরে রাখবেন সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন তাদের অভিভাবক। কাজী সালাউদ্দিন ফুটবলারদের বুঝিয়েছেন, তা সাবেক ফুটবলার এবং কোচ হিসেবে। বলেছেন, আমি তোমাদের বড় ভাই হিসেবে, সাবেক ফুটবলার ও কোচ হিসেবে কিছু উপদেশ দিচ্ছি। এগুলো কাজে লাগবে। কিভাবে স্প্রিন্ট করতে হবে। বোর্ডে তিনি এঁকে এঁকে দেখিয়েছেন ফুটবরারদের। ৭টি পয়েন্ট করে একটি পয়েন্ট থেকে আরেক পয়েন্টে কিভাবে স্প্রিন্ট করা যায়। ১০ মিটার দূরত্বে পয়েন্ট করে স্প্রিন্ট করে গিয়ে আবার হেঁটে ফিরে আসতে হবে- এ রকম অনেক কিছুই ফুটবলাদের হাতে-কলমে দেখিয়েছেন কাজী মো. সালাউদ্দিন। আশরাফুল রানা বলেছেন, সভাপতি আমাদের আগে ঘুমিয়ে ভোরে ওঠার উপদেশ দিয়েছেন। বলেছেন, ফজরের নামাজের পর বেরিয়ে পড়বা। আগে আগে ঘুমালে সকালে উঠতে পারবা তোমরা। তিনি সাবেক ফুটবলার, কোচ এবং বড় ভাই হিসেবে কথাগুলো বলছেন আমাদের, বাফুফে সভাপতি হিসেবে নয়। তার বিশ্বাস আমরা যদি কাজগুলো করতে পারি তাহলে ক্যাম্প শুরু হলে আমাদের খুব উপকারে আসবে। ফুটবলারদেরও কিছু কথা ছিল, কিছু দাবি ছিল সভাপতির কাছে। সেটাও শুনেছেন কাজী মো. সালাউদ্দিন। মৌসুম পরিত্যক্ত। খেলা নেই। ক্লাবগুলোর সঙ্গে চুক্তির কি হবে, পরের মৌসুম কবে- এসব কিছু। সভাপতি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, কোনো কিছু শুরু করতে হলেই সরকারের অনুমতি লাগবে। আগস্টের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় দলের যে ক্যাম্প শুরু করবো সেটা সরকারের অনুমতি নিয়েই। তারপর ক্লাবগুলোর সঙ্গে বসে তিনি আমাদের সঙ্গে দেনা-পাওনার বিষয়টিও আলোচনা করে ফয়সালা করবেন বলেছেন। পরের মৌসুম ঠিক কবে শুরু সম্ভব, তা এখন অনুমান করা কঠিন। একটু সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন সভাপতি -বলেছেন আশরাফুল রানা। সূত্র : জাগো নিউজ এম এন / ২৯ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3eKW2qj
June 29, 2020 at 06:31PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন