মুম্বাই, ১০ জুন - যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে পুরো বিশ্বে। ক্রিকেটাঙ্গনেও তার ধাক্কা লেগেছে। বর্ণবৈষম্য নিয়ে একে একে মুখ খুলেছেন ক্রিস গেইল, ড্যারেন স্যামি, ডোয়াইন ব্রাভোরা। এর মধ্যে স্যামির অভিযোগ নিয়েই বেশি কথা হচ্ছে। কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড়দের অনেক জায়গায়ই বর্ণবাদের শিকার হতে হয়। কিন্তু স্যামির ব্যাপারটা হয়েছে একটু অন্যরকম। আইপিএলের দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলার সময় ক্যারিবীয় এই অলরাউন্ডারকে ডাকা হতো কালু বলে। তখন তো স্যামি এটার অর্থ বুঝতেন না। এতদিন পর সেই কালু শব্দের অর্থ জানতে পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক। তিনি জোর দিয়েই বলছেন, ২০১৩-১৪ মৌসুমে সানরাইজার্সে খেলার সময় তাকে আর শ্রীলঙ্কার থিসারা পেরেরাকে কালু বলে ডাকা হতো। যদিও স্যামির এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন হায়দরাবাদে তার সঙ্গে খেলা দুই ভারতীয় ক্রিকেটার পার্থিব প্যাটেল এবং ইরফান পাঠান। তাদের দুজনেরই দাবি, এমন কোনো ঘটনার কথা তারা শুনেননি। জবাবে আবারও স্যামি বলেন, কে বা কারা আমাকে ওই নামে ডাকতো তোমরা জানো। সময় হলেই আমি তাদের নাম বলব। খুব বেশি সময় লাগলো না। এবার স্যামির সেই অভিযোগ সত্য হিসেবে সামনে আসলো। ২০১৪ সালে ভারতীয় পেসার ইশান্ত শর্মার এক ইনস্টাগ্রাম পোস্ট থেকে প্রমাণ হয়েছে আসলেই ক্যারিবীয় অলরাউন্ডারকে কালু বলে ডাকা হতো। ইশান্ত শর্মার ৬ বছর আগের সে পোস্ট করা ছবিতে তিনিসহ সানরাইজার্স হায়দরাদের আরও তিন সতীর্থ ভুবনেশ্বর কুমার, ড্যারেন স্যামি আর ডেল স্টেইন রয়েছেন। সেখানে ইশান্ত ক্যাপশন দিয়েছেন, আমি, ভুবি, কালু আর গান সানরাইজার্স। এরপর আর নতুন করে কিছু প্রমাণের দরকার পড়ে না। বোঝাই যাচ্ছে, সানরাইজার্সে খেলার সময় স্যামিকে সতীর্থরা অনেকেই কালু বলে ডাকতেন। তিনি তখন সেটার অর্থ মনে করতেন শক্তিশালী পুরুষ জাতীয় কিছু। তাই প্রতিবাদ করতে পারেননি। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১০ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2MMkhbi
June 10, 2020 at 06:13AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন