মুম্বাই, ২৯ জুন- অভিনয়ের পাশাপাশি সৌন্দর্যেও কোন অংশে কম নয় বলিউড অভিনেত্রী রেখা। যার পুরো নাম ভানুরেখা গণেশন। এ দুইদিকে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলেও রেখার প্রেমভাগ্য এতটাও ভালো ছিল না কখনওই। যতবারই প্রেমে পড়েছেন হয় প্রেম ভেঙেছে, নয়তো বিবাহিত পুরুষ তাঁর জীবনে এসেছেন। অমিতাভ বচ্চন-রেখার প্রেম বলিউডি প্রেমের জলসার মধ্যমণি। সে তুলনায় কম আলোচিত বিনোদ মেহরা ও রেখার প্রেম। জয়ার চোখের জল অমিতকে তখন একটু একটু করে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে রেখার থেকে। ঋষি কাপুর-নীতু সিংয়ের বিয়ের রাতে রেখা যতই সিঁথিতে সিঁদুররেখা টেনে সিমন্তিনী সাজুন, বিগ বি-র ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করুক, তাঁর কাছে ঘেষতে চান, অমিতাভ কিন্তু তত দিনে পরিযায়ী প্রেম সেরে আবার সুরক্ষিত বাসায় ফিরে গিয়েছেন। অমিতাভ যেতেই রেখা আবার একা হয়ে পড়েন। নিশিদিন জ্বলছেন, পুড়ছেন বিরহের তাপে। কিন্তু আগুন নেভানোর মতো কাউকেই পাচ্ছেন না। সেই সময় বিনোদ মেহরা যেন দেবদূত হয়ে ধরা দিলেন অভিনেত্রীর জীবনে। ১৯৭৮ সালে মানিক চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত ঘর রেখার চোখে আরও এক বার সুখী সংসারের ছবি এঁকে দিল। কোনও দিকে না তাকিয়ে রেখা চোখ বুজে আবার প্রেমে পড়লেন ছবির নায়ক বিনোদ মেহরার। কিন্তু এই নায়কও যে বিবাহিত! রেখার মনে যখন প্রেমের নেশা তাকে ঠেকানোর সাধ্যি কোন পুরুষের থাকে? বিনোদও পারেননি। ফলে, প্রেম এল দুদ্দাড়িয়ে। অমিতের ছেড়ে যাওয়া রেখা তখনও ভোলেননি। এ বার তাই তড়িঘড়ি প্রেমিককে নিয়ে কলকাতায় চলে এলেন নায়িকা। কালীঘাটে দেবী কালিকাকে সাক্ষী রেখে বিয়ে সেরে নিলেন সবার আগে। যাতে অমিতের মতো বিনোদও তাঁকে ফাঁকি দিতে না পারেন! কিন্তু যাঁর প্রেম আর বিয়ের ঘরে রাহু-কেতু-শনির দশা তাঁর কপালে এত সহজে সুখ মেলে? বিয়ে সেরে রেখা বিনোদের হাত ধরে চললেন শ্বশুরবাড়িতে সংসার করতে। দুজনেরই ধারণা ছিল, দুজনকে একসাথে দেখলে পরিবার তাঁদের ফেলতে পারবে না। কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি! লিফটে করে বিনোদের ফ্ল্যাটে পৌঁছে ডোর বেল বাজাতেই মুখোমুখি হলেন শাশুড়ি। শাড়ির আঁচল ভাল করে গায়ে জড়িয়ে নিচু হয়ে রেখা যেই পা ছুঁতে গেলেন অমনি ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিলেন বিনোদের মা! তার পর অবিশ্রান্ত গালিগালাজ আর গায়ে হাত! কিংকর্তব্যবিমূঢ় রেখা তখনও দরজায় দাঁড়িয়ে। পাশে মাথা নিচু করে বিনোদ মেহরা। এত অপমানের পরেও রেখা যাচ্ছেন না দেখে, শেষে জুতা খুলে রেখাকে ঘা কতক বসিয়ে দিলেন তিনি। এ বার যেন হুঁশ ফিরল ঘর-এর স্বপ্ন দেখা নায়িকা আরতি রেখার। বিনোদকে একটাও কথা বলতে না দেখে বুঝলেন, ঘর তাঁর কোনও দিনই হবে না! মাথা নিচু বিনোদের পাশ কাটিয়ে যখন রেখা মেহরা হাউজ ছেড়ে লিফটের দিকে এগোচ্ছেন, দুচোখে জল টলমল করছে। লিফটের চারপাশে, বাড়ির বাইরে বহু জন তখন তামাশা দেখতে ব্যস্ত! রেখার জীবনে ঘর না হওয়ার এই জ্বালা উঠে এসেছে ইয়াসির উসমানের রেখা: দ্য আনটোল্ড স্টোরি জীবনীতে। পরে সিমি গারেওয়াল তাঁর শো-তে সেই নিয়ে প্রশ্ন করলে, রেখা দুই চোখে এক সমুদ্র জল আটকে হাসতে হাসতে বলেছিলেন, ধুর! সব রটনা। ও সব বিশ্বাস করো না। বিনোদ খুব ভাল বন্ধু ছিলেন! এতটাই ভাল বন্ধু যে মায়ের মারধর আটকে বাঁচাতে পারেননি রেখার সম্মান! এম এন / ২৯ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2BStGvO
June 29, 2020 at 05:12PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন