ঢাকা, ২৪ জুলাই- করোনাকালের শুরু থেকেই সক্রিয় ছিলেন তাসকিন আহমেদ। নিজস্ব উদ্যোগে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। ছয় কেজি ওজন কমিয়েছেন। ফিটনেস নিয়ে তাসকিনের এই শ্রম এখন দৃশ্যমান। ফিটনেসের দিক থেকে ক্যারিয়ারের সেরা অবস্থানে আছেন তিনি। ক্রিকেটারদের জন্য মিরপুর স্টেডিয়ামের সুযোগ-সুবিধা উন্মুক্ত হওয়ার পর গতকালই প্রথম এসেছেন ডানহাতি এই পেসার। পাঁচ মাস পর মিরপুরে এসে পুলকিত তাসকিন। রানিং, জিম করেই সময় কাটিয়েছেন। জাতীয় দলের বাইরে থাকা তাসকিনের মতে, ধীরে ধীরে খেলাটা কঠিন হয়ে পড়ছে পেসারদের জন্য। করোনার কারণে নতুন বেশ কিছু নিয়ম যুক্ত হয়েছে ক্রিকেটে। যার মধ্যে বোলারদের মুখের লালা তথা থুথু ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। যা চ্যালেঞ্জিং হবে পেসারদের জন্য। ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্টে চোখ রাখা তাসকিন আশা করছেন, বল শাইন করার উপায় দ্রুতই বের হবে। পাঁচ মাস পর মিরপুর স্টেডিয়ামে ফেরার অনুভূতি জানাতে গিয়ে গতকাল তাসকিন বলেছেন, আসলে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো লাগতেছে কারণ এতদিন পরে মিরপুর স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারা। অবশ্যই রানিং করেছি ভালো লাগতেছে কিন্তু তার চেয়েও বেশি ভালো লাগতেছে স্টেডিয়ামে ঢুকতে পেরেছি। ড্রেসিংরুমে এতদিন পর ঢোকা, আসলেই অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছে। বাসা থেকে যতটুকু পেরেছি ট্রেনিং করেছি কিন্তু মিরপুর স্টেডিয়ামে আসার সুযোগ হয়নি। আজকে (গতকাল) যখন প্রায় পাঁচ মাস পর মিরপুর স্টেডিয়ামে ঢুকলাম স্বস্তি লাগতেছে। করোনাকালে প্রবর্তিত নিয়মগুলো পেসারদের কাজটা কঠিন করছে মনে করেন তাসকিন। দ্রুতগতির এই পেসার বলেন, দিন যত যাচ্ছে পেসারদের বিপক্ষেই যাচ্ছে সব নিয়ম-কানুন। এখনো শাইন করা কমে যাচ্ছে কারণ থুথু লাগানো যাবে না। তো পুরোনো বলে রিভার্স সুইংয়ের জন্য থুথুটা অনেক বড় ইস্যু। যেহেতু এই নিয়মটা বন্ধ হচ্ছে অবশ্যই সামনে হয়তো শাইন করার জন্য অন্য কোনো পদ্ধতি বের হবে। নতুন উপায় বের হবে উল্লেখ করে তাসকিন বলেন, নতুন নিয়মের পর ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট দেখলাম সবাই হাত মেলাচ্ছে ভিন্নভাবে, বল শাইন হচ্ছে ভিন্নভাবে। আশা করি আমাদেরও যখন খেলা শুরু হবে কোনো না কোনো ভিন্ন উপায় বের হবে। এসবের মাধ্যমেই মানিয়ে নিতে হবে। পেসারদের জন্য একটু কঠিন তবুও মানিয়ে নেওয়া শিখতে হবে। এদিকে ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত অনুশীলনের পঞ্চম দিনে গতকাল তাসকিন ছাড়াও মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, শফিউল ইসলামও মিরপুরে এসেছিলেন। সকাল ৯টায় ব্যাটিং দিয়ে অনুশীলন শুরু হয় মুশফিকের। পরে ২৫ মিনিট রানিং, মিনিট দশেক কিপিংও করেছেন তিনি। শফিউল ১৫ মিনিট জিমের কাজ শেষে আধঘণ্টা রানিং করে ফিরে গেছেন। মোহাম্মদ মিঠুন জিম করেছেন শুরুতে। পরে ঘণ্টাব্যাপী ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন। এআর/২৪ জুলাই
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/39vOAO0
July 24, 2020 at 07:45AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন