নিউইয়র্ক, ১৯ জুলাই- নিউইয়র্কে বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহকে খুনের পর তার কার্ড দিয়েই শপিং করে ঘাতক টাইরিস হাসপিল। সন্দেহ এড়াতে পেশাদারি ছকে ফাহিমকে নৃশংসভাবে খুন করেন তার ব্যক্তিগত সহকারী হাসপিল। ফলে শুরুতেই পুলিশ ধারণা করে, এই কাজ কোনো পেশাদারি খুনির। খুনের রহস্য উদঘাটনে পুলিশ যখন মরিয়া তখন বান্ধবী নিয়ে সময় কাটাচ্ছিলেন। প্রস্তুতি নিচ্ছিল বান্ধবীর জন্মদিনের পার্টি উদযাপনের। নিউইয়র্ক পোস্ট জানায়, ফাহিমের খুনের দুই দিনের মাথায় বান্ধবীর ২২তম জন্মদিন উদযাপনের জন্য ২২ লেখা দুটি বেলুন কিনেন। শনিবার প্রকাশিত ভিডিওতে তাকে ওই বেলুন কিনতে দেখা গেছে। পুলিশের বরাতে জানা যায়, ফাহিমকে হত্যার পর ওই তরুণীর সঙ্গে সময় কাটাতে দেখা গেছে ঘাতক হাসপিলকে। অন্যান্য কেনাকাটার পাশাপাশি বান্ধবীর জন্মদিনের বেলুনও কিনেন তিনি। আর সব কেনাকেটা করেন ফাহিমের ক্রেডিট কার্ড দিয়ে। ভিডিওতে একই বিষয় প্রকাশ পায়। শুক্রবার সকাল ৮.৪৫ টায় হাসপিলকে তার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে গ্রেপ্তার করে নিউইয়র্ক পুলিশ (এনওয়াইপিডি)। ম্যানহাটনের সোহো এলাকায় একটি ভবনে ওই বান্ধবীকে নিয়ে থাকতেন জন্মসূত্রে লং আইল্যান্ড দ্বীপের বাসিন্দা হাসপিল। ভবনটির লবি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে সেকেন্ডে ডিগ্রি মার্ডারের অভিযোগ আনা হয়েছে। ইচ্ছাকৃত এবং প্ররোচিত; কিন্তু পরিকল্পিত নয়- এমন হত্যাকাণ্ডকে সাধারণত সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডার বলা হয়। এদিন সন্ধ্যায় এনওয়াইপিডি-এর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান রডনি হ্যারিসন বলেন, চুরি করা অর্থের পাশাপাশি হাসপিল আরও বড় অঙ্কের অর্থ ভুক্তভোগীর থেকে ধার নিয়েছিলেন বলে আমরা ধারণা করছি। তাকে আদালতে তোলা হবে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে,অভিযুক্ত হাসপিল ফাহিমের ৯০ হাজার ডলার চুরি করেছিলেন। হত্যার পর বৈদ্যুতিক করাত দিয়ে ফাহিমকে কাটা হয়েছে। করাতটি পাশেই পড়ে ছিল। শরীরের বিভিন্ন অংশ ভরা ছিল একটি ব্যাগে। ফাহিমের মরদেহ টুকরো করা শেষে সেগুলো ব্যাগে ভরে ফেলার পরিকল্পনা ছিল হাসপিলের। তবে তার আগেই ফাহিমের খালাতো বোন এসে কলিংবেল চাপতে থাকলে ভয়ে সিঁড়ি দিয়ে পালিয়ে যায় সে। ফাহিম প্রযুক্তি জগতে নিজের পথচলা শুরু করেন ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে। এরপর ধীরে ধীরে নিজেকে ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত পাঠাওয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে নাইজেরিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশে রাইড শেয়ারিং ব্যবসার সঙ্গে তিনি জড়িত হন। এম এন / ১৯ জুলাই
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3eH3SjN
July 19, 2020 at 05:29PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন