মুম্বাই, ৩০ জুলাই - খেলোয়াড়ি জীবন তো বটেই, ক্রিকেট থেকে অবসরের পরেও শচিন টেন্ডুলকারের প্রসঙ্গ এলেই এক শব্দে ঈশ্বর হিসেবে মেনে নেন ভিরেন্দর শেবাগ। ভারতীয় ক্রিকেট তো বটেই, বিশ্ব ক্রিকেটেরই ব্যাটিং ঈশ্বর বলা হয় শচিনকে। আর তাকেই কি না শেবাগের ব্যাটিং দেখে শিখতে বলতেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক কপিল দেব। দীর্ঘদিন ভারতের হয়ে একসঙ্গে খেলেছেন শচিন ও শেবাগ। ইনিংসের গোড়াপত্তন করেছেন অনেকবার। তবে দুজনের ব্যাটিং স্টাইল ছিল দুইরকম। একদম প্রথম বল থেকেই আক্রমণ শুরু করতেন শেবাগ আর অন্যপ্রান্তে রয়েসয়ে খেলতেন শচিন। দুজনকে দুজনের ব্যাটিংয়ের এই বৈপরীত্যটাই শিখতে বলেছেন কপিল। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে সবমিলিয়ে ১০০টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন শচিন। কিন্তু নিজের সেঞ্চুরিকে ডাবল সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পেরেছেন মাত্র সাত ইনিংসে। ট্রিপল সেঞ্চুরি দূরে, কখনও আড়াইশ রানও করতে পারেননি তিনি। অন্যদিকে ক্যারিয়ারের ৩৮ সেঞ্চুরির মধ্যে সাতটিকেই ডাবল সেঞ্চুরিতে পরিণত করেছেন শেবাগ, আড়াইশ পেরিয়েছেন চারবার, ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছেন তিনবার। আরও পড়ুন: সাদা পোশাকের ক্রিকেটে নিজেকেই শেষ মানছেন স্টুয়ার্ট ব্রড! তার ব্যাটিংয়ের এ বিষয়টিই শচিনকে আয়ত্ত্ব করার কথা বলতেন কপিল দেব। যাতে করে সেঞ্চুরি পেরুনোর পর নিজের ইনিংস বড় করতে পারেন শচিন। কপিলের মতে, শচিনের মতো প্রতিভাবান ব্যাটসম্যানের অন্তত ৫টি ট্রিপল সেঞ্চুরি থাকা উচিৎ ছিল। কিন্তু সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করলেও, কোনো ট্রিপল সেঞ্চুরি নেই শচিনের নামের পাশে। ইএসপিএন ক্রিকইনফোর পডকাস্টে শচিন ও শেবাগের ব্যাটিংয়ের তুলনামূলক মূল্যায়ন করতে গিয়ে কপিল বলেছেন, শচিন অসামান্য প্রতিভা ছিল। আমরা অন্য কারও মধ্যে এতটা দেখিনি। সে এমন এক যুগে জন্মেছিল, যেখানে সে জানত যে কীভাবে সেঞ্চুরি করতে হয়। কিন্তু সে কখনও বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান হয়নি। ক্রিকেটের সবকিছুই ছিল শচিনের কাছে। সে জানত কীভাবে সেঞ্চুরি করতে হয়। কিন্তু সেঞ্চুরিকে ডাবল বা ট্রিপল সেঞ্চুরিতে পরিণত করার বিষয়টা জানত না। অন্তত ৫টি ট্রিপল সেঞ্চুরি ও আরও ১০টি ডাবল সেঞ্চুরি করার মতো প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান ছিল শচিন। ফাস্ট বোলার কিংবা স্পিনার, সবাইকেই প্রতি ওভারে এক-দুইটি বাউন্ডারি মারার সামর্থ্য ছিল শচিনের। কিন্তু সে সবসময় মুম্বাই ক্রিকেটের মানসিকতায় আটকে ছিল। যেখানে বলা হতো সেঞ্চুরির পর আবার শূন্য থেকে শুরু করো। এখানেই আমার আপত্তি ছিল। আমি বলতাম, তুমি বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান, (সেঞ্চুরির পর) শেবাগের মতো খেলার চেষ্টা করো। আমি শেবাগকে বলতাম, শচিনের মতো হও। তোমার অস্ত্রভাণ্ডারে অনেক শট রয়েছে। তুমি যদি ৩০ মিনিট উইকেটে টিকে থাকতে পারো, তাহলে সেঞ্চুরি করে ফেলতে পারবে। শচিনকে আমি বলতাম, তোমার অবশ্যই শেবাগকে দেখা উচিৎ। যে কি না সেঞ্চুরির পর প্রতি ওভারেই এক-দুইটা করে বাউন্ডারি মারে। যার ফলে পরের ২০ ওভারেই ডাবল সেঞ্চুরির কাছে পৌঁছে যাও যায়। দুজনের পার্থক্যটা এখানেই ছিল। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ৩০ জুলাই



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2DfMwgU
July 30, 2020 at 05:38AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top