করোনা লকডাউনের পর মাঠে ফিরে প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচেই বাজিমাত করেছে ফ্রান্সের শীর্ষ ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। আগেই লিগ শিরোপা জেতা পিএসজি এবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফ্রেঞ্চ কাপেও। নেইমারের একমাত্র গোলে সাঁত এতিয়েনকে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে তারা। তবে শুক্রবার রাতের ম্যাচটিতে শিরোপার বাইরে বড়সড় চিন্তার ভাঁজই পড়েছে পিএসজি বস থমাস টুখেলের কপালে। কেননা গুরুতর ইনজুরির শিকার হয়েছে দলের সুপারস্টার কাইলিয়ান এমবাপে। ইনজুরির ভয়াবহতা এতটাই বেশি যে ক্রাচ ভর দিয়ে হাঁটতে হয়েছে এ ফ্রেঞ্চ তরুণ খেলোয়াড়কে। ঘটনা ম্যাচের ২৬ মিনিটের সময়কার। বল পায়ে নিজের স্বভাবসুলভ ড্রিবলিংয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন এমবাপে। তা যেনো পছন্দ হয়নি এতিয়েন ডিফেন্ডার লইক পেরিনের। হুট করেই উড়ন্ত এক স্লাইডিং ট্যাকলে করে এমবাপের পায়ে। যা সরাসরি মচকে দেয় ফরাসি তারকার ডান পায়ের গোড়ালি। খালি চোখেই দেখা যাচ্ছিল খুব বাজেভাবে আহত হয়েছেন এমবাপে। মাঠের মধ্যেই কাতরাতে থাকেন তিনি। উপায়ন্ত না দেখে তাকে উঠিয়ে নিতে বাধ্য হন পিএসজি কোচ। শুরুতে লাল কার্ড দেখেননি পেরিন। তবে ভিডিও এসিস্ট্যান্ট রেফারির সহায়তা নিয়ে তাকে মাঠ থেকে বের হতে নির্দেশ দেন রেফারি। ফাউলের এই ঘটনায় মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে দুই দলের খেলোয়াড়রা। ফলে পিএসজির তিন খেলোয়াড়কেও দেখানো হয় হলুদ কার্ড। এছাড়া হলুদ কার্ড দেখেন এতিয়েনের অন্য আরেকজন খেলোয়াড়। সারা ম্যাচে পেরিনের লাল কার্ড ছাড়াও এতিয়েনের গোলরক্ষকসহ মোট ৬ খেলোয়াড় দেখেন হলুদ কার্ড। আরও পড়ুন: পিএসজিকে ফ্রেঞ্চ কাপ জেতালেন নেইমার কিন্তু এসব কার্ড কিংবা শাস্তির চেয়েও পিএসজির বড় দুশ্চিন্তার কারণ হলো এমবাপের ইনজুরি। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের সময় দেখা গেছে ক্রাচে ভর দিয়ে ডাগআউটে হাঁটছেন এবং নিজ দলের খেলা দেখছেন তিনি। ম্যাচ শেষে কেউই এমবাপের ইনজুরির ব্যাপারে নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেনি। তবে ফরাসি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী এমবাপের গোড়ালিতে কোনো ফ্র্যাকচার হয়নি। তবে লিগামেন্টের অংশ ছিঁড়ে গেছে। যার ফলে চলতি মৌসুমে আর হয়তো মাঠে নামতে নাও পারেন তিনি। কেননা লিগামেন্টের ইনজুরি সারতে অন্তত মাসদুয়েক সময় লেগে যায়। এমনটা হলে আসন্ন লিগ কাপ ফাইনাল কিংবা উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলা হবে না এমবাপের। আগামী ১ আগস্ট লিগ কাপের ফাইনালে লিওনের মুখোমুখি হওয়ার কথা পিএসজি। এরপর ১৩ আগস্ট চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ইতালিয়ান ক্লাব আটলান্টার বিপক্ষে নামবে তারা। এ দুই ম্যাচে এমবাপে না পাওয়া বড় ক্ষতির কারণই হবে পিএসজির জন্য। উল্লেখ্য, ফ্রেঞ্চ কাপের ম্যাচটি পুরোটা খেলতে না পারলেও, দলের জয়সূচক গোলে বড় অবদান ছিল এমবাপের। ম্যাচের মাত্র ১৪ মিনিটের মাথায় কাইলিয়ান এমবাপের জোরালো শট ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এতিয়েন গোলরক্ষক। কিন্তু বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ফিরতি বল থেকে খুব সহজেই গোল করেন নেইমার। এই এক গোলই হয়ে থাকে ফাইনালের ফল নির্ধারণী গোল। ম্যাচের বাকি সময়ে বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছিল পিএসজি। কিন্তু ফিনিশিংয়ের অভাবে স্কোরলাইন ১-০ থেকে আর বাড়েনি। যদিও শিরোপা জেতার জন্য নেইমারের ঐ এক গোলই যথেষ্ঠ প্রমাণিত হয়েছে। Tackle just on Mbappe !!!! Horrible tackle !!! pic.twitter.com/AujXWkxxyQ Justin (@jutin__) July 24, 2020 সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২৫ জুলাই
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2BtVg2x
July 25, 2020 at 07:02AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন