কলকাতা, ১৫ জুলাই- খুন নাকি আত্মহত্যা, যাদবপুরে ফ্ল্যাট থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এমনই নানা প্রশ্নের ভিড়। স্বজনদের দাবি, খুন করা হয়েছে তাঁকে। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে এখনই নিশ্চিত করে কিছুই বলা হয়নি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার পরই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানা যাবে বলেই দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান ২৩ বছর বয়সী পল্লবী কর্মকার। নিউটাউনের বাসিন্দা বছর তেইশের ওই তরুণী। বাবা মারা গেছেন আগে। বাড়িতে রয়েছেন মা এবং ভাই। সেলাইয়ের কাজ করতেন পল্লবী। প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে যাদবপুরের বিক্রমগড় এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি। মাসে সাত হাজার টাকা ভাড়া দিতেন। স্থানীয়দের দাবি, গত শনিবার শেষবার দেখা গিয়েছিল পল্লবীকে। তারপর থেকে আর তাঁকে দেখা যায়। আত্মীয়রা তাঁকে ফোনেও পাচ্ছিলেন না। এদিকে ফ্ল্যাট থেকে বেরচ্ছিল দুর্গন্ধ। তাই মঙ্গলবার রাতে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। যাদবপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। অনেকবার ডাকাডাকি করেও তাঁর সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন পুলিশকর্মীরা। তাঁরা দেখেন, ঘরের মধ্যে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পড়ে রয়েছেন পল্লবী। তাঁর সারা শরীরেই পচন ধরে গেছেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সিলিং ফ্যান থেকে প্রথমে ঝুলছিলেন ওই তরুণী। তারপর দড়ি ছিঁড়ে নিচে পড়ে যান। তবে তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাঁকে খুন করা হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারেনি পুলিশ। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত কিছুই বলা যাবে না বলেই জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। ওই তরুণীর গতিবিধি সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার জন্য স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। নিহতের প্রতিবেশীদের দাবি, এলাকার কারও সঙ্গে সেভাবে আলাপ ছিল না তাঁর। তবে ওই তরুণীর ফ্ল্যাটে বেশ কয়েকজন পুরুষের আনাগোনা লেগেই থাকত। পল্লবীর খালার দাবি, তাঁরা জানতেন পল্লবীর প্রেমিক রয়েছে। তার সঙ্গে যাদবপুরে লিভ ইন করতেন তিনি। ওই যুবকই তাঁকে খুন করেছে বলেই অভিযোগ পরিবারের। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কারা তরুণীর ফ্ল্যাটে আসাযাওয়া করত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কল লিস্টও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্র: কালের কন্ঠ আর/০৮:১৪/১৫ জুলাই



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2CgCBaC
July 15, 2020 at 12:37PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top