মুম্বাই, ১১ জুলাই- টেস্ট ক্রিকেটে পেস বোলাররা বোলিং করার সময় তিন ধরনের মেথড ব্যবহার করার চেষ্টা করেন। এটা সবারই জানা, এই তিন মেথডে বাতাসেই বলকে ঘুরিয়ে দিতে পারেন তারা। যেমন- কনভেনশনাল কিংবা প্রচলিত সুইং, কনট্রাস্ট সুইং এবং রিভার্স সুইং। ইংল্যান্ডের পেসার জেমস অ্যান্ডারসন আরও একটি মেথড যোগ করে নিয়েছেন তার বোলিংয়ের সঙ্গে। রিভার্স রিভার্স সুইং। কি সেটা? ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তি শচিন টেন্ডুলকারই পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন অ্যান্ডারসনের সেই বিশেষ অস্ত্র সম্পর্কে। তার মতে, জেমস অ্যান্ডারসনই একমাত্র বোলার, যিনি প্রচলিত ইনসুইঙ্গারের কব্জির অবস্থান নিয়ে রিভার্স আউটসুইঙ্গার করাতে পারেন। ভারতের লিটল মাস্টার একে বিপরীত সুইং বলে অভিহিত করেছেন। টেস্টে ১৪বার অ্যান্ডারসনের মুখোমুখি হয়েছিলেন শচিন। এর মধ্যে ৯বারই আউট হয়েছেন তিনি। যা রীতিমত রেকর্ড। ২০০ টেস্টের ক্যারিয়ারে শচিন সবচেয়ে বেশি আউট হয়েছেন এন্ডারসনের বলেই। এরপর শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরালিধরনের বলে আউট হয়েছেন ৮বার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ব্রায়ান লারার সঙ্গে তার ১০০এমবি অ্যাপে কথা বলার সময় শচিন ব্যাখ্যা করেন, কেন রোজ বোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে চলতি টেস্টে ইংল্যান্ডের পক্ষে অ্যান্ডারসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন। বিপরীত সুইংয়ের ক্ষেত্রে জিমি অ্যান্ডারসন সম্ভবত প্রথম বোলার, যে রিভার্স সুইংও উলটোটা করতে পারে- লারাকে বলেন শচিন। তিনি সুস্পষ্ট ভাষায় বলেন, ডানহাতি বোলারের প্রচলিত ইনসুইংয়ের ক্ষেত্রে, বলের পালিশ বাইরের দিকে এবং অভ্যন্তরের থাকে রুক্ষ অংশটি। বিপরীত আউটসুইংগারে ক্ষেত্রে, ট্র্যাজেক্টরি পরিবর্তন হয় (ডান হাত থেকে দূরে সরে যাওয়া)। তবে পালিশ বাইরের দিকে এখনওথাকবে। উভয় সময়ই অনুষ্ঠানে কব্জির অবস্থান পৃথক হয়। শচিনের মতে, তিনি যখন অ্যান্ডারসনের কব্জির অবস্থান পরীক্ষা করেছিলেন, তখন তিনি তাকে বিপরীত আউটসুইঙ্গারে বোলিং করতে দেখেন। তবে কব্জির অবস্থান ছিল প্রচলিত ইনসুইঙ্গারের মতোই। শচিন বলেন, আমি সময়ের পরে যা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, সে বলটি এমনভাবে ধরে রাখে, যেন আউটসুইঙ্গার বোলিং করছেন, তবে বল ছাড়ার সময় সে চেষ্টা করে বলটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে। অনেক ব্যাটসম্যানই কব্জির অবস্থানের দিকে নজর রাখে এবং সে আসলে কী করছে? সে ব্যাটসম্যানকে দেখাচ্ছে ইনসুইং বোলিং করছে; কিন্তু বলের উভয় পক্ষের ভারসাম্যহীনতা ব্যাটসম্যানের চোখ থেকে বলটি দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়। লিটল মাস্টার আরও জানান, দ্রুত নিজের কব্জির অবস্থান পরিবর্তন করে অ্যান্ডারসন ব্যাটসম্যানকে শট নিতে বাধ্য করেন। শচিনের মতে, স্টুয়ার্ট ব্রডসহ বেশ কয়েকজন বোলার প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের ঝামেলায় ফেলতে একই কৌশল ব্যবহার শুরু করেছে। তবে এ ধারাটি শুরু করেছে অ্যান্ডারসন। ইংল্যান্ডের মধ্যে টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হলেন জেমস অ্যান্ডারস। ১৫২ টেস্টে নিয়েছে ৫৮৭ উইকেট। ওয়ানডেতে ১৯৪ ম্যাচে ২৬৯টি উইকেট। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/১১ জুলাই
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2OelyIH
July 11, 2020 at 08:55AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন