মুম্বাই, ২৯ জুলাই - সুশান্ত সিং রাজপুতের (sushant singh rajput) পরিবার এফআইআর দায়ের করায় কার্যত মরিয়া হয়ে উঠেছেন রিয়া চক্রবর্তী (rhea chakraborty)। এফআইআরের পরপরই অন্তর্বর্তী জামিনের জন্য আবেদন করেন তিনি। তড়িঘড়ি দুঁদে আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডেকে নিযুক্ত করেন তাঁর হয়ে মামলা লড়ার জন্য। কিন্তু তাতেও লাভ কিছুই হয় না। বিহার পুলিস ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে মুম্বই। এবার বাধ্য হয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রিয়া। তিনি আর্জি জানিয়েছেন সুশান্তের মৃত্যু মামলার তদন্তের দায়ভার মুম্বই পুলিসকে দেওয়া হোক। সংবাদমাধ্যম ANI সূত্রে খবর, রিয়া চক্রবর্তী সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছেন। সুশান্ত মৃত্যু মামলার তদন্ত মুম্বই পুলিসের কাছে ট্রান্সফার করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। এমনটাই জানান রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে। উল্লেখ্য, এফআইআর দায়ের হওয়ার পর থেকে একবারও প্রকাশ্যে আসেননি রিয়া। এটাই তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়া এই প্রসঙ্গে। মঙ্গলবার পটনার রাজীব নগর থানায় রিয়ার অভিযোগ দায়ের করেন সুশান্তের বাবা। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১, ৩৪২, ৩৮০, ৪০৬, ৫০৬ এবং ৩০৬ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আরও পড়ুন: লকডাউনে বাড়িতে ক্যাসিনো বসিয়ে গ্রেফতার তামিল নায়ক একাধিক গুরুতর অভিযোগ এনে ছয় পাতার একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে রিয়ার বিরুদ্ধে। সুশান্তের বাবা অভিযোগ করেন, রিয়া ষড়যন্ত্র করে অভিনেতাকে মানসিক রোগী বানাতে চাইছিলেন। সেই কারনে তাঁর ওষুধের মাত্রাও বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, সুশান্তের মাধ্যমে বলিউডে উপরে ওঠার চেষ্টা করছিলেন রিয়া। তাই অভিনেতার কোনও ছবির প্রস্তাব আসলে রিয়াই ফোনে কথা বলতেন পরিচালক প্রযোজকদের সঙ্গে। রিয়া বলতেন, যদি তাঁকে ছবিতে মুখ্য অভিনেত্রীর চরিত্র দেওয়া হয় তবেই সুশান্ত এই ছবি করতে রাজি হবে। অপরদিকে ওষুধের মাত্রা বাড়িয়ে সুশান্তকে কার্যত মানসিক রোগীতে পরিণত করছিলেন রিয়া। তিনি অভিনেতাকে হুমকিও দিতেন এই বলে যে তাঁকে বাধা দিলে তাঁর মেডিক্যাল রিপোর্ট ভাইরাল করে দেবেন। সুশান্তের বাবার অভিযোগ অভিনেতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫ কোটি টাকা হাতিয়েছেন রিয়া। লক্ষাধিক টাকা সুশান্তের কাছ থেকে আদায় করেন রিয়া ও তাঁর ভাই। এমনকি রিয়া ও তাঁর ভাইয়ের নামে একটি কোম্পানিও খুলে দেন সুশান্ত। শুধু তাই নয়, সুশান্তের বাড়ি ভূতুড়ে বলে তাঁকে একটি রিসর্টে গিয়ে উঠতে বাধ্য করে রিয়া ও তাঁর পরিবার। লকডাউন শুরু হওয়ার কিছুদিন আগেই নাকি সুশান্তের ব্যক্তিগত দেহরক্ষীকে ছাঁটাই করেন রিয়া। ফোনে যোগাযোগ করতে দিতেন না পরিবারের সঙ্গেও। উপরন্তু যখন সুশান্তের উপর থেকে মন সরে যায় তখন তাঁর নম্বর ব্লক করে তাঁকে দূরে সরিয়ে দেন রিয়া। এন এইচ, ২৯ জুলাই



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2X5OA2f
July 29, 2020 at 03:21PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top