কলকাতা, ০৩ আগস্ট - জেলা যুব তৃণমূলে ব্যাপক রদবদলের সম্ভাবনা। দায়িত্ব নিয়েই সেই ইঙ্গিত দিলেন নব নিযুক্ত যুব সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস। পদ খোয়তে পারেন বহু পুরনো যুব নেতা। আর এর ফলে মালদহ জেলা জুড়ে আরও প্রকট হতে পারে যুব তৃনমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। এমনটাই আশঙ্কা দলেরই একাংশের। যদিও জেলা সভাপতি বদলের প্রভাব কোনও ভাবেই গোষ্ঠী কোন্দলকে প্রভাবিত করবে না বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। ২০২১শে বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে জেলায় জেলায় রদবদল করেছে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই মত মালদহ জেলায় শক্তি বৃদ্ধি করতে জেলা যুব সভাপতির পদ থেকে অম্লান ভাদুড়ীকে সরিয়ে কৃষ্ণেন্দু ঘনিষ্ট প্রসেনজিৎ দাসকে করা হয়েছে। আর রাজ্য নেতৃত্বের রদবদলকে অন্য চোখে দেখছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ। নতুন যুব সভাপতি পদ পাওয়ার পরই ব্লকে ব্লকে সংগঠন সাজানোর কাজ শুরু করেছে নব নিযুক্ত সভাপতি। আর তাতেই অনেকেই পদ খোয়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এই পদ নিয়ে গোষ্ঠী কোন্দলও প্রকাশ্যে আশার সম্ভাবনা প্রবল। [আরও পড়ুনঃ ফের সাপ্তাহিক লকডাউনের দিনবদল ] এতদিন অম্লান ভাদুড়ি ঘনিষ্টরাই ব্লকে ব্লকে দ্বায়িত্ব সামলেছেন। বর্তমানে তার সংগঠনকে গুরুত্ব দেওয়া হবে না বলে মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ। মালদহ জেলায় কংগ্রেসের প্রভাব বরাবরই রয়েছে। যার ফলে ২০১৬সালে ১২টি বিধানসভার একটই তৃণমূল কংগ্রেস তাদের ঝুলিতে ভরতে পারেনি। এরপর ২০১৯ লোকসভা ভোটেও একটিও আসন জয়লাভ করেনি তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তর মালদহে আসন দখল করে বিজেপি ও দক্ষিন মালদহে দখল করে কংগ্রেস। আর এরপর থেকে মালদহ জেলা সভাপতি থেকে যুব সভাপতি সমস্ত পদের পরিবর্তন শুরু করে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের অন্দরে দেখা দেয় গোষ্ঠী কোন্দল। জেলা যুব সহ সভাপতি অম্লান ঘনিষ্ট বুলবুল খান বলেন, সম্প্রতি যুব সভাপতি পদের বদল হয়েছে। যেহেতু প্রাক্তন যুব সভাপতির ঘনিষ্ট সেই কারনে পদ নাও থাকতে পারে। তবে আমি মমতা বন্দোপাধ্যায়কে দেখে দল করি। পদে না থাকলেও দল করে যাব। বর্তমান যুব সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস বলেন,অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বড় দায়িত্ব দিয়েছেন আমাকে। সংগঠন শক্তিশালী করতে কাজ করব। যোগ্য ব্যাক্তিদেরকে সংগঠনের প্রথম সারিতে নিয়ে আসা হবে। ইতিমধ্যে ব্লকে ব্লকে সংগঠন সাজানোর কাজ শুরু হয়েছে। [আরও পড়ুনঃ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে উঠে এল তিন বর্ষীয়ান নেতার নাম ] উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, তৃণমূল আর গোষ্ঠী কোন্দল সর্মথক শব্দ। গোষ্ঠী কোন্দল ছাড়া তৃণমূল হয় নাকি?বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে যত গোষ্ঠী কোন্দল বাড়বে বিজেপির তত লাভ হবে। আগামী বিধানসভা ভোটে রাজ্যে পট পরিবর্তন হবে। বিজেপি ক্ষমতা দখল করবে। জেলা তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটর দুলাল সরকার বলেন,তৃণমূল হোক বা যুব তৃণমূল কোথাও গোষ্ঠী কোন্দল নেই। বিজেপি এগুলি অপপ্রচার করছে। ২০২১শে বিধানসভা নির্বাচনে এই অপপ্রচারের ফল তারা পাবে। সুত্র : কলকাতা ২৪x৭ এন এ/ ০৩ আগস্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3k6P16d
August 03, 2020 at 04:22PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন