ঢাকা, ১২ আগস্ট - সাকিব আল হাসানের এক বছরের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৯ অক্টোবর। এরপরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার জন্য উপর্যুক্ত হয়ে যাবেন তিনি। তার আগেই শোনা যাচ্ছে, সেপ্টেম্বরে দেশে ফিরে এসে প্রস্তুতি শুরু করবেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। নিজের সাবেক শিক্ষায়তন বিকেএসপিএকই বেছে নিচ্ছেন ফেরার প্রস্তুতির জন্য। ২৯ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হবে, এর অর্থ শ্রীলঙ্কা সফরেই কি তাহলে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে? শ্রীলঙ্কার সঙ্গে প্রস্তাবিত সিরিজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা ২৪ অক্টোবর থেকে। অর্থ্যাৎি, সাকিবের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই প্রথম টেস্ট শেষ হয়ে যাবে। লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) যে কথা-বার্তা চালাচালি হচ্ছে- তাতে দেখা যাচ্ছে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের পরিবর্তে হতে পারে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। সঙ্গে যোগ হতে পারে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তেমন সম্ভাবনা নিয়ে দুই বোর্ডই ইতিবাচক। আরও পড়ুন: যাদের বিপক্ষে ব্যাটিং করা রীতিমতো হিমশিম ছিল, জানালেন সাঙ্গাকারা সুতরাং, সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে শ্রীলঙ্কা সফরেই টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কামব্যাক করতে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী মোহন ডি সিলভা জানিয়েছেন, দুই বোর্ড বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কায় পৌঁছানোর তারিখের ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। তবে, কথাবার্তা হচ্ছে, এই সফরে কি তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হবে নাকি দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের সঙ্গে অতিরিক্ত তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি যোগ করা হবে। আগেই জানা, সাকিব আল হাসান আগামী মাস থেকেই বিকেএসপিতে অনুশীলন শুরু করতে যাচ্ছেন আগামী মাসে। বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টও তাকিয়ে রয়েছে তার ফুল ফিটনেসের দিকে। কত দ্রুত ফিটনেস লেভেলটা তিনি ঠিক করতে পারেন, সেটাই দেখার বিষয়। কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোও জানিয়ে দিয়েছেন, সাকিবের ফেরা নির্ভর করছে তার ফিটনেস লেভেলের ওপর এবং সম্ভবত তার অধীনে কিছু ম্যাচ সময় অতিবাহিত করতে হবে। শুধু তাই নয়, ডোমিঙ্গো সাকিবের এক বছরের গ্যাপটাকেও বিবেচনায় আনতে চাচ্ছেন। কারণ, এই এক বছরে বর্তমান স্কোয়াডের সদস্যদের সঙ্গে সাকিবের কি পার্থক্য তৈরি হয়েছে, সেটাই দেখার বিষয়। যদিও এর মধ্যে করোনা মহামারির পেটে চলে গেছে প্রায় ৬টি মাস। সুতরাং, অন্যদের সঙ্গে সাকিবের খুব একটা পার্থক্য হওয়ার কথা নয়। ক্রিকইনফোকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রাসেল ডোমিঙ্গো বলেন, আমি মনে করি না যে, সাকিব আল হাসান এক বছর ক্রিকেটের বাইরে থাকলেও, সেটা অন্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে তার বড় একটা পার্থক্য তৈরি করবে। কারণ, কোভিড-১৯ এর কারণে এমনিতেই প্রত্যেক ক্রিকেটারকে ৬ থেকে ৭ মাস মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে। আমরা আশা করবো, সব ক্রিকেটারই ফিট থাকবে। অবশ্যই এটা দেখবো যে প্রতি ক্রিকেটারের মিনিমাম ফিটনেস লেভেলটা থাকুক। আমরা সাকিব আল হাসানের জন্য কিছু গেম টাইম আয়োজন করবো। একই সঙ্গে অন্য ক্রিকেটারদের জন্যও। কারণ, কোনো ক্রিকেট সংযুক্তিছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা খুবই কঠিন। আমরা মনে করি, সাকিবের জন্য কিছু ম্যাচের আয়োজন করে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সুযোগ করে দেয়া প্রয়োজন। সে হচ্ছে বিশ্বমানের ক্রিকেটার। সুতরাং, আমি নিশ্চিত, সে খুব তাড়াতাড়িই ক্রিকেটে ফিরে আসবে। তবে, ফিটনেসটাই হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১২ আগস্ট



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3afCEQR
August 12, 2020 at 06:23AM
12 Aug 2020

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

 
Top