মুম্বাই, ০৬ আগস্ট - সুশান্ত সিং রাজপুত আত্মহত্যা করেছেন এক মাসের বেশি আগে। এ মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত চলাকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ইস্যুতে কথার যুদ্ধ চলছে। সম্প্রতি এ ঈস্যুর সঙ্গে যোগ হয়েছে সুশান্তের সাবেক ম্যানেজার দিশার মৃত্যুর বিষয়টি। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর কয়েকদিন আগেই আত্মহত্যা করেন অভিনেতার সাবেক ম্যানেজার দিশা সালিয়ান। কিন্তু কেন দিশা আত্মহত্যা করলেন, মেয়ের মৃত্যু নিয়ে সেভাবে সরব হননি দিশার মা-বাবা। সম্প্রতি সুশান্তের মৃত্যু তদন্তে উঠে আসে দিশার আত্মহত্যা প্রসঙ্গ। দিশার ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছিল বহুতল থেকে পড়েই মারা যান দিশা। সম্প্রতি দিশার আসল পোস্টমর্টেম রিপোর্ট প্রকাশ্য হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে তার মাথায় গভীর ক্ষত ছিল, এছাড়াও একাধিক আভ্যন্তরীণ ক্ষত ছিল। দিশা মুম্বইয়ের ১৪ তলার একটি বহুতলে থাকতেন। ৯ জুন রাত ২টায় মারা যান দিশা। সেই সময় তিনি তার বাগদত্তা রোহন রায়ের ফ্ল্যাটে ছিলেন। কিন্তু তার ময়নাতদন্ত হয় দুই দিন পর। কেন এই দু দিন সময় লাগল তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। দিশার ময়নাতদন্ত হয় বোরিভালি হাসপাতালে। দিশার যখন মৃত্যু হয় তখন তিনি ছিলেন রোহনের বাড়িতে। কিন্তু পরবর্তীতে বলা হয় বাড়ির ১৪ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়েই আত্মহত্যা করেছেন তিনি। আরও পড়ুন: দীপিকা-প্রিয়াঙ্কাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ এছাড়াও দিশার মা-বাবা মেয়ের মৃত্যুকে আত্মহত্যাই বলে এসেছেন প্রথম থেকে। যদিও পরবর্তীতে তারা একটি মামলা করেন। এছাড়া পরবর্তীতে বলা হয় ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছিল অভিনেতা সূরজ পাঞ্চোলির সন্তানের মা হতে চলেছিলেন দিশা। সূরজের হাত থেকে দিশাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন সুশান্ত। যদিও এই প্রশ্নের ভিত্তিতেই ছেলে সূরজ পাঞ্চোলির হয়ে মুখ খুলেছিলেন বাবা আদিত্য পাঞ্চোলি এবং মা জরিনা। তাদের মন্তব্য, সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে কোনও যোগ নেই সূরজের। তাদের দাবি, প্রেম তো দূরের কথা, তিনি দিশা সালিয়ানকে চিনতেনই না। সংবাদমাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর পড়েছেন। এদিকে দিশার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আগেই উল্লেখ করা ছিল যে, তার যৌনাঙ্গে গভীর ক্ষত ছিল। কিন্তু বহুতল থেকে পড়লে যৌনাঙ্গে এ ধরনের ক্ষত হওয়া অস্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। যদিও তার ভ্যাজাইনার নমুনা সংগ্রহ করে রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ করা আছে শরীরে একাধিক ক্ষত ছিল দিশার। যে চিকিৎসক দিশার ময়নাতদন্ত করেছিলেন তাকে দিয়ে জোর করেই প্রাথমিক রিপোর্ট বানানো হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। মুম্বাই পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল কর্মক্ষেত্রের অতিরিক্ত চাপ সামলাতে পারেননি দিশা। যার কারণে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। কিন্তু বিজেপি নেতা নারায়ণ রানের দাবি, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে দিশাকে। এদিকে দিশার বাবা সতীশ সালিয়ান মুম্বাই পুলিশের কাছে এক চিঠি লিখে জানান যে,তার মেয়ের মৃত্যু নিয়ে মিডিয়া কুৎসা রটাচ্ছে। মিথ্যে কথা বলা হচ্ছে। মানসিক ভাবে তাদের হেনস্থা করা হচ্ছে। তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে, ধর্ষণ এবং খুনের খবর রটনা। এন এইচ, ০৬ আগস্ট



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3kjgDF5
August 06, 2020 at 06:39AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top