ঢাকা, ২৭ আগস্ট- বাংলাদেশের ক্রিকেটে স্থানীয় কোচদের খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া হয় না। দল সামাল দেওয়ার জন্য মোটা অংকের বিনিময়ে ভিনদেশী কোচদের ভেড়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিসিবি প্রদত্ত সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার পরও নেইল ম্যাকেঞ্জির মত বিদেশি কোচরা দলে স্থায়ী হয় না পারিবারিক বাধা-বিঘ্নতার কারণে। ফলে এই সমস্যা দূর করতে স্থানীয় কোচদের দায়িত্ব নেওয়া জরুরী বলে মনে করেন টাইগারদের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো। নিজের দায়িত্বের পরিসমাপ্তিতে সাকিব-মুশফিকদের মধ্যে অভিজ্ঞ কোনো টাইগার ক্রিকেটারকে দলের ভার নেওয়ারও আহ্বান জানান এই প্রোটিয়া কোচ। রাসেল ডোমিঙ্গো বাংলাদেশের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর কতটা সফল হয়েছেন সেটা হয়তো এখনই বিচার করার সময় হয়নি। তবে ইতোমধ্যে এই দক্ষিণ আফ্রিকান দলটাকে নিয়ে নিজের মনে করে সাফল্য অর্জনে যে তীব্র ইচ্ছা দেখিয়েছেন তার প্রশংসা করতেই হয়। বিশেষ করে তার অবর্তমানেও বাংলাদেশ ক্রিকেট ভবিস্যত নিয়ে তার ভাবনার গভীরতা হয়তো চোখে আঙুল দিয়ে অনেক কিছু শিখিয়ে দেয়। কদিন আগেই বলেছেন ক্রিকেটারদের সাথে সম্পর্কটা যেন একদম খোলামেলা হয় সে জায়গাটা পরিষ্কার করবেন। উপমহাদেশের সংস্কৃতিতে কোন ক্রিকেটার মানসিক অবসাদে থাকলেও কোচ কিংবা টিম ম্যানেজম্যান্ট বলার সাহস পানন। ক্রিকেটারদের কাছ থেকে সেরাটা পেতে এই সংস্কৃতি বদলের ইচ্ছে এই প্রোটিয়া কোচের। বাংলাদেশের কোচিং স্টাফে স্থানীয়রা বরাবরই অবহেলিত। একজন স্থানীয় কোচ দলের সাথে থাকার ইতিবাচক দিকই হয়তো খুঁজে পায়নি বাাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বিসিবি কিংবা সংশ্লিষ্টরা কতটা ভাবেন কে জানে তবে রাসেল ডোমিঙ্গো ঠিকই প্রয়োজনীয়তা দেখেন দলে স্থানীয় কোচের। যদিও বিসিবির যুক্তি প্রায় প্রস্তুতই থাকে, জাতীয় দলের কোচিং স্টাফে যুক্ত হওয়ার মত যোগ্যতা আর অুিভজজ্ঞতায দেখানো হয় ঘাটতি। আরও পড়ুনঃ বাবা হচ্ছেন বিরাট কোহলি বিশ্বের প্রায বেশিরভাগ দেশেই স্থানীয়রা আছেন জাতীয় দলের কোচের ভূমিকায়। কেবলপ্রধান কোচ নয়, বোলিং, ব্যাটিং কোচ হিসেবেও স্থানীয়রা পাচ্ছেন যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা। রাসেল ডোমিঙ্গো চান টাইগারদের শেষ বিদেশি কোচ যেন তিনিই হন। দায়িত্বে দেখতে চান বর্তমান দলে কোন ক্রিকেটারকেই। গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডোমিঙ্গো বলেন, অবশ্যই আমি যেন শেষ বিদেশি কোচ হই। বাংলাদেশে কাজটা খুব উপভোগ করছি। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ নিয়ে এগোচ্ছি। আমার পর বর্তমান দলের কারও দায়িত্ব নেওয়া উচিত। সেটাই ভালো হবে। টাইগার ক্রিকেটে কোচদের আসা যাওযার মিছিলটা নতুন নয়। সর্বশেষ এই তালিকায় যোগ হয়েছেন ডোমিঙেআগ স্বদেশী ব্যাটিং কোচ সেইল ম্যাকেঞ্জি। তার এমন হঠাৎ পদত্যাগ নিয়ে জানতে চাইলে ডোমিঙ্গো বলেন, ছোট ছোট ছেলে মেয়ে, পরিবার রেখে দূর দেশে টানা কাজ চালিযে যাওয়া খুব কঠিন। দেশে পরিবারকে সময় দিতে হয়। সন্তানদের স্কুল থাকে। আত্মীয় স্বজনদের ছেড়ে চাইলেই পরিবার নিয়ে দুয়েক বছরের জন্য ঢাকায় থাকা সম্ভব হয় না। যে কারণে ভালো সুযোগ সুবিধা দেওয়ার পরও কোচরা চাকরি ছেড়ে দেন। এজন্য লোকাল কোচ থাকা জরুরী। এআর/২৭ আগস্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2D0In0u
August 27, 2020 at 09:19AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন