দুই এক্সপ্রেস বোলার তাসকিন আহমেদ আর রুবেল হোসেনের মত প্রচন্ড গতি তার নেই। মোস্তাফিজুর রহমানের মত সুইং আর কাটারেও ততটা দক্ষ নন। তারপরও সাম্প্রতিক সময় আবু জায়েদ রাহিই টেস্টে বাংলাদেশের সবচেয়ে কার্যকর পেসার। খুব বেশি দূর পেছন ফিরে তাকাতে হবে না। এক বছরেরও কম সময়ে ক্যারিয়ারের শেষ চার টেস্টে ভারত (২০১৯ সালের নভেম্বরে ইন্দোরে ভারতের সাথে ১০৮ রানে ৪ উইকেট) ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে (এ বছর ফেব্রুয়ারিতে শেরে বাংলায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৭১ রানে ৪ উইকেট) পেসার আবু জায়েদ রাহি দেখিয়ে দিয়েছেন-আমিও পারি। বাড়তি পেস, সুইং না থাকলেও জায়েদের আছে বলের ওপর দারুণ নিয়ন্ত্রণ। লম্বা স্পেলে নিঁখুত লক্ষ্য ও নিশানায় বল ফেলে উইকেট শিকারের ক্ষমতাও। আর সেই শক্তি বলেই টেস্টে পেসারদের ভেতরে আবু জায়েদ রাহি এখন এক নম্বর। করোনার ভেতরে বিয়ের শুভকাজটাও সেরে ফেলেছেন রাহি। ঈদের আগে না হলেও ঈদের পর নিয়মিত রানিং, জিমওয়ার্ক ও বোলিং প্র্যাকটিস করছেন। স্পট বোলিং প্র্যাকটিস করছেন রাহি। সিলেটের এ তরুণ নিজেকে তৈরি করছেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য। আজ (বুধবার) সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলনে ঘাম ঝরানোর পর অনেক কথার ভীড়ে রাহি স্বীকার করেছেন, করোনার কারণে বোলিং ফিটনেসে এখনও ঘাটতি আছে। তবে তার আশা, শিগগিরই তা ফিরে আসবে। আরও পড়ুনঃ অবসর নিয়েছেন ধোনি, ক্ষোভে দর্শকাসন থেকে চির বিদায় পাকিস্তানের বসির চাচার দুই সপ্তাহ ধরে অনুশীলন শুরু করছেন। প্রচুর রানিং ও জিমওয়ার্কও করেছেন। সব মিলে এখন সামগ্রিক ফিটনেস লেভেল সন্তোষজনকই মনে হচ্ছে রাহির। তিনি বলেন, প্র্যাকটিস শুরু করছি দুই সপ্তাহ আগে, তখন মনে হচ্ছিল কি হবে! এরপর যখন আমরা ইনডোর ও আউটডোরে রানিং করছিলাম তখনও এমন মনে হয়েছে। এখন রানিং করছি, ফিটনেস লেভেল ভালো হয়েছে। তারপরও বোলিং ফিটনেস ফিরে পেতে একটু দেরি হবে। আশা করছি শিগগিরই সেটাও ফিরে পাব। নিজ শহর সিলেট স্টেডিয়াম বরাবরই তার প্রিয়। এই মাঠকে নিজের মাঠ বলেই মনে হয়। সামগ্রিক সুযোগ সুবিধা ও পরিবেশও নাকি চমৎকার। রাহির ভাষায়, সবমিলিয়ে সিলেট স্টেডিয়ামের ফ্যাসিলিটিজ অবিশ্বাস্য রকমের ভালো। মাঠে ঢুকেই স্যানিটাইজার ব্যবহার করে হাত পরিস্কার করে ফেলার সুযোগ থাকছে। সব মাঠ কর্মীর পরনে আছে মাস্ক। সবাই সামাজিক দূরত্বে থাকছি। গ্রাউন্ডসম্যানরা যে উইকেট চাচ্ছি, দিচ্ছে। জিম ফ্যাসিলিটিজও ভালো। রাহি যোগ করেন, আমাদের চার বোলারের (তিন পেসার রাহি, ইবাদত, খালেদ ও বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ) জন্য চার সেন্টার উইকেট রাখা হয়েছে। আমরা সেখানে প্রতিদিন বোলিং প্র্যাকটিস করতে পারছি। মাঠের পরিবেশ ও সুযোগ সুবিধা চমৎকার। মনে হয় নিজের মাঠ। এআর/১৯ আগস্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3g5UOWo
August 19, 2020 at 01:48PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন