দরকার ছিল জয়। সেখানে ডিফেন্সের মারাত্মক ভুলে উল্টো হেরে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ের পর নিজেদের মাঠেও জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে ২-১ গোলে জিতেছে পেপ গুয়ার্দিওলার দল। রিয়ালের মাঠে প্রথম লেগে একই ব্যবধানে জিতেছিল দলটি। কোয়ার্টার-ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ অলিম্পিক লিওঁ। নিজেদের মাঠে প্রথম লেগে হারায় জয়ের বিকল্প ছিল না রিয়ালের। কিন্তু সিটির আক্রমণের মুখে বেশিরভাগ সময় নিজেদের রক্ষণ সামলাতেই বেশি ব্যস্ত থাকতে হয় জিনেদিন জিদানের দলকে। সেটাও ভালোভাবে পারেনি তারা। নবম মিনিটে এগিয়ে যায় সিটি। গোলটি তাদের একরকম উপহারই দেয় রিয়াল। থিবো কোর্তোয়া লম্বা শট না নিয়ে বাইলাইনের কাছে রাফায়েল ভারানেকে খুঁজে নেন। ফরাসি ডিফেন্ডারও শট নেননি। তার কালক্ষেপনের সুযোগে দ্রুত ছুটে গিয়ে বল কেড়ে নেন গাব্রিয়েল জেসুস। ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারের কাছ থেকে বল পেয়ে বাকিটা অনায়াসে সারেন ছন্দে থাকা স্টার্লিং। সিটির হয়ে এটি ইংলিশ ফরোয়ার্ডের শততম গোল। উনিশতম মিনিটে সবাইকে পেছনে ফেলে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন স্টার্লিং। সামনে ছিলেন কেবল গোলরক্ষক। তবে সিটি ফরোয়ার্ড শট নেওয়ার আগেই দারুণ স্লাইডে দলকে বিপদমুক্ত করেন কাসেমিরো। দুই মিনিট পর ডি-বক্সের মাথা থেকে করিম বেনজেমার শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন এদেরসন। পরের মিনিটে এদেন আজারের জোরালো শট ঠেকান সিটি গোলরক্ষক। আরও পড়ুন: জোড়া গোলেও জুভেন্টাসকে বাঁচাতে পারলেন না রোনালদো ২৮তম মিনিটে সমতা ফেরান বেনজেমা। রদ্রিগোর চমৎকার ক্রসে সবার উঁচুতে লাফিয়ে দারুণ হেডে জাল খুঁজে নেন এই ফরাসি স্ট্রাইকার। ৪২তম মিনিটে ফিল ফোডেনের শট একটুর জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। পরের মিনিটে কেভিন ডে ব্রুইনে শট নেওয়ার আগের মুহূর্তে বল সরিয়ে নেন দানি কারবাহাল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসে যায় স্টার্লিংয়ের সামনে। ৪৮তম মিনিটে ডিফেন্স চেরা পাস পেয়ে সামনে থাকা গোলরক্ষককে এড়াতে পারেননি তিনি। কোর্তোয়ার আঙুল ছুঁয়ে বল চলে যায় বাইরে। কর্নার থেকেও সুযোগ আসে সিটির সামনে, এবারও রিয়াল গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারেনি তারা। একের পর এক আক্রমণে সফরকারীদের কাঁপিয়ে দেওয়া সিটি আরেকটি সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করে ৫৪তম মিনিটে। কাসেমিরোর ভুলে নিজেদের সীমানায় বল হাতছাড়া হয়ে যায় রিয়ালের। সতীর্থের পা ঘুরে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়ে যান স্টার্লিং। ছুটে এসে কোনোমতে দলকে বাঁচান কোর্তোয়া। ১০ মিনিট পর গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে সুযোগ হাতছাড়া করেন বেনজেমা। ৬৬তম মিনিটে আবারও রিয়ালের ত্রাতা কোর্তোয়া। খুব কাছ থেকে জেসুসের বুলেট গতির শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন বেলজিয়ান গোলরক্ষক। সের্হিও রামোসের অনুপস্থিতিতে বাড়তি দায়িত্ব ছিল ভারানের কাঁধে। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে এই ডিফেন্ডারের রাতটা কেটেছে দুঃস্বপ্নের মতো। তার ভুলে ৬৮তম মিনিটে আবার এগিয়ে যায় সিটি। মাঝ মাঠ থেকে উড়ে আসা বল প্রথমে হেড করতে পারেননি, বল ক্লিয়ার করার অনেক সুযোগ ছিল। দ্বিতীয়বারে দুর্বল হেড দিয়ে বল দিতে চেয়েছিলেন কিপারকে। ছুটে গিয়ে মাঝপথে বল ধরে জালে পাঠান জেুসস। নিয়মিত অধিনায়ক রক্ষণের মূল ভরসা রামোসের অনুপস্থিতিতে রিয়াল যেন ছিল দিশাহীন। ৭৫তম মিনিটে রক্ষণের ভুলে আবার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছিলেন জেসুস। তার আগেই বলের কাছে পৌঁছে যান কোর্তোয়া। শেষ দিকে মরিয়া চেষ্টা চালায় রিয়াল, কিন্তু জালের দেখা আর পায়নি স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমবারের মতো কোচ হিসেবে ইউরোপ সেরার মঞ্চের নক আউট পর্ব থেকে বিদায় নিলেন জিদান। একই সময়ে শুরু হওয়া আরেক ম্যাচে ইউভেন্তুসের মাঠে ২-১ গোলে হেরে গেলেও অ্যাওয়ে গোলে শেষ আটে উঠেছে লিওঁ। দুই লেগ মিলে স্কোরলাইন ২-২। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে জিতেছিল ফরাসি দলটি। আগামী শনিবার লিসবনে সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে সিটি ও লিওঁ। সূত্র : বিডিনিউজ এন এইচ, ০৮ আগস্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3a7q0TK
August 08, 2020 at 06:05AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন