সাউদাম্পটন, ০৭ সেপ্টেম্বর- ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলটি যখন করতে এলেন অ্যাডাম জাম্পা, জয়ের জন্য ৮ বলে ছয় রান দরকার। জস বাটলার আর অপেক্ষায় থাকতে রাজি ছিলেন না। অস্ট্রেলিয়ান লেগস্পিনার সোজা তুলে মারলেন-ছয়! সাত বল বাকি থাকতেই ইয়ন মরগানের ইংল্যান্ড ম্যাচ জিতে নিলো ৬ উইকেটে। আগেরদিন ম্যাচটা তাও শেষ বলে টেনে নিতে পেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। রবিবার রাতে সাউদাম্পটনের এজিয়্যাস বোলে পুরোনো শত্রুকে সহজেই হারিয়ে দিল ইংলিশরা। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেই ২-০, তিন ম্যাচের সিরিজটা পকেটে পোরা হয়ে গেছে। মঙ্গলবার একই ভেন্যুতে শেষ ম্যাচটা অ্যারন ফিঞ্চের অস্ট্রেলিয়ার জন্য একটু মান বাঁচানোর উপলক্ষ্য। তবে ইংল্যান্ড ওটাও জিততে চাইবে। সিরিজ ৩-০ করতে পারলে টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে হটিয়ে তারাই হবে এক নম্বর। আর ইংল্যান্ড যে ফর্মে আছে, বিশেষ করে বাটলার ও ডেভিড মালান, তাতে যেকোনও রান তারা চেজ করে ফেলার সাহস রাখে। আবার দলকে এমন রানেও তারা তুলে নিতে পারে, যেখানে পৌঁছাতে পারছে না প্রতিপক্ষ। অস্ট্রেলিয়া টস জিতে ব্যাটিং নিয়েই পড়েছিল বিপদে। জফরা আর্চার ও মার্ক উডের পেসে ৩ রানেই হারায় দুই উইকেট। এই বিপদ পাড়ি দিয়ে এক পর্যায়ে পৌঁছায় ৩ উইকেটে ৩০ রানে। সেখান থেকে ৭ উইকেটে ১৫৭, মোটামুটি ভদ্রস্থ স্কোর। আগেরদিন মার্কাস স্টয়নিসের বাউন্ডারি মারতে পারার ব্যর্থতায় শেষ বলে গিয়ে ২ রানে হার মানতে হয় অস্ট্রেলিয়াকে। এ ম্যাচে স্টয়নিস বাউন্ডারি মারতে পেরেছেন, দুটি চারের সঙ্গে মেরেছেন দুটি ছক্কা। কিন্তু দল তার কাছ থেকে ২৬ বলে ৩৫ রান নয়, দাবি করছিল আরও বড় রান। তারপরও তার এই অবদানের সঙ্গে ওপেনার ও অধিনায়ক ফিঞ্চের ৪০ রানেই ১৫৭ তে নিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়াকে। ম্যাচের তৃতীয় বলেই জফরার বলে উইকেটকিপারকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল নিচে ঠেলে এ ম্যাচে তিনে নামেন অ্যালেক্স ক্যারি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার মিডলঅর্ডার রোগটা সারাতে পারলো না। উডের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে ক্যারিও ফিরে যান। এই ক্ষতটা ঢাকতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। আরও পড়ুন- বাংলাদেশকে হারাতে নতুন অস্ত্রে শান দিচ্ছে শ্রীলঙ্কা রান তাড়ায় ইংল্যান্ডও ছিল মন্থর। ভীষণ মন্থর ছিলেন বাটলার। ২৫ রানে পৌঁছাতে ২৪ বল খেলে ফেলেন উইকেটকিপার-ওপেনার। কিন্তু ২২ বলের মধ্যে ইংল্যান্ডে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর গতিটা তোলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৫৪ বলে অপরাজিত ৭৭ রান করে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। আটটি চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা মেরেছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। ডেভিড মালানের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে গড়েছেন ৮৭ রানের জুটি। ক্রমশই মি. টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট হয়ে ওঠার পথে ৭টি চারে ৩২ বল থেকে ৪২ রান করে মালান আউট হয়েছেন অ্যাস্টন অ্যাগারের বাঁহাতি স্পিনে। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন আডি/ ০৭ সেপ্টেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3gZu36w
September 07, 2020 at 04:31AM
07 Sep 2020

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

 
Top