ঢাকা, ১৯ সেপ্টেম্বর- হুট করেই বাংলা চলচ্চিত্রের আকাশে নক্ষত্র হয়ে ধরা দেন ক্ষণজন্মা চিত্রনায়ক সালমান শাহ। মাত্র তিন বছরেই তিনি জয় করে নেন কোটি ভক্তের হৃদয়। মৃত্যুর ২৪ বছর পরও তার জনপ্রিয়তা যেন একটুও কমেনি। প্রয়াত এই নায়কের ৪৯তম জন্মবার্ষিকী শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর)। সালমান শাহ নামটি ছিল সিনেমার জন্য। তবে এই নায়কের প্রকৃত নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। ১৯৭০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মা নীলা চৌধুরী। ছোট পর্দা দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন সালমান শাহ। তবে সাফল্য পান বড় পর্দায়। অভিষেক সিনেমাতেও দর্শকদের হৃদয় জয় করে নেন তিনি। একের পর এক উপহার দিয়েছেন সুপারহিট সিনেমা। তাকে দেখা গেছে মোট ২৭টি সিনেমায়। আর এতে সময় লেগেছিল মাত্র তিন বছর। নন্দিত এই অভিনেতা ছোট পর্দায় অভিনয় করেছেন- আকাশ ছোঁয়া, দোয়েল, সব পাখি ঘরে ফেরে, সৈকতে সারস, নয়ন ও স্বপ্নের পৃথিবীর মতো নাটকে। এছাড়া বিজ্ঞাপনেও দেখা গেছে তাকে। ১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত কেয়ামত থেকে কেয়ামত সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে পা রাখেন তিনি। একই সিনেমায় অভিষেক ঘটে চিত্রনায়িকা মৌসুমীরও। প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাত করেন তিনি। তার চলন-বলন ও পোশাক-পরিচ্ছদ তরুণদের মন জয় করে নেয়। সালমান শাহ অভিনীত সিনেমাগুলো হলো- কেয়ামত থেকে কেয়ামত (বিপরীতে মৌসুমী), তুমি আমার (শাবনূর), অন্তরে অন্তরে (মৌসুমী), কন্যাদান (লিমা), জীবন সংসার (শাবনূর), চাওয়া থেকে পাওয়া (শাবনূর), সুজন সখী (শাবনূর), বুকের ভেতর আগুন (শাবনূর), এই ঘর এই সংসার (বৃষ্টি), স্নেহ (মৌসুমী), বিচার হবে (শাবনূর), প্রেমযুদ্ধ (লিমা), মহা মিলন (শাবনূর), তোমাকে চাই (শাবনূর), বিক্ষোভ (শাবনূর), আশা ভালোবাসা (শাবনাজ), মায়ের অধিকার (শাবনাজ), আঞ্জুমান (শাবনাজ), আনন্দ অশ্রু (শাবনূর), প্রেম পিয়াসী (শাবনূর), সত্যের মৃত্যু নেই (শাহনাজ), প্রিয়জন (শিল্পী), শুধু তুমি (শ্যামা), স্বপ্নের পৃথিবী (শাবনূর), স্বপ্নের নায়ক (শাবনূর), দেন মোহর (শাবনূর) ও স্বপ্নের ঠিকানা (শাবনূর)। আরও পড়ুন- যেভাবে নিজেকে বদলেছেন আরিফিন শুভ বুকের ভেতর আগুন ছিল সালমান অভিনীত শেষ সিনেমা। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে সবচেয়ে বেশি ১৪টি সিনেমায় অভিনয় করেন শাবনূর। ১৯৯৬ সালে নিজ ঘরে সালমান শাহকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। শুরুতে বিষয়টি আত্মহত্যা বলা হয়। কিন্তু তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তার মা নীলা চৌধুরী। বিষয়টি নিয়ে মামলা এখনো চলমান। চলতি বছর তার মৃত্যুর দুই যুগ পার হয়েছে। সূত্র: বাংলা নিউজ এমএ/ ১৯ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/32Jyuyz
September 19, 2020 at 06:20AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন