আবুধাবি, ০৩ অক্টোবর- এবারের আইপিএলটা একদমই ভালো যাচ্ছিল না বিরাট কোহলির। প্রথম তিন ম্যাচে তার উইলো থেকে আসে ১৪, ১ ও ৩ রান। কোহলির নামের সঙ্গে কি এসব মানায়! অবশেষে স্বরূপে ফিরলেন রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু অধিনায়ক। আর কোহলি যেদিন ফর্মে থাকেন, প্রতিপক্ষের আর কীই-বা করার থাকে! আবুধাবিতে অধিনায়কের রানে ফেরার ম্যাচটিতে রাজস্থান রয়্যালসকে রীতিমত উড়িয়ে দিয়েছে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। ম্যাচটি তারা জিতেছে ৮ উইকেট আর ৫ বল হাতে রেখে। এই জয়ে আইপিএলে পয়েন্ট তালিকার এক নম্বরে উঠে এসেছে ব্যাঙ্গালুরু। চার ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই জিতেছে কোহলির দল। লক্ষ্য ছিল ১৫৫ রানের। টি-টোয়েন্টিতে একেবারে মামুলি বলার উপায় নেই। তবে দেবদূত পাডিক্কেলের দুরন্ত ফর্ম আর কোহলির ক্যাপ্টেনস নকে জয় পেতে একদমই কষ্ট হলো না ব্যাঙ্গালুরুর। ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ৮ রানে ফেরার পর দ্বিতীয় উইকেটে পাডিক্কেল আর কোহলি গড়েন ৯৯ রানের ম্যাচ জেতানো জুটি। ৪৫ বলে ৬ চার আর ১ ছক্কায় ৬৩ রান করে পাডিক্কেল শেষতক ফেরেন জোফরা আর্চারের বলে বোল্ড হয়ে। তবে এবি ডি ভিলিয়ার্সকে নিয়ে বাকি পথটা পারি দিতে কষ্ট হয়নি কোহলির। ৫৩ বলে ৭ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ব্যাঙ্গালুরু অধিনায়ক অপরাজিত থাকেন ৭২ রানে। ১০ বলে ১২ রান নিয়ে তার সঙ্গে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন ডি ভিলিয়ার্স। এর আগে কঠিন বিপদ সামলে ৬ উইকেটে ১৫৪ রানের লড়াকু পুঁজি দাঁড় করায় রাজস্থান রয়্যালস। ১৬ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ১০৬ রান। সেখান থেকে শেষ চার ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে যোগ করে আরও ৪৮। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামার পর রাজস্থানকে উড়ন্ত সূচনাই দিয়েছিলেন জস বাটলার। ১৬ বলে ২৭ রানের উদ্বোধনী জুটিটি ভাঙে ইসুরু উদানার বলে স্টিভেন স্মিথ ৫ করে বোল্ড হলে। পরের ওভারে ভয়ংকর বাটলারকে তুলে নেন নভদ্বীপ সাইনি। ১২ বলে ৩ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় বাটলার করেন ২২ রান। রাজস্থানের বিপদ আরও বাড়ান ইয়ুজবেন্দ্র চাহাল দুরন্ত ফিরতি ক্যাচে সঞ্জু স্যামসনকে ফিরিয়ে। ৩ বলে ৪ রান করেন স্যামসন, ৩১ রানে ৩ উইকেট হারায় রাজস্থান। সেখান থেকে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেছেন রবিন উথাপ্পা আর মহীপাল লমরর। চতুর্থ উইকেটে ৩৬ বলে ৩৯ রান যোগ করেন তারা। তবে উথাপ্পা খুব একটা স্বচ্ছন্দ্য ছিলেন না, ধুঁকতে থাকা এই ব্যাটসম্যান ২২ বলে ১৭ করে চাহালকে তুলে মারতে গিয়ে উদানার ক্যাচ হন। পঞ্চম উইকেটে রায়ান পরাগকে নিয়ে ৩৪ বলে ৩৫ রানের আরেকটি জুটি লমররের। এই জুটিতে আবার পরাগ তেমন স্বচ্ছন্দ্য ছিলেন না, ১৮ বলে ১৬ রান করে উদানার শিকার হন এই ব্যাটসম্যান। আরও পড়ুন:ফের ব্যাটিং ব্যর্থতা, ধোনির ইতিহাস গড়ার দিনে হারের হ্যাটট্রিক চেন্নাইয়ের একের পর এক সঙ্গী হারিয়ে ধৈর্য্যচুতি ঘটে লমররেরও। দারুণ খেলতে থাকা এই ব্যাটসম্যান ইনিংসের ১৭তম ওভারের প্রথম বলটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। চতুর্থ বলে তাকে ঠিকই তুলে নেন চাহাল। ৩৯ বলে ১ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৪৭ রানে লং অনে ক্যাচ হন লমরর। ১১৪ রানে ৬ উইকেট হারানো রাজস্থান শেষ পর্যন্ত রাহুল তেয়াতিয়া আর জোফরা আর্চারের ঝড়ে ১৫৪ রানের লড়াকু পুঁজি পায়। তেয়াতিয়া ১২ বলে ৩ ছক্কায় ২৪ আর আর্চার ১০ বলে একটি করে চার ছক্কায় ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন। ব্যাঙ্গালুরুর বোলারদের মধ্যে চাহাল ৩টি আর উদানা নেন ২টি উইকেট। সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন আডি/ ০৩ অক্টোবর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2SltAS3
October 03, 2020 at 04:33PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top