কায়রো, ১৫ নভেম্বর- মিশরের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাতিল করে মামলার পুনরায় শুনানির আদেশ দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। ২০১৫ সালের জুনে এক মামলায় মুরসিকে মৃত্যুদণ্ড দেন মিশরের একটি আদালত। ২০১১ সালে সামরিক স্বৈরশাসক হোসনি মোবারক বিরোধী গণঅভ্যুত্থানকালে কারাগার ভেঙে গণহারে বন্দি পলায়ন এবং কয়েকটি থানায় হামলায় ভূমিকার অভিযোগে মুরসিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার ওই মামলায় মুরসি এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের অপর পাঁচ নেতার মৃত্যুদণ্ডাদেশও বাতিল করেছেন মিশরের সর্বোচ্চ আদালত। সেই সঙ্গে ওই মামলার পুনরায় শুনানিরও আদেশ দেওয়া হয়। গণঅভ্যুত্থানে হোসনি মোবারকের পতনের পর ২০১২ সালে দেশের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হন মোহাম্মদ মুরসি। ২০১২ সাল থেকে ২০১৩ সালে জুলাই পর্যন্ত এক বছর ক্ষমতায় ছিলেন মুরসি। পরে গণআন্দোলনের মুখে তিনি সামরিক বাহিনী কর্তৃক ক্ষমতাচ্যুত হন এবং বিভিন্ন অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও গুপ্তচরবৃত্তি এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে পৃথকভাবে মুরসিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অপর এক মামলায় ২০ বছর কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। এখনো বিভিন্ন অভিযোগে তার বিচার চলছে। তাছাড়া আরও ২১ জন মুসলিম ব্রাদারহুড নেতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। ক্ষমতায় থাকাকালে কাতার ছিল মুরসি ও তার মুসলিম ব্রাদারহুডের অন্যতম প্রধান সমর্থক। তার বিরুদ্ধে কাতারসহ বিদেশে রাষ্ট্রীয় গোপন নথিপত্র পাচারের অভিযোগও করা হয়। তবে সেই অভিযোগ থেকে আদালত তাকে খালাস দিয়েছেন। সূত্র: আলজাজিরা। এফ/২১:৫২/১৫নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2fSVgZf
November 16, 2016 at 03:52AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন