রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় অবস্থিত প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আদিবাসী বিদ্যালয়ে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কার্তিক কোল মুরমু স্মরণে শোকভার আয়োজন করা হয়।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গ্রামের লোকজন কার্তিক কোল মুরমুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে ও এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে কার্তিক কোলকে শ্রদ্ধা জানান। এরপর গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি দূর্গা কোল মার্ডির সভাপতিত্বে শোকসভা শুরু হয়।
শুরুতে গীতা পাঠ করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কানাই চন্দ্র দাস। বক্তব্য দেন গ্রামের মোড়ল কার্তিক কোল টুডু, মাধব কোল সরেন, দেবেন কোল হাঁসদা, গান্ধু কোল হাঁসদা, সমরা কোল হাঁসদা, বিদ্যালয়ের শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর, নির্মল কোল সরেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, কার্তিক কোল মুরমু দীর্ঘদিন থেকেই নিজেদের ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান ও নিজেদের পালা-পার্বন গ্রামে টিকিয়ে রাখার জন্য চেষ্টা চালিয়ে এসেছেন। বিদ্যালয়ের প্রতিটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তাঁর মাদলের বাজনা সবাইকে আনন্দ দিত। গ্রামের অনেককেই যেমন তিনি মাদল বাজানো শিখিয়েছে, তেমনি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও শিখিয়েছেন। তিনি খুব ভালো লোক ছিলেন। সবাইকে ভালবাসতেন এবং আনন্দে মাতিয়ে রাখতেন। তাঁর প্রচেষ্টাতেই গ্রাম থেকে বিলুপ্ত দাসাই নাচের দল গঠিত হয়। তাঁর এসব গুণাবলির কথা বলতে গিয়ে তাঁর সতীর্থ বক্তারা চোখের জল ফেলেন।
উলে¬খ্য, তিনি গত ১৩ নভেম্বর বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৬-১১-১৬
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গ্রামের লোকজন কার্তিক কোল মুরমুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে ও এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে কার্তিক কোলকে শ্রদ্ধা জানান। এরপর গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি দূর্গা কোল মার্ডির সভাপতিত্বে শোকসভা শুরু হয়।
শুরুতে গীতা পাঠ করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কানাই চন্দ্র দাস। বক্তব্য দেন গ্রামের মোড়ল কার্তিক কোল টুডু, মাধব কোল সরেন, দেবেন কোল হাঁসদা, গান্ধু কোল হাঁসদা, সমরা কোল হাঁসদা, বিদ্যালয়ের শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর, নির্মল কোল সরেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, কার্তিক কোল মুরমু দীর্ঘদিন থেকেই নিজেদের ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান ও নিজেদের পালা-পার্বন গ্রামে টিকিয়ে রাখার জন্য চেষ্টা চালিয়ে এসেছেন। বিদ্যালয়ের প্রতিটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তাঁর মাদলের বাজনা সবাইকে আনন্দ দিত। গ্রামের অনেককেই যেমন তিনি মাদল বাজানো শিখিয়েছে, তেমনি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও শিখিয়েছেন। তিনি খুব ভালো লোক ছিলেন। সবাইকে ভালবাসতেন এবং আনন্দে মাতিয়ে রাখতেন। তাঁর প্রচেষ্টাতেই গ্রাম থেকে বিলুপ্ত দাসাই নাচের দল গঠিত হয়। তাঁর এসব গুণাবলির কথা বলতে গিয়ে তাঁর সতীর্থ বক্তারা চোখের জল ফেলেন।
উলে¬খ্য, তিনি গত ১৩ নভেম্বর বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৬-১১-১৬
from Chapainawabganjnews http://ift.tt/2fz7i9V
November 26, 2016 at 07:38PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.