চাঁপাইনবাবগঞ্জ চক্ষু হাসপাতাল চত্বরে আয়োজিত এক চক্ষু শিবিরের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ‘ ডাকাতকে হাতে-নাতে পেলে পিষে মেরে ফেলুন ’ এমন বক্তব্য দেওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) কে এম মোজাহেদুল ইসলামকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৪ ডিসেম্বর তাঁকে আদালতে হাজির হয়ে এ বক্তব্যের বিষয়ে ব্যখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে আদালত আদেশ দিতে গিয়ে মন্তব্য করেছেন ‘ দেশটা কি মগের মুল্লুক ’।
শুক্রবার দেয়া ওই বক্তব্য নিয়ে একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে আমলে নিয়ে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রোববার এই আদেশ দেন।
সকালে বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহম্মদ উল্লাহর ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেওয়ার সময় বলেন, ‘ দেশটা কি মগের মুল্লুক? একজন সরকারি কর্মকর্তা কীভাবে আইন বহির্ভূতভাবে এ ধরনের বক্তব্য দেন? এটা মেনে নেওয়া যায় না ’।
আদেশে সংবিধানবহির্ভূতভাবে নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়াসহ কোনো অপরাধীকে হত্যার জন্য উসকানি দেওয়ায় কেন এসপির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। আগামী সাতদিনের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, পুলিশের আইজি, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ডিসি ও এসপিকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে এই বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার বিষয়ে আইজিপি ও এসপিকে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
তিনি নিজে বা আইনজীবীর মাধ্যমে প্রতিবেদন দিতে পারবেন।
চক্ষু শিবিরের ওই অনুষ্ঠানে এসপি টি এম মোজাহিদুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘ ডাকাত যদি হাতেনাতে পান, তো জলজ্যান্ত ওটাকে পিষে মেরে ফেলেন। একটা মার্ডার কেস নেব, এটা সত্য কথা এবং এক মাসের মধ্যে ফাইনাল রিপোর্ট দিয়ে চলে আসব। গ্যারান্টি আমার। আমি যদি গ্যারান্টার হই, তবে আপনাদের কোনো ভয় আছে? যদি ডাকাত হাতেনাতে ধরতে পারেন, এলাকার লোকজনকে মাইকে ডেকে এনে ওকে পিষে মেরে ফেলেন। মাদকের গাড়ি হলে সেটি আগুনে পুড়িয়ে দেবেন। আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি, আপনাদের নামে কোনো মামলা হবে না। এই গ্যারান্টি আমার।’
অনুষ্ঠানে ‘ আইন প্রণেতা ’ সংসদ সদস্য আবদুল ওদুদ উপস্থিত ছিলেন। তার উপস্থিতিতেই এসপি এমন বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৭-১১-১৬
শুক্রবার দেয়া ওই বক্তব্য নিয়ে একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে আমলে নিয়ে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রোববার এই আদেশ দেন।
সকালে বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহম্মদ উল্লাহর ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেওয়ার সময় বলেন, ‘ দেশটা কি মগের মুল্লুক? একজন সরকারি কর্মকর্তা কীভাবে আইন বহির্ভূতভাবে এ ধরনের বক্তব্য দেন? এটা মেনে নেওয়া যায় না ’।
আদেশে সংবিধানবহির্ভূতভাবে নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়াসহ কোনো অপরাধীকে হত্যার জন্য উসকানি দেওয়ায় কেন এসপির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। আগামী সাতদিনের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, পুলিশের আইজি, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ডিসি ও এসপিকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে এই বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার বিষয়ে আইজিপি ও এসপিকে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
তিনি নিজে বা আইনজীবীর মাধ্যমে প্রতিবেদন দিতে পারবেন।
চক্ষু শিবিরের ওই অনুষ্ঠানে এসপি টি এম মোজাহিদুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘ ডাকাত যদি হাতেনাতে পান, তো জলজ্যান্ত ওটাকে পিষে মেরে ফেলেন। একটা মার্ডার কেস নেব, এটা সত্য কথা এবং এক মাসের মধ্যে ফাইনাল রিপোর্ট দিয়ে চলে আসব। গ্যারান্টি আমার। আমি যদি গ্যারান্টার হই, তবে আপনাদের কোনো ভয় আছে? যদি ডাকাত হাতেনাতে ধরতে পারেন, এলাকার লোকজনকে মাইকে ডেকে এনে ওকে পিষে মেরে ফেলেন। মাদকের গাড়ি হলে সেটি আগুনে পুড়িয়ে দেবেন। আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি, আপনাদের নামে কোনো মামলা হবে না। এই গ্যারান্টি আমার।’
অনুষ্ঠানে ‘ আইন প্রণেতা ’ সংসদ সদস্য আবদুল ওদুদ উপস্থিত ছিলেন। তার উপস্থিতিতেই এসপি এমন বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৭-১১-১৬
from Chapainawabganjnews http://ift.tt/2gk2kiE
November 27, 2016 at 09:11PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন