উত্তরবঙ্গ সংবাদ পোর্টালঃ দার্জিলিং জেলার পার্বত্য এলাকায় শ্রী পদ্ধতিতে চাষ নতুন দিশা দেখাতে পারে। ইতিমধ্যে কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে পার্বত্য এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে শ্রী পদ্ধতিতে চাষ করে প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় অনেক বেশি ফলন হওয়ায় চাষিদের মধ্যে শ্রী পদ্ধতিতে চাষের প্রতি আগ্রহ অনেক বাড়ছে। কৃষি দপ্তরও চাষিদের উত্সাহ বাড়াতে তত্পর। পাহাড়ের বালু ও পাথুরে মাটিতে সাধারন মানের চাল তুলনামূলকভাবে কম রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এছাড়াও অনিয়মিত বৃষ্টিপাত ও রাসায়নিক সারের কম ব্যবহারের ফলে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের সমতল এলাকার তুলনায় পাহাড়ে অনেকাংশে কম ফলন হয়। বর্তমানে ধান চাষের খরচও বেড়েছে। পাহাড়ের মানুষ যাতে অল্প বীজ দিয়ে অধিক পরিমাণ ধানের ফলন পান তার জন্যই স্থানীয়রা কয়েকজন মিলে একটি জমিতে প্রদর্শনী ক্ষেত্র তৈরি করে শ্রী পদ্ধতিতে ধান চাষ করেন। বীজ নির্বাচন করা হয় শংকর জাতের ‘দেবা’। বীজতলা থেকে ফসল কাটা পর্যন্ত শ্রী পদ্ধতির সঠিক নিয়ম পালন করা হলে এক একর জমিতে কমপক্ষে ২০ কুইন্টাল ফলন হতে পারে। অর্থাৎ শ্রী পদ্ধতিতে চাষ গ্রহণযোগ্য হলে পাহাড়ে ধান চাষের ছবিই যাবে পাল্টে।
from Uttarbanga Sambad http://ift.tt/2h6F1fE
December 07, 2016 at 10:45PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন