চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিল্প ও বণিক সমিতি’র সভাপতি, জাতীয়তাবাদি ছাত্রদলের সাবেক নেতা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওয়াহেদ নাচোল উপজেলার পরিষদের চেয়াম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে নির্বাচনে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগ তুলেছেন। পাশাপাশি ভোটারদের হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ ভোট কেন্দ্র দখলের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন তিনি। রোববার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ টাউন ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলেনের তিনি এই অভিযোগ উত্থাপন করেন।
লিখিত বক্তব্যে আব্দুল ওয়াহেদ অভিযোগ করেন, গত ২/৩ দিন থেকে প্রশাসন ও সরকারি দলের নেতৃবৃন্দ্বের পক্ষ তার সমর্থক ভোটারদের নানান হুমকী ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করে নাচোল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কাদের সরকারি গাড়ি নিয়ে নির্বাচনে সরকারি দলের প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট দেয়ার জন্য ভোটারদের চাপ প্রয়োগ করছেন। জেলা পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মল্লিকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রের ভোটারদের সরকারি দলের প্রার্থীর পক্ষে প্রাকশ্যে সিল মারার চাপ প্রদান করা হচ্ছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা পরিষদের ১০, ১১, ১৩, ১৪, ১৫ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কেন্দ্রগুলো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দাবী করে এসব কেন্দ্র দখল, সরকারী প্রার্থীর পক্ষে সীল মারার আশংকা ব্যক্ত করেন। ওইসব কেন্দ্রে ভোটদান অবাধ করতে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগ তোলা হলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ সদরের সমস্ত ভোটারদের তার বাথান বাড়িতে ডেকে নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়েছেন এমন বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘ এ বিষয়ে আমার কাছে কোন ডকুমেন্ট নেই। তাই এব্যাপারে আমি কিছু বলবো না’। পত্রিকায় খবর বেড়িয়েছে উল্লেখ করা হলেও ‘আমার কাছে কোন ডকুমেন্ট নেই’ বলে তা এড়িয়ে যান আব্দুল ওয়াহেদ।
আব্দুল ওয়াহেদের নির্বাচনী মনোনয়ন পত্রের প্রস্তাব ও সমর্থক বিএনপি’র দু’ ইউপি চেয়ারম্যানকে বহিস্কার প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি মনোনয়ন পত্রের প্রস্তাবক ও সমর্থককে বিএনপি থেকে বহিস্কার করাকে ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে বলেন, ‘ আমাকে প্রতিপক্ষ মনে করে এবং ষড়যন্ত্র করে বহিস্কার নাটক করা হয়েছে’।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওযামী লীগের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মইনুদ্দীন মন্ডল বিএনপি’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশিদের মামা। তিনি (হারুন) কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হওয়ার পরেও মামা’র (মন্ডল) পক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করছেন। মামাকে বিজয়ী করতে এবং আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করতেই বহিস্কার নাটক করা হয়েছে’।
এদিকে আওয়ামী লীগ নেতা পক্ষে কাজ করার অভিযোগ প্রসঙ্গে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশিদ বলেন, ‘ এরকম কথার কোন ভিত্তি নেই। জেলা পরিষদ নির্বাচন সংবিধান সম্মত নয়। এই নির্বাচন বিএনপি বর্জন করছে। কাজেই আমাদের অবস্থান নির্বাচনের বিপরীতে। এই নির্বাচনে কে জিতল আর কে হারল তা নিয়ে আমাদের কোন মাথা ব্যথা নেই’।
তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে আব্দুল ওয়াহেদ ভোটারদের অবাধে ভোটদান ও কেন্দ্রে কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণার দাবি জানিয়ে জানান, শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচনী যুদ্ধে থাকবেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৫-১২-১৬
লিখিত বক্তব্যে আব্দুল ওয়াহেদ অভিযোগ করেন, গত ২/৩ দিন থেকে প্রশাসন ও সরকারি দলের নেতৃবৃন্দ্বের পক্ষ তার সমর্থক ভোটারদের নানান হুমকী ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করে নাচোল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কাদের সরকারি গাড়ি নিয়ে নির্বাচনে সরকারি দলের প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট দেয়ার জন্য ভোটারদের চাপ প্রয়োগ করছেন। জেলা পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মল্লিকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রের ভোটারদের সরকারি দলের প্রার্থীর পক্ষে প্রাকশ্যে সিল মারার চাপ প্রদান করা হচ্ছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা পরিষদের ১০, ১১, ১৩, ১৪, ১৫ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কেন্দ্রগুলো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দাবী করে এসব কেন্দ্র দখল, সরকারী প্রার্থীর পক্ষে সীল মারার আশংকা ব্যক্ত করেন। ওইসব কেন্দ্রে ভোটদান অবাধ করতে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগ তোলা হলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ সদরের সমস্ত ভোটারদের তার বাথান বাড়িতে ডেকে নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়েছেন এমন বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘ এ বিষয়ে আমার কাছে কোন ডকুমেন্ট নেই। তাই এব্যাপারে আমি কিছু বলবো না’। পত্রিকায় খবর বেড়িয়েছে উল্লেখ করা হলেও ‘আমার কাছে কোন ডকুমেন্ট নেই’ বলে তা এড়িয়ে যান আব্দুল ওয়াহেদ।
আব্দুল ওয়াহেদের নির্বাচনী মনোনয়ন পত্রের প্রস্তাব ও সমর্থক বিএনপি’র দু’ ইউপি চেয়ারম্যানকে বহিস্কার প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি মনোনয়ন পত্রের প্রস্তাবক ও সমর্থককে বিএনপি থেকে বহিস্কার করাকে ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে বলেন, ‘ আমাকে প্রতিপক্ষ মনে করে এবং ষড়যন্ত্র করে বহিস্কার নাটক করা হয়েছে’।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওযামী লীগের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মইনুদ্দীন মন্ডল বিএনপি’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশিদের মামা। তিনি (হারুন) কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হওয়ার পরেও মামা’র (মন্ডল) পক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করছেন। মামাকে বিজয়ী করতে এবং আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করতেই বহিস্কার নাটক করা হয়েছে’।
এদিকে আওয়ামী লীগ নেতা পক্ষে কাজ করার অভিযোগ প্রসঙ্গে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশিদ বলেন, ‘ এরকম কথার কোন ভিত্তি নেই। জেলা পরিষদ নির্বাচন সংবিধান সম্মত নয়। এই নির্বাচন বিএনপি বর্জন করছে। কাজেই আমাদের অবস্থান নির্বাচনের বিপরীতে। এই নির্বাচনে কে জিতল আর কে হারল তা নিয়ে আমাদের কোন মাথা ব্যথা নেই’।
তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে আব্দুল ওয়াহেদ ভোটারদের অবাধে ভোটদান ও কেন্দ্রে কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণার দাবি জানিয়ে জানান, শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচনী যুদ্ধে থাকবেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৫-১২-১৬
from Chapainawabganjnews http://ift.tt/2hoIGX5
December 25, 2016 at 09:06PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন