কলকাতা,২৫ ডিসেম্বরঃ শুধু বড় শহরের নিরপরাধ, সাধারণ মানুষ নয়। লক্ষ্য ছিল অনেক বড়। নিশানায় ছিল কলকাতার মাদার হাউস ও সেইসঙ্গে সেখানে আসা রুশ, ব্রিটেন এবং মার্কিন পর্যটকরা। মাদার হাউস শুধু মিশনারিজ অফ চ্যারিটির প্রধান কার্যালয়ই নয়, এখানে রয়েছে মাদার টেরেসার সমাধিও। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনআইএ)-র জেরায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। এব্যাপারে মুসার বিরুদ্ধে একটি চার্জশিটও দাখিল করা হয়েছে এনআইএ-র পক্ষ থেকে। এবছরই সিআইডি-র হাতে ৪ জুলাই মুসা গ্রেপ্তার হয় বর্ধমান স্টেশন থেকে। জানা যায়, ১ জুলাই বাংলাদেশের গুলশান নাশকতায় যোগসূত্র মেলায় বাংলাদেশ গোয়েন্দা সংস্থাও জেরা করে মুসাকে।
লাভপুরের বাসিন্দা হওয়া স্বত্ত্বেও স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে দীর্ঘদিন তামিলনাড়ুতে থাকত মুসা। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের সূত্র ধরেই কেন্দ্রীয় গায়েন্দাদের হাতে উঠে আসে মুসার নাম। এরপর দীর্ঘ ছয় বছর পর এরাজ্যে ঢুকতে গিয়েই ধরা পড়ে সে।
উত্তর কলকাতায় পড়ার সুবাদে জাল বিস্তার করতে এবং যোগাযোগ তৈরি করতে কোনোরকম অসুবিধা হয়নি তার। বিভিন্ন জায়গায় তথ্য পাচার এবং টাকা তোলার কাজ করত মুসা।
সম্প্রতি আমেরিকার এফবিআই-ও জেরা করেছে মুসাকে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, সাদা চামড়ার মানুষের প্রতি প্রতিশোধস্পৃহা ছিল মুসার। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, নিয়মিত সে যোগাযোগ রাখত সিরিয়া, ইরাক ও বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে। অত্যাধুনিক অ্যাপ ও সোশ্যাল মিডিয়ার মারফত যোগাযোগ রাখত সে। আইএস-এর পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন এলাকায় বিস্ফোরণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মুসাকেই। আর সেজন্যই সে বেছে নিয়েছিল মাদার হাউসকে।
from Uttarbanga Sambad http://ift.tt/2hl8fH1
December 25, 2016 at 10:28PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন