মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেক্টোরাল ভোট কাল

electrolকাল ১৯ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনের অলিম্পিয়ার ক্যাপিটল রিসেপশন রুমে ৫৩৮ জন ইলেকটর আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট দেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হিলারি ক্লিনটনকে। মার্কিন ইতিহাসে ২২বার ইলেকটোররা নিজেদের মত পাল্টেছেন। তাই সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ট্রাম্প এগিয়ে থাকলেও তাঁকে পেতে হবে ইলেকটোরদের আনুষ্ঠানিক সমর্থনও।

৮ নভেম্বরের নির্বাচনি ফলাফল বলছে ৫০টি অঙ্গরাজ্য ও রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি মিলিয়ে ৩০৬ জন ইলেকটোরাল কলেজ ভোট জিতেছে রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর ২৩২টি ভোট গেছে ডেমোক্র্যাট হিলারীর পক্ষে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী, যে রাজ্যে যে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী পপুলার ভোটে জিতেছেন সেই রাজ্যের সব ইলেকটোর তাকে ভোট দিতে বাধ্য। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কেবল নেব্রাস্কা ও মেইন। এ দুই রাজ্যের ইলেকটোররা যে দল থেকে জিতেছেন সেই দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। কিন্তু এবার কোন কোন ইলেকটোর সংবিধানের তোয়াক্কা না করে নিজেদের পছন্দ মতো ভোট দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এ নিয়ে চলছে নানা বাকবিতন্ডা।
ট্রাম্প ইলেকটোরাল কলেজের ৩০৬টি ভোট দখল করায় অনায়াসেই যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হবার কথা। কারণ প্রেসিডেন্ট হবার জন্য প্রয়োজন ২৭০টি ভোট।
তা না হলে, ১৯ জানুয়ারির আগেই সিনেট ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবে। আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবে হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদ।
১০০ জন সিনেটরের ভোট ৫০-৫০ ডেডলক হলে বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যাকে ভোট দেবেন তিনিই হবেন নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট।
অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে ১৭৭৬ সালে স্বাধীনতা লাভের পর ২০১৫ পর্যন্ত মোট ২২বার মোট ১৭৯ জন ইলেকটোর নিজেদের ভোট পরিবর্তন করেছেন। শুধুমাত্র ১৮৩৬ সাল ছাড়া বাদবাকি সময় ইলেকটোরদের ভোট পরিবর্তন নির্বাচনি ফলাফলে প্রভাব ফেলেনি। ১৮৩৬ সালে ২৩ জন ইলেকটোর ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকায় নির্বাচিত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী রিচার্ড জনসন সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি।
হার্ভার্ডের আইনের প্রফেসর ল্যারি লেসিগ দাবি করেছেন, তাঁর কাছে প্রমাণ আছে ৩০ জন ইলেকটোর ট্রাম্পকে ভোট দেবেন না। ৩৮ জন সমর্থন প্রত্যাহার করলেই প্রেসিডেন্ট হওয়া নিয়ে সংশয়ে পড়বেন ট্রাম্প।



from যুক্তরাজ্য ও ইউরোপ – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2gYJJei

December 18, 2016 at 07:06PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top