কলকাতা, ২৪ ডিসেম্বর- চোখের সামনে দাউ দাউ করে জ্বলে গিয়েছেন জ্যান্ত একটা মানুষ। সাক্ষী বছর তিনেকের একটা বাচ্চা মেয়ে। ওই মানুষটি আদতে ওই বাচ্চাটারই মা। এই দৃশ্যই যেন বার বার বিভীষিকার মতো ধাওয়া করে যাচ্ছে একরত্তি ওই মেয়েটাকে। তারপর তার মায়ের কী হয়েছে, তা জানেও না মেয়েটা। মায়ের গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বাবা আর ঠাকুমা। আর মা চিৎকার করছিল, দাদুর কোলে বসে কাঁদতে কাঁদতে সেই কথাই জানাল বছর তিনেকের পৌলমী পাল। কিছুদিন আগেই ভারতের হাবরা জানাপুলের বাসিন্দা পরিতোষ পালের সঙ্গে বিয়ে হয় বনগাঁ বিধানপল্লির মিতালি নাগের। বিয়ের পর থেকেই পরিবারে খুঁটিনাটি নানা বিষয় নিয়ে ঝামেলা অশান্তি প্রতিনিয়ত লেগেই থাকতো। কিছুদিন পর পরই টাকা চেয়ে চাপ দিত স্বামী। অন্যদিকে, মেয়ের যাতে কোনওরকম অসুবিধা না হয়, সে কথা ভেবে যখন যা জোগার করতে পারতেন তা মেয়ের হাতে তুলে দিয়ে যেতেন বাবা। মিতালির পরিবারের অভিযোগ মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পর থেকেই শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার প্রতিনিয়ত লেগেই থাকতো। আমরা মেয়ের কথা ভেবে সবটা সহ্য করতাম। ২০১৪ সালে অগস্ট মাসে এই নিয়ে অভিযোগও করা হয় থানায়। যার জেরে দীর্ঘ দিন জেলও খেটেছিলেন মিতালির স্বামী। জেল থেকে ছাড়া পেয়েই দুই বছর সবটা ভালই চলছিল। ২০১৬ সালে সেপ্টেম্বর মাসে আবার টাকার চাপ দিয়ে অশান্তি শুরু হয়। এরপর ফের থানায় অভিযোগ জানান মিতালি। পরে তা মিটেও যায়। গত ২০ ডিসেম্বর কথা কাটাকাটির পর মিতালির গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন পরিতোষ। খবর পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয় এলাকাবাসী। মেয়েকে উদ্ধার করে প্রথমে হাবড়া, পরে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিয়ের পর থেকেই যুদ্ধ চালাচ্ছিলেন মিতালি। ২১ তারিখ নিজের জীবনযুদ্ধে আর টিকে থাকতে পারলেন না তিনি। অবশেষে হাসপাতালের বেডেই মুত্যুর কাছে হার মানলেন মিতালি। মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শাশুড়ি সবিতা পাল, স্বামী পরিতোষ পাল-সহ পরিবারের বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।এবেলা ভিডিওটি দেখে নিন: আর/১৭:১৪/২৪ ডিসেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2icORu1
December 24, 2016 at 11:20PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন