চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনের সদস্য প্রার্থী সোহেলা রানা বাবু’র মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারে চাপ সৃষ্টি করতে রোববার ছত্রাজিতপুর ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল হককে প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন অপহরণ করে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। অপহরণ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতার চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়ক অবরোধের মুখে সাড়ে তিন ঘন্টার মাথায় উদ্ধার হন ইউপি চেয়ারম্যান। এঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় ৯ জনকে আসামী করে মামলা করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়, শিবগঞ্জ উপজেলার ছত্রাজিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল হককে ১৫/২০ জনের একদল দুর্বৃত্ত ইউনিয়ন পরিষদ ভবন থেকে জিম্মি করার পর মাইক্রোবাসযোগে তুলে নিয়ে যায়। ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সভাস্থল থেকে চেয়ারম্যানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় ইউপি চৌকিদার ঝালুসহ কয়েকজন বাধা দিয়ে এগিয়ে গেলে তাদের উপর হামলা করা হয়। এতে ঝালুসহ কয়েকজন আহতও হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক প্রত্যাক্ষদর্শী বলেন, ‘বহু মানুষজনের সামনেই সন্ত্রাসীরা চেয়ারম্যানকে কিল ঘুষি মারতে মারতে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়’।
ইউপি চেয়ারম্যানকে পরিষদ থেকে তুলে নিয়ে যাবার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়ক অবরোধ করে। গাছের গুড়ি ফেলে তারা মহাসড়কে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। স্থানীয়দের অবরোধের কারণে মহাসড়কের দূ’ধারে সোনামসজিদ স্থল বন্দরের পণ্যবাহী ট্রাকসহ শত শত যান আটকা পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। তবে, বিকেলে সাড়ে তিনটার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান উদ্ধার হওয়ার খবর নিশ্চিত হলে অবরোধ প্রত্যাহার হয়।
অপরহণের শিকার ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল হক চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজকে বলেন, ‘ ১৫ থেকে ২০ মানুষ ইউনিয়ন কাউন্সিলে ঢুকে অকথ্য ভাষা গালিগাল ও আমাকে লঞ্ছিত করে এবং ছোট্ট একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। মাইক্রোবাসটি লাভাঙ্গা ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে ঢুকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার পালশা এলাকার একটি মাঠের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে প্রায় ৪০ জন লোক বসেছিল’। তিনি বলেন, ‘ মাইক্রোবাসের মধ্যে দুর্বৃত্তরা আমারা ছেলের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করার ব্যবস্থা নিতে বলে এবং নানান ধরণের হুমকী প্রদান করে। পালশা মাঠে থাকা অবস্থায় পুলিশের সঙ্গে কথা হওয়ার পর আমার ভাগ্নে টুটুল আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী শামসুল হকের ছেলে সোহেল রানা বাবু অভিযোগ করে বলেন, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে দাখিল করা আমার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে চাপ সৃষ্টি করতেই প্রতিপক্ষ মোস্তাকুল ইসলাম পিন্টুর লোকজন আমার পিতাকে তুলে নিয়ে যায়’।
এ ব্যাপারে মোস্তাকুল ইসলাম পিন্টু সাংবাদিকদের জানান, তিনি কিছু জানেননা। ঘটনার সময় তিনি শিবগঞ্জ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য গোলাম রাব্বানীর বাড়িতে ছিলেন। সেখান থেকেই ঘটনাটি শুনেছেন মাত্র।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার পর পুলিশ ইউপি চেয়ারম্যানকে উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে। বিকেলে তাকে উদ্ধারের পর স্থানীয়রা অবরোধ তুলে নেয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়’।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তদন্ত সারোয়ার হোসেন জানান, সন্ধ্যায় শামসুল হক বাদি হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেছেন। তবে, কারা মামলার আসামী হয়েছেন তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম বলেননি ওসি তদন্ত।
উল্লেখ্য, জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করা মোস্তাকুল ইসলাম পিন্টু চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদের ভায়রা ভাই এবং সোহেল রানা বাবু শিবগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম রাব্বানীর অনুসারী ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল হকের ছেলে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১১-১২-১৬
পুলিশ ও প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়, শিবগঞ্জ উপজেলার ছত্রাজিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল হককে ১৫/২০ জনের একদল দুর্বৃত্ত ইউনিয়ন পরিষদ ভবন থেকে জিম্মি করার পর মাইক্রোবাসযোগে তুলে নিয়ে যায়। ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সভাস্থল থেকে চেয়ারম্যানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় ইউপি চৌকিদার ঝালুসহ কয়েকজন বাধা দিয়ে এগিয়ে গেলে তাদের উপর হামলা করা হয়। এতে ঝালুসহ কয়েকজন আহতও হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক প্রত্যাক্ষদর্শী বলেন, ‘বহু মানুষজনের সামনেই সন্ত্রাসীরা চেয়ারম্যানকে কিল ঘুষি মারতে মারতে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়’।
ইউপি চেয়ারম্যানকে পরিষদ থেকে তুলে নিয়ে যাবার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়ক অবরোধ করে। গাছের গুড়ি ফেলে তারা মহাসড়কে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। স্থানীয়দের অবরোধের কারণে মহাসড়কের দূ’ধারে সোনামসজিদ স্থল বন্দরের পণ্যবাহী ট্রাকসহ শত শত যান আটকা পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। তবে, বিকেলে সাড়ে তিনটার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান উদ্ধার হওয়ার খবর নিশ্চিত হলে অবরোধ প্রত্যাহার হয়।
অপরহণের শিকার ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল হক চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজকে বলেন, ‘ ১৫ থেকে ২০ মানুষ ইউনিয়ন কাউন্সিলে ঢুকে অকথ্য ভাষা গালিগাল ও আমাকে লঞ্ছিত করে এবং ছোট্ট একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। মাইক্রোবাসটি লাভাঙ্গা ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে ঢুকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার পালশা এলাকার একটি মাঠের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে প্রায় ৪০ জন লোক বসেছিল’। তিনি বলেন, ‘ মাইক্রোবাসের মধ্যে দুর্বৃত্তরা আমারা ছেলের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করার ব্যবস্থা নিতে বলে এবং নানান ধরণের হুমকী প্রদান করে। পালশা মাঠে থাকা অবস্থায় পুলিশের সঙ্গে কথা হওয়ার পর আমার ভাগ্নে টুটুল আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী শামসুল হকের ছেলে সোহেল রানা বাবু অভিযোগ করে বলেন, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে দাখিল করা আমার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে চাপ সৃষ্টি করতেই প্রতিপক্ষ মোস্তাকুল ইসলাম পিন্টুর লোকজন আমার পিতাকে তুলে নিয়ে যায়’।
এ ব্যাপারে মোস্তাকুল ইসলাম পিন্টু সাংবাদিকদের জানান, তিনি কিছু জানেননা। ঘটনার সময় তিনি শিবগঞ্জ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য গোলাম রাব্বানীর বাড়িতে ছিলেন। সেখান থেকেই ঘটনাটি শুনেছেন মাত্র।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার পর পুলিশ ইউপি চেয়ারম্যানকে উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে। বিকেলে তাকে উদ্ধারের পর স্থানীয়রা অবরোধ তুলে নেয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়’।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তদন্ত সারোয়ার হোসেন জানান, সন্ধ্যায় শামসুল হক বাদি হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেছেন। তবে, কারা মামলার আসামী হয়েছেন তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম বলেননি ওসি তদন্ত।
উল্লেখ্য, জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করা মোস্তাকুল ইসলাম পিন্টু চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদের ভায়রা ভাই এবং সোহেল রানা বাবু শিবগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম রাব্বানীর অনুসারী ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল হকের ছেলে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১১-১২-১৬
from Chapainawabganjnews http://ift.tt/2hiV6yM
December 11, 2016 at 10:34PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন